‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

মানহাজ বাতিলপন্থীদের মুখোশ উন্মোচন করলে কী গিবত হবে ?

Joynal Bin Tofajjal

Student Of Knowledge

Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
Threads
344
Comments
479
Reactions
5,116
Credits
3,473
প্রশ্নটা খুবই হাস্যকর! যারা এসব কথা বলে জানবেন তারা পথভ্রষ্ট, বিদআতী, গোমরাহী, সালাফী মানহাজ চ্যুত । রাসূল (সা) ও সাহাবীদের মানহাজ বিচ্যুত ফির্কার মুখোশ উন্মোচন করে মুসলিমদের এসব গোমরাহী ফির্কা থেকে সতর্ক করা আমাদের জন্য ওয়াজিব। এজন্য খারেজী, ইখওয়ানী, বিদাআতী, হিযবীয়াহ, শিয়া রাফেজীসহ ভিবিন্ন বিভ্রান্ত ফিরকার,দল, মতবাদ ও ভ্রান্ত মানহাজের অনুসারী বক্তা ও তাদের প্রমোটকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে মানুষকে সতর্ক করতে হবে।

আমাদের প্রিয় উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ প্রসঙ্গেয় বলি
তিনি যখন পর্যায়ক্রমে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বিভিন্ন ধর্মীয় লেবাসধারীদের প্রকৃত রূপ তথা গোমরাহী তুলে ধরছেন ঠিক তখনই এক শ্রেনীর দলান্ধ লোকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেল এবং উনাকে 'গীবতকারী' বলে চিল্লাফাল্লা শুরু করে দেন! আল ইয়াযু বিল্লাহ। ওই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমাদের দাঈগন এবং আমরা যেকোন ভ্রান্ত ফ্বিরকা,দল বা মতবাদের বিরোধিতা করি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের জন্যে! এক্ষেত্রে কারো সাথে আমাদের ব্যক্তিগত দ্বন্ধ নেই বললেই চলে!

ইছলাহের উদ্দেশ্যে ও নেকীর আশায় জনকল্যাণার্থে সমালোচনা করা যায়। যেটা আসলে গীবত নয়। বরং সত্য তুলে ধরা। যেমন

  1. অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য
  2. সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য
  3. হাদীছের সনদ যাচাইয়ের জন্য
  4. মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করার জন্য
  5. পাপাচার ও বিদ‘আত থেকে সাবধান করার জন্য
  6. প্রসিদ্ধ নাম বলে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য

(নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃঃ ৫৭৫; মুসলিম হা/২৫৮৯ ‘গীবত হারাম হওয়া’ অনুচ্ছেদ, নববীর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)

আলহামদুলিল্লাহ
আমরা যখন কোন বিরোধী মতবাদের দাঈর সমালোচনা করি অথবা উলামায়ে'ছু দের ভ্রান্তির বিরুদ্ধে কলম ধরি, তখন সেটা নিজের মনের খায়েশ মেটানোর জন্য নয় বরং সুন্নাহ নির্দেশিত পথেই এর প্রতিবিধান করি যা যুগ যুগ ধরে ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগন ও তাদের অনুসারী উলামায়ে কেরামগন করে এসেছেন। জ্ঞাতব্য যে, বিদ‘আতীদের রদ করা আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদ করার শামিল। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “বিদ‘আতীদের রদকারী একজন মুজাহিদ। এমনকি ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেছেন, ‘সুন্নাহকে ডিফেন্ড করা সর্বোত্তম জিহাদ’।”

[নাক্বদ্বুল মানত্বিক্ব, পৃষ্ঠা: ১২; গৃহীত: শাইখ খালিদ বিন দ্বাহউয়ী আয-যাফীরী (হাফিযাহুল্লাহ), ইজমা‘উল ‘উলামা ‘আলাল হাজরি ওয়াত তাহযীরি মিন আহলিল বিদা‘; পৃষ্ঠা: ১০৪]

.এ ব্যাপারে আরো দলিল তুলে ধরছি

১ম বক্তব্য :
আহলুস সুন্নাহর গ্রেট ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ - কে প্রশ্ন করা হলো, যে লোক সালাত, সিয়াম, ই'তেকাফ ইত্যাদি ইবাদত নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে, এই লোক আপনার কাছে অধিক প্রিয়, নাকি যে লোক বিদআতীদের প্রতিবাদ করতে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকে সে? উত্তরে তিনি বললেন, সালাত, সিয়াম আদায়কারী তো নিজেকে ব্যস্ত রাখে, এগুলো ফায়দা সে নিজে লাভ করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি বিদআতিদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের প্রতিবাদ করবে, তার এ কাজে মুসলিম উম্মাহ উপকৃত হবে। আমার কাছে এই ব্যক্তিই উত্তম ও পছন্দনীয়।

গৃহীতঃ মাজমূ‘উ ফাতওয়া ইবনে তায়মিয়াহ - [২৮/২৩১-২৩২]

২য় বক্তব্য :
বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ্ সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী আশ শাইখুল ‘আল্লামাহ্ ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ্ বিন বায (রহিমাহুল্লাহ্) বলেছেন,
"ﻓﻼ ﻳﺠﻮﺯ ﻷﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺍﻟﺴﻜﻮﺕ ﻭﺗﺮﻙ ﺍﻟﻜﻼﻡ ﻟﻠﻔﺎﺟﺮ ﻭﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ ﻭﺍﻟﺠﺎﻫﻞ ﻓﺈﻥ ﻫﺬﺍ ﻏﻠﻂ ﻋﻈﻴﻢ ﻭﻣﻦ ﺃﺳﺒﺎﺏ ﺍﻧﺘﺸﺎﺭ ﺍﻟﺸﺮ ﻭﺍﻟﺒﺪﻉ ﻭﺍﺧﺘﻔﺎﺀ ﺍﻟﺨﻴﺮ ﻭﻗﻠﺘﻪ ﻭﺧﻔﺎﺀ ﺍﻟﺴﻨﺔ. ﻓﺎﻟﻮﺍﺟﺐ ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻳﺘﻜﻠﻤﻮﺍ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﻭﻳﺪﻋﻮﺍ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﺃﻥ ﻳﻨﻜﺮﻭﺍ ﺍﻟﺒﺎﻃﻞ ﻭﻳﺤﺬﺭﻭﺍ ﻣﻨﻪ ﻭﻳﺠﺐ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺫﻟﻚ ﻋﻦ ﻋﻠﻢ ﻭﺑﺼﻴﺮﺓ ."​
“পাপাচারী, মূর্খ ও বিদ’আতীর বিরুদ্ধে কথা বলা বর্জন করা এবং নীরব থাকা ‘আলিমদের জন্য বৈধ নয়। কেননা এটা একটা মারাত্মক গলদ। এটা অকল্যান ও বিদ’আত প্রসারিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এটা কল্যান কমে যাওয়া, দূরীভূত হওয়া এবং সুন্নাহ্ অপসৃত হওয়ারও অন্যতম কারণ। সুতরাং ‘আলিমদের জন্য হক্ব বলা, এর দিকে লোকদের আহ্বান করা, বাত্বিলকে রদ করা এবং এ থেকে লোকদের সতর্ক করা ওয়াজিব। তবে অবশ্যই তা হতে হবে শার’ঈ ‘ইলম ও জাগ্রত জ্ঞান সহকারে।”

গৃহীতঃ [ইমাম ইবনু বায (রহিমাহুল্লা-হ্), মাজমূ’উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতিম মুতানাওয়্যা’আহ্; খণ্ডঃ ৬; পৃষ্ঠাঃ ৫৩]

৩য় বক্তব্য :
সৌদি ফাতা-ওয়া বোর্ডের বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতী ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ্ আলুশ শাইখ (হাফিয্বাহুল্লা-হ্) বলেছেন,
ﺍﻟﺮﺩﻭﺩ ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺒﺪﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﻣﻦ ﺣﻤﺎﻳﺔ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ ﻣﻦ ﺃﻥ ﻳﻠﺼﻖ ﺑﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻬﺎ، ﻓﺘﺄﻟﻴﻒ ﺍﻟﻜﺘﺐ ﻭﻃﺒﻌﻬﺎ ﻭﻧﺸﺮﻫﺎ ﻫﻨﺎ ﺣﻖ ﻭﺩﻋﻮﺓ ﻟﻠﺤﻖ ﻭﺟﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ، ﻓﻤﻦ ﺯﻋﻢ ﺃﻥ ﻃﺒﻊ ﺍﻟﻜﺘﺐ ﻭﻧﺸﺮﻫﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻋﻴﻦ ﺃﻣﺮ ﻣﺒﺘﺪﻉ ﻓﺈﻧﻪ ﻋﻠﻰ ﺧﻄﺄ.​
“বিদ’আতীদেরকে রিফিউট করা আল্লাহর পথে জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। এটা নবআবিষ্কৃত বিষয় থেকে শরী’আহ্কে হেফাজত করার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এ ব্যাপারে গ্রন্থ রচনা করা, তা মুদ্রণ ও প্রকাশ করাটাই হক্ব এবং এটাই হক্বের দা’ওয়াত ও আল্লা-হর রাস্তায় জিহাদ। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এ ধারণা করে যে, বিদ’আতীদেরকে রদ করে গ্রন্থ মুদ্রণ ও প্রকাশ করা নব উদ্ভাবিত বিষয়, সে অবশ্যই ভুলের উপর রয়েছে।” গৃহীতঃ [রিয়াদ্ব পত্রিকা; শুক্রবার, ৪ মুহার্রাম, ১৪২৪ হিজরী; সংখ্যাঃ ১২৬৭৪;]

৪র্থ বক্তব্য :
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ এবং ফক্বীহ আশ শাইখুল আল্লামাহ আহমাদ বিন ইয়াহিয়াহ আন-নাজমী [ রাহিমাহুল্লাহ ] বলেন -
" মহান আল্লাহ তাঁর নবীগণকে দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে যে পথ নির্দেশ দিয়েছেন, সকল দা‘ঈর উচিৎ, সে পথে পরিচালিত হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦ ﴾ [النحل: ٣٦]​
‘অবশ্যই আমরা প্রত্যেক উম্মতের নিকটেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই নির্দেশনা দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগূত থেকে বেঁচে থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্য পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে’। [আন-নাহ্‌ল ৩৬]

মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীকেও দা‘ওয়াতের পথ ও পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন,
﴿ قُلۡ هَٰذِهِۦ سَبِيلِيٓ أَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ أَنَا۠ وَمَنِ ٱتَّبَعَنِيۖ وَسُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١٠٨ ﴾ [يوسف: ١٠٨]​
‘হে নবী! আপনি বলে দিন, ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহর দিকে ডাকি জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আর আল্লাহ পবিত্র এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’। [ইউসুফ ১০৮]

অতএব, কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদ্ধতি বাদ দিয়ে দা‘ওয়াতী ময়দানে অন্য কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে, তাহলে উলামায়ে কেরামের উচিৎ, তার ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পদ্ধতি বলে দেওয়া। আর যে ব্যক্তি সঠিক পদ্ধতি জানার পরও ভুল ধরিয়ে দিবে না, সে গুনাহগার হবে। তবে কেউ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার এ দায়িত্ব পালন করলে অন্য সবাই দায়মুক্ত হয় যাবে, অন্যদের আর গোনাহ হবে না। কিন্তু ভুল ধরিয়ে দিতে গিয়ে যদি কেউ অন্যদের সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে সকলের উচিত, তাকে সহযোগিতা করা।

কেউ যদি মনে করে - "যারা দা‘ওয়াতের পথ ও পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদ্ধতির বিরোধী কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করছে, তাদের ব্যাপারে কথা বলতে যাওয়া উচিৎ নয় " তবে সে ব্যক্তি চরম ভুল করবে। এর মাধ্যমে সে আসলে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ, হক প্রচার এবং নেকী ও আল্লাহ ভীতির কাজে পরস্পর সহযোগিতা করাকে অকেজো করতে চায়। সে যদি অন্তর থেকে এটি নাও চায়, তবুও যারা চায়, সে তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছে। অতএব, তার উচিৎ, হকের পথে ফিরে আসা।

গৃহীতঃ [ আল-ফাতাওয়া আল-জালিইয়াহ আনিল মানাহিজ আদ-দা‘বিইয়াহ, পৃ: ১২]


৫ম বক্তব্য :
আশ শাইখুল আল্লামাহ ড.রাবী বিন হাদী আল মাদখালী [ হাফিয্বাহুল্লাহ ] বলেন, "আল জারাহ ওয়াত তা'দীল কিয়ামাত পর্যন্ত টিকে থাকবে। লোকেরা কোন এক শাইখ থেকে উপকৃত হতে চায়: আপনি তাদের জানিয়ে দিলেন যে এই শাইখ সৎ আলেম এবং সুন্নাহর উপর রয়েছেন ও আপনি তার প্রশংসা করলেন। আবার হয়তো আপনি তাদের জানিয়ে দিলেন যে উনি রাফেজী বা উনি ছুফী, ওহাদ্বাতুল উজুদে বিশ্বাস করেন বা উনি সেক্যুলার বা উনি কমিউনিস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি, এভাবে স্পষ্ট করে দেয়া আপনার জন্য অত্যাবশ্যক। এটি জিহাদের অংশ এবং এটি কখনো উঠিয়ে নেয়া হবে না। এটি শুধুমাত্র বর্ণনাকারী বা রাবীদের জন্যও খাস নয়।

সালাফরাও বিদআতীদের খন্ডন করে বই লিখেছেন। তারা কখনোই জারাহ-তা'দীলকে বর্ণনাকারীদের জন্য খাস করেননি। তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, উমুক বিদআতি, হাদিসের অনুসারী নয়, উমুক জাহমী, মুতাজিলি বা মুরজি'ঈ ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনকি ওই ব্যক্তির হাদিসের কোন সানাদের সাথে সম্পর্ক না থাকলেও সালাফরা তার সমালোচনা করেছেন , এটি 'আল জারাহ'। তাও কেমনে লোকেরা বলে যে 'আল-জারাহ' এর দরজা বন্ধ হয়ে গেছে?

সোর্সঃ [ফাতওয়া আশ শাইখ রাবী' ১/২৪৬]

শাইখ [ হাফিয্বাহুল্লাহ ] আরো বলেন,
"কিয়ামতের রোজ পর্যন্ত যতদিন বিদ'আত থাকবে, ততদিন জারাহ ও তা'দীল টিকে থাকবে"।
সোর্সঃ [ফাতওয়া আশ শাইখ রাবী' ১/২৪৯]

কবুলিয়াত এক বিস্ময়কর প্রাপ্তি যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার দান। আল্লাহ্‌'র দ্বীন টিকিয়ে রাখবেন আল্লাহ্ নিজেই। আল্লাহ'র রহমতে সর্বসাধারণের মাঝে কারো বিশেষ খেদমত হল সেই দ্বীন টিকিয়ে রাখারই অংশমাত্র।

উক্ত লিখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
 

Share this page