প্রাণীর আকৃতির পুতুল খেলনা হিসাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ এগুলো মূর্তি সদৃশ। অনেকেই আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর পুতুল নিয়ে খেলা করার হাদীসটি পেশ করে বৈধ বলতে চান (সহীহ বুখারী, হা/৬১৩০; মিশকাত, হা/৩২৪৩)। অথচ তা ঠিক নয়।
শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু জামীল যাইনু (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বাড়ীতে মাটি দিয়ে নিজ হাতে এই পুতুল বানিয়েছিলেন। অতএব এভাবে মাটির পুতুল বানিয়ে তাকে কাপড় পরানো ও সেবাযত্ন করার মাধ্যমে মেয়েরা ভবিষ্যতে সন্তান পালনের প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এতে দোষ নেই। কিন্তু এই অজুহাতে বাজার থেকে বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতির খেলনা পুতুল কিনে আনা জায়েয নয়। কেননা এটি একদিকে অপচয়, অন্যদিকে যদি বিদেশী কোম্পানীর খেলনা হয়, তবে তা আরো নিষিদ্ধ। কেননা এই সুযোগে মুসলিমদের পয়সা অমুসলিম দেশ সমূহে চলে যায় (তাওজীহাত ইসলামিয়্যাহ, পৃ. ১১২)।
তাছাড়া বর্তমানে ছেলে মেয়ে ছোট-বড় প্রায় সবার মাঝেই মূর্তি সদৃশ এই পুতুল পূজার প্রভাব দেখা দিচ্ছে।
শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘খেলনা পুতুল থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কেননা এখানে দু’টি সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, (এক) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর অনুমতি দেয়ার ঘটনাটি ছবি-মূর্তি নিষিদ্ধ হওয়ার এবং এগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার সাধারণ নির্দেশের পূর্বের ঘটনা (ফাৎহুল বারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫২৭; ইবনু বায, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২২)।
(দুই) এটি নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত একটি খাছ বিষয়। কেননা পুতুল খেলা এক ধরনের হীনকর কাজ। দু’টিকেই দু’দল বিদ্বান সমর্থন করেছেন। সেকারণে সন্দেহ থেকে বাঁচার জন্য এগুলো থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
‘তুমি সন্দেহযুক্ত বিষয় পরিত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত বিষয়ের দিকে ধাবিত হও’ (তিরমিযী, হা/২৫১৮; নাসাঈ, হা/৫৭১১; মিশকাত, হা/২৭৭৩, সনদ সহীহ)। তিনি আরো বলেন,
‘যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হল, সে হারামে পতিত হল’ (সহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯; আবূ দাঊদ, হা/৩৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬২; ইবনু বায, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২২)।
শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু জামীল যাইনু (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বাড়ীতে মাটি দিয়ে নিজ হাতে এই পুতুল বানিয়েছিলেন। অতএব এভাবে মাটির পুতুল বানিয়ে তাকে কাপড় পরানো ও সেবাযত্ন করার মাধ্যমে মেয়েরা ভবিষ্যতে সন্তান পালনের প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এতে দোষ নেই। কিন্তু এই অজুহাতে বাজার থেকে বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতির খেলনা পুতুল কিনে আনা জায়েয নয়। কেননা এটি একদিকে অপচয়, অন্যদিকে যদি বিদেশী কোম্পানীর খেলনা হয়, তবে তা আরো নিষিদ্ধ। কেননা এই সুযোগে মুসলিমদের পয়সা অমুসলিম দেশ সমূহে চলে যায় (তাওজীহাত ইসলামিয়্যাহ, পৃ. ১১২)।
তাছাড়া বর্তমানে ছেলে মেয়ে ছোট-বড় প্রায় সবার মাঝেই মূর্তি সদৃশ এই পুতুল পূজার প্রভাব দেখা দিচ্ছে।
শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘খেলনা পুতুল থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কেননা এখানে দু’টি সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, (এক) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর অনুমতি দেয়ার ঘটনাটি ছবি-মূর্তি নিষিদ্ধ হওয়ার এবং এগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার সাধারণ নির্দেশের পূর্বের ঘটনা (ফাৎহুল বারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫২৭; ইবনু বায, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২২)।
(দুই) এটি নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত একটি খাছ বিষয়। কেননা পুতুল খেলা এক ধরনের হীনকর কাজ। দু’টিকেই দু’দল বিদ্বান সমর্থন করেছেন। সেকারণে সন্দেহ থেকে বাঁচার জন্য এগুলো থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ
‘তুমি সন্দেহযুক্ত বিষয় পরিত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত বিষয়ের দিকে ধাবিত হও’ (তিরমিযী, হা/২৫১৮; নাসাঈ, হা/৫৭১১; মিশকাত, হা/২৭৭৩, সনদ সহীহ)। তিনি আরো বলেন,
وَمَنْ وَقَعَ فِى الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِى الْحَرَامِ
‘যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হল, সে হারামে পতিত হল’ (সহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯; আবূ দাঊদ, হা/৩৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬২; ইবনু বায, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২২)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: