Doing Automated Jobs
উত্তর: এ মাসআলাটির দু’টি অবস্থা:
প্রথমঃ লোকটি উমরার নিয়ত না করে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বা কাজে জেদ্দা সফর করেছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর উমরা করার ইচ্ছা হয়েছে, তবে সে জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার হাদীসে মীকাতের আলোচনায় বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি এ মীকাতসমূহের মধ্যে অবস্থান করে, সে যেখানে আছে সেখান থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।”[1]
দ্বিতীয়ঃ দৃঢ়ভাবে উমরার নিয়ত করেই জেদ্দা সফর করেছে। তাহলে যে মীকাতের নিকট দিয়ে গমণ করবে তাকে অবশ্যই সেখান থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে। জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধা জায়েয হবে না। কেননা জেদ্দার অবস্থান মীকাতের সীমানার মধ্যে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি মীকাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,
«هُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجّ وَالْعُمْرة»
“এগুলো স্থান সেখানকার অধিবাসীদের জন্য এবং যারা এর বাইরে থাকে সেখান দিয়ে যেতে চায় তাদের জন্য ইহরাম বাঁধার মীকাত- যারা হজ ও উমরা করার ইচ্ছা পোষণ করে।”[2]
যদি জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধে এবং মক্কা প্রবেশ করে, তবে বিদ্বানদের মতে তাকে ফিদইয়াস্বরূপ মক্কায় একটি দম প্রদান করতে হবে এবং তার গোশত মক্কার ফক্বীর-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করে দিবে। তাহলেই তার উমরা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।জেদ্দা যাওয়ার আগে যদি উমরার নিয়ত করে থাকে এবং বিনা ইহরামে জেদ্দা প্রবেশ করে, তবে নিকটবর্তী কোনো মীকাতে ফেরত গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বাঁধবে। এতে কোনো ফিদইয়া লাগবে না।
[1] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: হজ উমরার জন্য মক্কাবাসীর মীকাত।
[2] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: মীকাতের ভিতরে যারা থাকে তাদের মীকাত। হাদীস নং ১৫২৯।
সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম। লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।
প্রথমঃ লোকটি উমরার নিয়ত না করে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বা কাজে জেদ্দা সফর করেছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর উমরা করার ইচ্ছা হয়েছে, তবে সে জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার হাদীসে মীকাতের আলোচনায় বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি এ মীকাতসমূহের মধ্যে অবস্থান করে, সে যেখানে আছে সেখান থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।”[1]
দ্বিতীয়ঃ দৃঢ়ভাবে উমরার নিয়ত করেই জেদ্দা সফর করেছে। তাহলে যে মীকাতের নিকট দিয়ে গমণ করবে তাকে অবশ্যই সেখান থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে। জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধা জায়েয হবে না। কেননা জেদ্দার অবস্থান মীকাতের সীমানার মধ্যে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি মীকাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,
«هُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجّ وَالْعُمْرة»
“এগুলো স্থান সেখানকার অধিবাসীদের জন্য এবং যারা এর বাইরে থাকে সেখান দিয়ে যেতে চায় তাদের জন্য ইহরাম বাঁধার মীকাত- যারা হজ ও উমরা করার ইচ্ছা পোষণ করে।”[2]
যদি জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধে এবং মক্কা প্রবেশ করে, তবে বিদ্বানদের মতে তাকে ফিদইয়াস্বরূপ মক্কায় একটি দম প্রদান করতে হবে এবং তার গোশত মক্কার ফক্বীর-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করে দিবে। তাহলেই তার উমরা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।জেদ্দা যাওয়ার আগে যদি উমরার নিয়ত করে থাকে এবং বিনা ইহরামে জেদ্দা প্রবেশ করে, তবে নিকটবর্তী কোনো মীকাতে ফেরত গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বাঁধবে। এতে কোনো ফিদইয়া লাগবে না।
[1] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: হজ উমরার জন্য মক্কাবাসীর মীকাত।
[2] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: মীকাতের ভিতরে যারা থাকে তাদের মীকাত। হাদীস নং ১৫২৯।
সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম। লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।