ফসলের খরচ তিন প্রকার:
এক. যা ফসল করার জন্য নিজে খরচ করেছে, তবে ঋণ করে নয়, যেমন বীজ, সার, ক্ষেত করা বা ক্ষেত কাটার খরচ। এ ব্যাপারে দু'টি মত রয়েছে,
(১) অবস্থাভেদে উশর বা অর্ধ উশর বা তিন-চতুর্থাংশ নেয়ার আগে এটি বাদ যাবে না। বরং যা উৎপন্ন হয়েছে তার সবটাতেই উশর যাকাত আসবে। এমতটি হানাফী আলেমগণের, তাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন ইবন হাযম রাহিমাহুল্লাহ। [রাদ্দুল মুহতার (২/৪৯); ফাতহুল কাদীল (২/(৮)৯); ইবন হাযম, আল-মুহাল্লা (৫/২৫৮)]
(২) অবস্থাভেদে উশর বা অর্ধ উশর বা তিন-চতুর্থাংশ নেয়ার আগেই এটি বাদ দিতে হবে। বাকী যা থাকবে তা থেকে যাকাত দিতে হবে। এ মতটি গ্রহণ করেছেন হাম্বলীরা আর এটিই প্রাধান্য দিয়েছেন ইবনুল আরাবী আল-মালেকী। [আল-মুগনী (২/৬৯৮); "আরেদ্বাতুল আহওয়াযী (৩/১৪৩)]
বস্তুত এটা বাদ না দেয়াই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়। কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে এ ধরনের জিনিস বাদ দেয়া হয়নি। এ জাতীয় খরচ বাদ দিতে গেলে ফকীরের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
দুই. যা ফসল করার জন্য ঋণ করে খরচ করেছে, যেমন বীজ কিনেছে, সার দিয়েছে, লোক লাগিয়েছে এবং এর পিছনে ঋণ করে খরচ করেছে। এমতাবস্থায় ঋণ কি বাদ যাবে? এমতবাস্থায় তা যাকাতের হিসাবের আগেই বাদ দিয়ে দিতে হবে, এটিই ইবন উমার, সুফিয়ান আস-সাওরী, ইয়াহইয়া ইবন আদম আল-কুরাশী ও ইমাম আহমাদের মত। আর এটিই সঠিক বলে মনে হয়।
তিন. যা ফসল করার জন্য ঋণ করেনি। তবে নিজের ও পরিবার চালাতে গিয়ে ঋণ করেছে, এ ব্যাপারে দু'টি মত রয়েছে,
(১) ইবন 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমার মত হচ্ছে তা যাকাত হিসাব করার আগেই বাদ যাবে, অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের পর বাকীটার যাকাত দিবে।
(২) ইবন ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমা বলেন, বাদ দেয়া হবে না, কারণ সে তো নিজের জন্য খরচ করেছে, তাই সেটা ফসলের ওপর উঠিয়ে দিবে না। এমতটি অধিক গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে। [দেখুন: আবু উবাইদ, আল-আমওয়াল, পৃ. ৫০৯; ইয়াহইয়া ইবন আদম আল- কুরাশী, আল-খারাজ, ১৬২]
[সূত্র: উমদাতুল আহকাম (অনুবাদ ও ব্যাখ্যা), শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া]
এক. যা ফসল করার জন্য নিজে খরচ করেছে, তবে ঋণ করে নয়, যেমন বীজ, সার, ক্ষেত করা বা ক্ষেত কাটার খরচ। এ ব্যাপারে দু'টি মত রয়েছে,
(১) অবস্থাভেদে উশর বা অর্ধ উশর বা তিন-চতুর্থাংশ নেয়ার আগে এটি বাদ যাবে না। বরং যা উৎপন্ন হয়েছে তার সবটাতেই উশর যাকাত আসবে। এমতটি হানাফী আলেমগণের, তাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন ইবন হাযম রাহিমাহুল্লাহ। [রাদ্দুল মুহতার (২/৪৯); ফাতহুল কাদীল (২/(৮)৯); ইবন হাযম, আল-মুহাল্লা (৫/২৫৮)]
(২) অবস্থাভেদে উশর বা অর্ধ উশর বা তিন-চতুর্থাংশ নেয়ার আগেই এটি বাদ দিতে হবে। বাকী যা থাকবে তা থেকে যাকাত দিতে হবে। এ মতটি গ্রহণ করেছেন হাম্বলীরা আর এটিই প্রাধান্য দিয়েছেন ইবনুল আরাবী আল-মালেকী। [আল-মুগনী (২/৬৯৮); "আরেদ্বাতুল আহওয়াযী (৩/১৪৩)]
বস্তুত এটা বাদ না দেয়াই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়। কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে এ ধরনের জিনিস বাদ দেয়া হয়নি। এ জাতীয় খরচ বাদ দিতে গেলে ফকীরের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
দুই. যা ফসল করার জন্য ঋণ করে খরচ করেছে, যেমন বীজ কিনেছে, সার দিয়েছে, লোক লাগিয়েছে এবং এর পিছনে ঋণ করে খরচ করেছে। এমতাবস্থায় ঋণ কি বাদ যাবে? এমতবাস্থায় তা যাকাতের হিসাবের আগেই বাদ দিয়ে দিতে হবে, এটিই ইবন উমার, সুফিয়ান আস-সাওরী, ইয়াহইয়া ইবন আদম আল-কুরাশী ও ইমাম আহমাদের মত। আর এটিই সঠিক বলে মনে হয়।
তিন. যা ফসল করার জন্য ঋণ করেনি। তবে নিজের ও পরিবার চালাতে গিয়ে ঋণ করেছে, এ ব্যাপারে দু'টি মত রয়েছে,
(১) ইবন 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমার মত হচ্ছে তা যাকাত হিসাব করার আগেই বাদ যাবে, অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের পর বাকীটার যাকাত দিবে।
(২) ইবন ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমা বলেন, বাদ দেয়া হবে না, কারণ সে তো নিজের জন্য খরচ করেছে, তাই সেটা ফসলের ওপর উঠিয়ে দিবে না। এমতটি অধিক গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে। [দেখুন: আবু উবাইদ, আল-আমওয়াল, পৃ. ৫০৯; ইয়াহইয়া ইবন আদম আল- কুরাশী, আল-খারাজ, ১৬২]
[সূত্র: উমদাতুল আহকাম (অনুবাদ ও ব্যাখ্যা), শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া]