‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’, ‘ইয়া হাবীবাল্লাহ’ বলা যাবে কি? যেমন- আমার আব্বু, দাদী এবং আত্মীয়-স্বজন অনেকের মুখে শুনি, তারা ভাত খাওয়ার পর বলেন ‘ইয়া রাসূ

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো শানে এমন আহ্বান করা যাবে না। নবী, অলি অথবা সম্মানিত যেকোন ফেরেশতা কাউকে এভাবে ডাকা হারাম এবং কাবীরা গোনাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘দু‘আ হল ইবাদত’ (আবূ দাঊদ, হা/১৪৭৯; তিরমিযী, হা/২৯৬৯, সনদ ছহীহ)। দু‘আ মানে আহ্বান করা, ডাকা বা প্রার্থনা করা। যা কেবল মাহান আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। বহু মানুষ অতিভক্তি দেখাতে মূল সুন্নাত পালন না করে বিদ‘আতী পন্থায় রাসূলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু ভালোবাসার নামে বাড়াবাড়ি করা একেবারেই অন্যায়, যা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৪৫)। অথচ জীবিত ও উপস্থিত ছাড়া কোন ব্যক্তিকে ‘ইয়া’ দ্বারা আহ্বান করা যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) বলুন, আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই’ (সূরা আল-জিন : ২১)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন কিছু চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে এবং সাহায্য চাইলে আল্লাহর কাছেই চাইবে’ (তিরিমিযী, হা/২৫১৬; মিশকাত, হা/৫৩০২, সনদ ছহীহ)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি কেউ মনে করে রাসূলুল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ) আমাদের সাহায্য করবেন, বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, কল্যাণের জন্য, ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করবেন; তাহলে মুসলিম উম্মার ঐকমত্যে সে কাফের হয়ে যাবে’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ১২৪)। সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
 

Share this page