হাদীস : আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থান স্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থান স্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থান স্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।”
হাদীসের তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ১৩৭৯; সহীহ মুসলিম, ২৮৬৬; মুসনাদে আহমাদ, ৫১১৯; মুয়াত্তা মালেক, ৫৭০; সুনান তিরমীযি, ১০৭২; সুনান নাসায়ী, ২০৭২; সুনান ইবনে মাজাহ, ৪২৭০
হাদীসের শিক্ষাসমূহ :
[এক] উপরিউক্ত হাদীস থেকে কবরের আযাব ও কবরের নি'আমতের বিষয় প্রমাণিত হয়।
[দুই] সকাল-সন্ধ্যা কবরবাসীদের বারযাখ পরবর্তী জীবন সম্পর্কে সচেতন করা হয় ও অবহিত করা হয়।
[তিন] কিয়ামত পর্যন্ত বারযাখী হায়াতে যারা থাকবে তারা জান্নাতের অধিক আগ্রহে এবং জাহান্নামের কঠোরতার ভয়ে বারযাখী জীবনে তারা ভীতবিহ্বল থাকবে।
[চার] কবরে জান্নাত ও জাহান্নামের যেই ইঙ্গিত কবরবাসীকে দেয়া হয়ে থাকে তা শুধুমাত্র আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির মতো। এ হাদীস থেকে এটা প্রমাণিত হয়না যে, মৃত্যু পরবর্তী বারযাহী হায়াতেই জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে যাবে। বরং, জান্নাত-জাহান্নাম বিচার ফায়সালার পর নির্ধারিত হবে।
[পাঁচ] মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বা কবরের জিন্দেগীর হাকীকাত দুনিয়ার জীবনের সাথে কোনো প্রকার সাদৃশ্য নেই।
[ছয়] কবরবাসী বারযাহী হায়াতে সকাল-সন্ধ্যা উপলব্ধি করবে তবে তার ধরণ ও প্রকৃতি আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কেউ জানে না।
[সাত] মৃত্যুর পরই ব্যক্তির বারযাখী হায়াত শুরু হয়ে যায়। কবর কেবলমাত্র বারযাখের একটি মনযিল মাত্র।
— স্বর্ণালি সনদে বর্ণিত চল্লিশ হাদীস, ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাকতাবাত আল মুফলিহুন
হাদীসের তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ১৩৭৯; সহীহ মুসলিম, ২৮৬৬; মুসনাদে আহমাদ, ৫১১৯; মুয়াত্তা মালেক, ৫৭০; সুনান তিরমীযি, ১০৭২; সুনান নাসায়ী, ২০৭২; সুনান ইবনে মাজাহ, ৪২৭০
হাদীসের শিক্ষাসমূহ :
[এক] উপরিউক্ত হাদীস থেকে কবরের আযাব ও কবরের নি'আমতের বিষয় প্রমাণিত হয়।
[দুই] সকাল-সন্ধ্যা কবরবাসীদের বারযাখ পরবর্তী জীবন সম্পর্কে সচেতন করা হয় ও অবহিত করা হয়।
[তিন] কিয়ামত পর্যন্ত বারযাখী হায়াতে যারা থাকবে তারা জান্নাতের অধিক আগ্রহে এবং জাহান্নামের কঠোরতার ভয়ে বারযাখী জীবনে তারা ভীতবিহ্বল থাকবে।
[চার] কবরে জান্নাত ও জাহান্নামের যেই ইঙ্গিত কবরবাসীকে দেয়া হয়ে থাকে তা শুধুমাত্র আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির মতো। এ হাদীস থেকে এটা প্রমাণিত হয়না যে, মৃত্যু পরবর্তী বারযাহী হায়াতেই জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে যাবে। বরং, জান্নাত-জাহান্নাম বিচার ফায়সালার পর নির্ধারিত হবে।
[পাঁচ] মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বা কবরের জিন্দেগীর হাকীকাত দুনিয়ার জীবনের সাথে কোনো প্রকার সাদৃশ্য নেই।
[ছয়] কবরবাসী বারযাহী হায়াতে সকাল-সন্ধ্যা উপলব্ধি করবে তবে তার ধরণ ও প্রকৃতি আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কেউ জানে না।
[সাত] মৃত্যুর পরই ব্যক্তির বারযাখী হায়াত শুরু হয়ে যায়। কবর কেবলমাত্র বারযাখের একটি মনযিল মাত্র।
— স্বর্ণালি সনদে বর্ণিত চল্লিশ হাদীস, ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাকতাবাত আল মুফলিহুন