যারা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসের নিঃশর্ত অনুসারী তারাই ‘আহলেহাদীস’। যিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসের সিদ্ধান্তকে নিঃশর্তভাবে মেনে নিবেন এবং সালাফদের মানহাজ অনুযায়ী নিজের সার্বিক জীবন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন, কেবল তিনিই এ নামে অভিহিত হবেন (সূরা আন-নিসা : ১১৫; তিরমিযী, হা/২৬৪১; মিশকাত, হা/১৭১, সনদ হাসান)।
উল্লেখ্য, ‘আহলেহাদীস’ কোন দল, মাযহাব বা মতের নাম নয়। কুরআন ও সহীহ হাদীস ভিত্তিক এক অনন্য আক্বীদা ও বৈশিষ্ট্যগত নাম। আর তাদের কয়েকটি নিদর্শন তুলে ধরা হল-
(১) তাঁরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ এবং ঈমানের ছয়টি রুকনকে ফরয হিসাবে গ্রহণ করে থাকেন।
(২) তারা বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ আরশের উপর সমুন্নত এবং তাঁর আকার রয়েছে। তিনি নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান নন।
(৩) রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাটির তৈরি, তিনি নূরের তৈরি নন।
(৪) কম হোক বেশী হোক সকল প্রকার মাদকদ্রব্য হতে তারা বিরত থাকেন।
(৫) ফরয সালাত সমূহ আউয়াল ওয়াক্তে আদায়ের জন্য সদা সচেতন থাকেন।
(৬) ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতিহা পড়াকে তারা ওয়াজিব মনে করেন।
(৭) সালাতের মধ্যে রুকূ-সুজূদ, ক্বিয়াম-কু‘ঊদ ইত্যাদি আরকানগুলোকে ধীরে-সুস্থে শান্তির সঙ্গে আদায় করাকে তারা অপরিহার্য বলেন এবং এতদ্ব্যতীত সালাত শুদ্ধ হয় না বলে তারা মনে করেন
(৮) তারা সকল কাজে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের মূলনীতিকে আঁকড়ে ধরে থাকেন (৯) বিদ‘আতীদেরকে তারা ঘৃণা করেন। তারা বিদ‘আতীদের সঙ্গে উঠাবসা করেন না বা তাদের সঙ্গে দ্বীনের ব্যাপারে অহেতুক ঝগড়া করেন না। তাদের থেকে সর্বদা কান বন্ধ রাখেন, যাতে তাদের বাতিল যুক্তি সমূহ অন্তরে ধোঁকা সৃষ্টি করতে না পারে’ (আব্দুর রহমান ছাবূনী, আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবিল হাদীস, পৃ. ৯৯-১০০)।
(১০) তাদের একমাত্র অনুসরণীয় ব্যক্তি¡ হলেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। কোন ইমাম, পীর, আওলিয়া বা আলেমের অন্ধ তাক্বলীদ করেন না। (১১) আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান নিয়েই তারা সন্তষ্ট, প্রচলিত কোন মাযহাব বা তরীক্বার অনুসরণ করেন না।
(১২) প্রচলিত চার ইমামকেই তারা সম্মান করে থাকেন, কোনভাবেই তাদের অন্ধ অনুসরণে বিশ্বাসী না।
(১৩) মাযার, খানকা, কবর, মূর্তি, ভাস্কর্যপূজাকে তারা বড় শিরক বলে আক্বীদা পোষণ করে থাকেন।
(১৪) তারা কাদিয়ানীদেরকে কাফের এবং শী‘আদেরকে অমুসলিম বলে বিশ্বাস করেন।
(১৫) মাসআলার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে কুরআন-সুন্নাহকেই অনুসরণ করে থাকে।
(১৬) মতবিরোধপূর্ণ মাসআলার ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর কাছাকাছি মতকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং সালাফে ছালেহীনের পথকে শক্তভাবে ধারণ করেন।
(১৭) অধিকাংশের রায় নয়; বরং কুরআন-সুন্নাহর সিদ্ধান্তই তাদের কাছে অগ্রগণ্য- যদিও অধিকাংশ মানুষই তার বিপরীতে।
(১৮) স্পষ্ট সহীহ হাদীস থাকার পরে যেকোন ব্যক্তি বা ইমামের মতামত আসলে তারা সর্বসম্মত তা বর্জন করে চলে। সহীহ হাদীসের বিরোধী এমন কোন মতকে তারা বাতিল বলে গণ্য করে (মাজমূঊ ফাতাওয়া, ৩য় খন্ড, পৃ. ৩৪৭-৩৪৮; শারফু আছহাবিল হাদীস, পৃ. ১৫; মা‘রেফা উলূমিল হাদীস, পৃ. ২-৩)।
(১৯) তারা যঈফ ও জাল হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন না এবং এর উপর আমলও করেন না।
উল্লেখ্য, ‘আহলেহাদীস’ কোন দল, মাযহাব বা মতের নাম নয়। কুরআন ও সহীহ হাদীস ভিত্তিক এক অনন্য আক্বীদা ও বৈশিষ্ট্যগত নাম। আর তাদের কয়েকটি নিদর্শন তুলে ধরা হল-
(১) তাঁরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ এবং ঈমানের ছয়টি রুকনকে ফরয হিসাবে গ্রহণ করে থাকেন।
(২) তারা বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ আরশের উপর সমুন্নত এবং তাঁর আকার রয়েছে। তিনি নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান নন।
(৩) রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাটির তৈরি, তিনি নূরের তৈরি নন।
(৪) কম হোক বেশী হোক সকল প্রকার মাদকদ্রব্য হতে তারা বিরত থাকেন।
(৫) ফরয সালাত সমূহ আউয়াল ওয়াক্তে আদায়ের জন্য সদা সচেতন থাকেন।
(৬) ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতিহা পড়াকে তারা ওয়াজিব মনে করেন।
(৭) সালাতের মধ্যে রুকূ-সুজূদ, ক্বিয়াম-কু‘ঊদ ইত্যাদি আরকানগুলোকে ধীরে-সুস্থে শান্তির সঙ্গে আদায় করাকে তারা অপরিহার্য বলেন এবং এতদ্ব্যতীত সালাত শুদ্ধ হয় না বলে তারা মনে করেন
(৮) তারা সকল কাজে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের মূলনীতিকে আঁকড়ে ধরে থাকেন (৯) বিদ‘আতীদেরকে তারা ঘৃণা করেন। তারা বিদ‘আতীদের সঙ্গে উঠাবসা করেন না বা তাদের সঙ্গে দ্বীনের ব্যাপারে অহেতুক ঝগড়া করেন না। তাদের থেকে সর্বদা কান বন্ধ রাখেন, যাতে তাদের বাতিল যুক্তি সমূহ অন্তরে ধোঁকা সৃষ্টি করতে না পারে’ (আব্দুর রহমান ছাবূনী, আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবিল হাদীস, পৃ. ৯৯-১০০)।
(১০) তাদের একমাত্র অনুসরণীয় ব্যক্তি¡ হলেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। কোন ইমাম, পীর, আওলিয়া বা আলেমের অন্ধ তাক্বলীদ করেন না। (১১) আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান নিয়েই তারা সন্তষ্ট, প্রচলিত কোন মাযহাব বা তরীক্বার অনুসরণ করেন না।
(১২) প্রচলিত চার ইমামকেই তারা সম্মান করে থাকেন, কোনভাবেই তাদের অন্ধ অনুসরণে বিশ্বাসী না।
(১৩) মাযার, খানকা, কবর, মূর্তি, ভাস্কর্যপূজাকে তারা বড় শিরক বলে আক্বীদা পোষণ করে থাকেন।
(১৪) তারা কাদিয়ানীদেরকে কাফের এবং শী‘আদেরকে অমুসলিম বলে বিশ্বাস করেন।
(১৫) মাসআলার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে কুরআন-সুন্নাহকেই অনুসরণ করে থাকে।
(১৬) মতবিরোধপূর্ণ মাসআলার ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর কাছাকাছি মতকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং সালাফে ছালেহীনের পথকে শক্তভাবে ধারণ করেন।
(১৭) অধিকাংশের রায় নয়; বরং কুরআন-সুন্নাহর সিদ্ধান্তই তাদের কাছে অগ্রগণ্য- যদিও অধিকাংশ মানুষই তার বিপরীতে।
(১৮) স্পষ্ট সহীহ হাদীস থাকার পরে যেকোন ব্যক্তি বা ইমামের মতামত আসলে তারা সর্বসম্মত তা বর্জন করে চলে। সহীহ হাদীসের বিরোধী এমন কোন মতকে তারা বাতিল বলে গণ্য করে (মাজমূঊ ফাতাওয়া, ৩য় খন্ড, পৃ. ৩৪৭-৩৪৮; শারফু আছহাবিল হাদীস, পৃ. ১৫; মা‘রেফা উলূমিল হাদীস, পৃ. ২-৩)।
(১৯) তারা যঈফ ও জাল হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন না এবং এর উপর আমলও করেন না।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: