Salafi
Salafi User
- Joined
- Jun 16, 2023
- Threads
- 70
- Comments
- 97
- Reactions
- 1,067
- Thread Author
- #1
শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনকে কীভাবে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করবো?
আব্বাস আদ-দুরী (রহ.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: উমাইয়্যাহ ইবনে বাসতাম (রহ.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি ইয়াজিদ ইবন যারি (রহ.) হতে, তিনি রুহ ইবনে কাসিম (রহ.) হতে, তিনি সুহাইল (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন। সুহাইল (রহ.) বলেন, আমার পিতা আমাকে বনু হারিসার (ইয়েমেনের উপজাতির) কাছে পাঠান। আমার সাথে ছিল আমাদের এক বালক বা সঙ্গী। একটি দেয়াল থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকলো। আমার সাথে যে সঙ্গী ছিল সে দেওয়ালের ওপর উঁকি দিয়ে দেখলো কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। সুহাইল বলেন, আমি এই ঘটনা আমার পিতাকে জানালে তিনি বলেন, "আমি যদি জানতাম তুমি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, তাহলে তোমাকে পাঠাতামই না। তবে যখনই এমন আওয়াজ শুনবে, তখন সালাতের (নামাজের) আযান দেবে। কারণ আমি আবু হুরায়রা (রা:)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)এর সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি: 'শয়তান যখন আযানের আওয়াজ শোনে, তখন সে পিছু হটে যায় এবং বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পলায়ন করে।'"
আবু আওয়ানা (রহ.) হাদিসটি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন: 'এটি প্রমাণ করে যে, কোনো ব্যক্তি যদি গুল (যাদুকর জ্বীন) এর উপস্থিতি অনুভব করে অথবা জিন দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যায়, তাহলে আযান দিলে তার কষ্ট দূর হয়।'
মুসতাখরাজ আবি আওয়ানাহ, ৩/২৩৯
এছাড়াও দেখুন: সহীহ মুসলিম ৭৪৪
রাসূল (ﷺ) থেকে মারফূ সূত্রে একটি মুরসাল হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে:
রাসূল (ﷺ) কে গুলদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন: তারা হচ্ছে জ্বীনদের যাদুকর।
আল জামি লি ইবন ওয়াহহাব, হাদিস/৬৩২, পৃষ্ঠা ৭২৫।
এর সনদ সহীহ হলেও মুত্তাসিল নয়। সনদের শেষে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে তথা সনদ মুরসাল:
এছাড়াও রাসূল (ﷺ) এই দুআ পড়ে শাইতান ও জীন থেকে আশ্রয় থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন:
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (ﷺ) বলতেনঃ (আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাশ শাইতনির রজীম ওয়া হামযিহি, ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফসিহি)। রাবী বলেন, এর অর্থ, তার শয়তানী, অর্থ, তার অশ্লীল কবিতা এবং -এর অর্থ, তার অহমিকা।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮০৮
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে বলেন,
আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা
সূরা ফুসসিলাত আয়াত ৩৬
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম তার বইতে বাব রচনা করে লিখেছেন:
আযানের শব্দ শয়তানকে বিতাড়িত করে যা পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে।
আল ওয়াবিলুস স্বাইয়্যিব, ৩০৩ পৃষ্ঠা
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও উপরোক্ত হাদিসকে এনে বাব রচনা করে লিখেছেন:
'এবং আযান শয়তানকে বিতাড়িত করে।'
আল কালিমুত্ব ত্বাইয়্যিব, ৬০ পৃষ্ঠা
শাইখ আব্দুল আজিজ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল :
প্রশ্ন: কিছু মানুষ হারবালের দোকানে বিক্রি হওয়া "নাকদ্ব" নামক এক ধরনের ধূপ ব্যবহার করে থাকে আর তারা দাবি করে যে সেটি শয়তান তাড়ায়।
উত্তর: (শাইখ ইবনে বায রহ.): আমি এ কাজের কোনো শরয়ী ভিত্তি জানি না। উক্ত কাজ পরিত্যাগ করা ওয়াজিব; কারণ এটি এমন এক কুসংস্কার যার কোনো ভিত্তি নেই। বরং শয়তানকে বিতাড়িত করতে ক্রমাগত আল্লাহর যিকির করতে হবে, কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার আশ্রয় নিতে হবে। নবী (ﷺ) থেকে প্রমাণিত যে তিনি বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো স্থানে অবতরণ করে এ দোয়া পড়ে:
"আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক" (আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে), ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো কিছুই তাকে ক্ষতি করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে উক্ত স্থান থেকে সরে যায়।”
২. এক ব্যক্তি নবীজিকে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! গত রাতে একটি বিছা আমাকে দংশন করেছিল।” নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন:
“যদি তুমি বলতে: ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক’, তবে তা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারত না।”
৩. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন:
“যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এ দোয়া পড়ে:
‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মা‘আসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামা-ই ওয়া হুয়াস সামী‘উল ‘আলীম’
(সেই আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আকাশ ও জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী), সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে কোনো কিছু ক্ষতি করবে না। আর যে সন্ধ্যায় এটি পড়বে, সকাল পর্যন্ত তাকে কোনো কিছু ক্ষতি করবে না।”
আদ-দুরারুছ ছার্যিয়াতু মিনাল ফাতাওয়া আল বা'যিয়্যাতি, ৫১ পৃষ্ঠা
লেখা ও অনুবাদ: সাফিন চৌধুরী
যুক্ত হোন টেলিগ্রাম: The ideology Of Salaf
حدثنا عباس الدوري، نا أمية بن بسطام، نا يزيد بن زريع، عن روح بن القاسم، عن سهيل، قال: أرسلني أبي إلى بني حارثة ومعي غلام لنا أو صاحب لنا، فنادى مناد من حائط باسمه، قال: فأشرف الذي معي على الحائط فلم ير شيئا، قال: فذكرت ذلك لأبي، فقال: لو شعرت أنك تلقي هذا لم أرسلك، ولكن إذا سمعت صوتا فناد بالصلاة فإني سمعت أبا هريرة رضي الله عنه يحدث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال: "إن الشيطان إذا نودي بالصلاة ولى وله حصاص" [قال أبو عوانة رحمه الله: هذا دليل على أن الرجل إذا أحس بالغول، أو أشرف على المصروع ثم أذن ذهب عنه ما يجد من ذلك
«مستخرج أبي عوانة» 3/ 239
«مستخرج أبي عوانة» 3/ 239
আব্বাস আদ-দুরী (রহ.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: উমাইয়্যাহ ইবনে বাসতাম (রহ.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি ইয়াজিদ ইবন যারি (রহ.) হতে, তিনি রুহ ইবনে কাসিম (রহ.) হতে, তিনি সুহাইল (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন। সুহাইল (রহ.) বলেন, আমার পিতা আমাকে বনু হারিসার (ইয়েমেনের উপজাতির) কাছে পাঠান। আমার সাথে ছিল আমাদের এক বালক বা সঙ্গী। একটি দেয়াল থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকলো। আমার সাথে যে সঙ্গী ছিল সে দেওয়ালের ওপর উঁকি দিয়ে দেখলো কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। সুহাইল বলেন, আমি এই ঘটনা আমার পিতাকে জানালে তিনি বলেন, "আমি যদি জানতাম তুমি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, তাহলে তোমাকে পাঠাতামই না। তবে যখনই এমন আওয়াজ শুনবে, তখন সালাতের (নামাজের) আযান দেবে। কারণ আমি আবু হুরায়রা (রা:)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)এর সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি: 'শয়তান যখন আযানের আওয়াজ শোনে, তখন সে পিছু হটে যায় এবং বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পলায়ন করে।'"
আবু আওয়ানা (রহ.) হাদিসটি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন: 'এটি প্রমাণ করে যে, কোনো ব্যক্তি যদি গুল (যাদুকর জ্বীন) এর উপস্থিতি অনুভব করে অথবা জিন দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যায়, তাহলে আযান দিলে তার কষ্ট দূর হয়।'
মুসতাখরাজ আবি আওয়ানাহ, ৩/২৩৯
এছাড়াও দেখুন: সহীহ মুসলিম ৭৪৪
রাসূল (ﷺ) থেকে মারফূ সূত্রে একটি মুরসাল হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে:
রাসূল (ﷺ) কে গুলদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন: তারা হচ্ছে জ্বীনদের যাদুকর।
632 - وأخبرني جرير بن حازم، أن عبد الله بن عبيد بن عمير، حدثه أن رسول الله عليه السلام ، سئل عن الغيلان، فقال: «هم سحرة الجن»
«الجامع - ابن وهب - ت مصطفى أبو الخير» ص725
«الجامع - ابن وهب - ت مصطفى أبو الخير» ص725
আল জামি লি ইবন ওয়াহহাব, হাদিস/৬৩২, পৃষ্ঠা ৭২৫।
এর সনদ সহীহ হলেও মুত্তাসিল নয়। সনদের শেষে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে তথা সনদ মুরসাল:
رواه ابن وهب في " الجامع " (106) : أخبرني جرير بن حازم أن عبد الله بن عبيد بن عمير حدثه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن الغيلان فقال: هم سحرة الجن. قلت: وهذا سند صحيح لولا أنه مرسل
«سلسلة الأحاديث الضعيفة والموضوعة وأثرها السيئ في الأمة» 4/ 290
«سلسلة الأحاديث الضعيفة والموضوعة وأثرها السيئ في الأمة» 4/ 290
এছাড়াও রাসূল (ﷺ) এই দুআ পড়ে শাইতান ও জীন থেকে আশ্রয় থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন:
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ ﷺ ـ قَال " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَهَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ". قَالَ هَمْزُهُ الْمُوتَةُ وَنَفْثُهُ الشِّعْرُ وَنَفْخُهُ الْكِبْرُ .
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (ﷺ) বলতেনঃ (আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাশ শাইতনির রজীম ওয়া হামযিহি, ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফসিহি)। রাবী বলেন, এর অর্থ, তার শয়তানী, অর্থ, তার অশ্লীল কবিতা এবং -এর অর্থ, তার অহমিকা।
সুনানে ইবনে মাজাহ ৮০৮
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে বলেন,
وَ اِمَّا یَنۡزَغَنَّكَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ
আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা
সূরা ফুসসিলাত আয়াত ৩৬
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম তার বইতে বাব রচনা করে লিখেছেন:
والأذان يطرد الشيطان كما تقدم. «الوابل الصيب» ص303
আযানের শব্দ শয়তানকে বিতাড়িত করে যা পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে।
আল ওয়াবিলুস স্বাইয়্যিব, ৩০৩ পৃষ্ঠা
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও উপরোক্ত হাদিসকে এনে বাব রচনা করে লিখেছেন:
والأذان يطرد الشيطان: «الكلم الطيب» ص60
'এবং আযান শয়তানকে বিতাড়িত করে।'
আল কালিমুত্ব ত্বাইয়্যিব, ৬০ পৃষ্ঠা
শাইখ আব্দুল আজিজ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল :
প্রশ্ন: কিছু মানুষ হারবালের দোকানে বিক্রি হওয়া "নাকদ্ব" নামক এক ধরনের ধূপ ব্যবহার করে থাকে আর তারা দাবি করে যে সেটি শয়তান তাড়ায়।
উত্তর: (শাইখ ইবনে বায রহ.): আমি এ কাজের কোনো শরয়ী ভিত্তি জানি না। উক্ত কাজ পরিত্যাগ করা ওয়াজিব; কারণ এটি এমন এক কুসংস্কার যার কোনো ভিত্তি নেই। বরং শয়তানকে বিতাড়িত করতে ক্রমাগত আল্লাহর যিকির করতে হবে, কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার আশ্রয় নিতে হবে। নবী (ﷺ) থেকে প্রমাণিত যে তিনি বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো স্থানে অবতরণ করে এ দোয়া পড়ে:
"আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক" (আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে), ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো কিছুই তাকে ক্ষতি করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে উক্ত স্থান থেকে সরে যায়।”
২. এক ব্যক্তি নবীজিকে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! গত রাতে একটি বিছা আমাকে দংশন করেছিল।” নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন:
“যদি তুমি বলতে: ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক’, তবে তা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারত না।”
৩. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন:
“যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এ দোয়া পড়ে:
‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মা‘আসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামা-ই ওয়া হুয়াস সামী‘উল ‘আলীম’
(সেই আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আকাশ ও জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী), সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে কোনো কিছু ক্ষতি করবে না। আর যে সন্ধ্যায় এটি পড়বে, সকাল পর্যন্ত তাকে কোনো কিছু ক্ষতি করবে না।”
س: يقوم بعض الناس باستخدام بخور يباع عند العطارين يسمى (نقض) يدعون أنها تطرد الشياطين.
ج: لا أعلم لهذا العمل أصلا شرعيا. والواجب تركه؛ لكونه من الخرافات التي لا أصل لها، وإنما تطرد الشياطين بالإكثار من ذكر الله وقراءة القرآن، والتعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق. وقد ثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال:
«من نزل منزلا فقال: أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لم يضره شيء حتى يرتحل من منزله ذلك»، وقال له رجل: يا رسول الله ماذا لقيت البارحة من لدغة عقرب، فقال له صلى الله عليه وسلم: «أما إنك لو قلت أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لم تضرك»، وقال عليه الصلاة والسلام: «من قال حين يصبح: بسم الله الذي لا يضر مع اسمه شيء في الأرض ولا في السماء وهو السميع العليم، ثلاث مرات لم يضره شيء حتى يمسي، ومن قالها حين يمسي لم يضره شيء حتى يصبح»
«الدرر الثرية من الفتاوى البازية» ص51
ج: لا أعلم لهذا العمل أصلا شرعيا. والواجب تركه؛ لكونه من الخرافات التي لا أصل لها، وإنما تطرد الشياطين بالإكثار من ذكر الله وقراءة القرآن، والتعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق. وقد ثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال:
«من نزل منزلا فقال: أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لم يضره شيء حتى يرتحل من منزله ذلك»، وقال له رجل: يا رسول الله ماذا لقيت البارحة من لدغة عقرب، فقال له صلى الله عليه وسلم: «أما إنك لو قلت أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لم تضرك»، وقال عليه الصلاة والسلام: «من قال حين يصبح: بسم الله الذي لا يضر مع اسمه شيء في الأرض ولا في السماء وهو السميع العليم، ثلاث مرات لم يضره شيء حتى يمسي، ومن قالها حين يمسي لم يضره شيء حتى يصبح»
«الدرر الثرية من الفتاوى البازية» ص51
আদ-দুরারুছ ছার্যিয়াতু মিনাল ফাতাওয়া আল বা'যিয়্যাতি, ৫১ পৃষ্ঠা
লেখা ও অনুবাদ: সাফিন চৌধুরী
যুক্ত হোন টেলিগ্রাম: The ideology Of Salaf