‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : সূরা ফীল-এ নবী (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করেন আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী! আপনি কি দেখেননি’? কিন্তু ঐ সমস্ত ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্মের বহুদিন পূর্বে স

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,143
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : এ সমস্ত ব্যাখ্য সম্পূর্ণ শরী‘আত পরিপন্থী এবং শিরক মিশ্রিত। কেননা চূড়ান্ত সত্য ও সর্বজনবিদিত বিষয়কে আরবী সাহিত্যে أَلَمْ تَرَ ‘আলাম তারা’ তুমি কি দেখোনি? শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে أَلَمْ تَرَ ‘আপনি কি দেখেননি’ থেকে উদ্দেশ্য হ’ল ‘আপনি কি শোনেননি’? যেমন এর অর্থ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, أَلَمْ تَسْمَعْ ‘তুমি কি শোননি?’ ফার্রা বলেছেন ألم تُخْبَر ‘তুমি কি খবর পাওনি?’ মুজাহিদ বলেছেন أَلَمْ تَعْلَمْ ‘তুমি কি জানো না?’ (তাফসীর কুরতুবী, সূরা ফীল- এর তাফসীর দ্রষ্টব্য)। কোন নিশ্চিত বিষয় জানানোর জন্য এরূপ বাকরীতি প্রয়োগ করা হয়। শব্দটি প্রশ্নবোধক হ’লেও বক্তব্যটি নিশ্চয়তাবোধক। আবরাহার কা‘বা অভিযান ও আল্লাহর গযবে তার ধ্বংসের কাহিনীটি আরবদের মুখে মুখে প্রচারিত ছিল। যদিও রাসূল (ছাঃ) সে ঘটনা দেখেননি, তবুও তা ছিল প্রশ্নাতীত একটি নিশ্চিত ঘটনা (তাফসীরুল কুরআন ৩০ তম পারা, ৪৮৬ পৃ.)।
নবী করীম (ছাঃ) তখনও ছিলেন এখনও আছেন, এটা মূলতঃ ছূফীবাদীদের শিরকী আক্বীদা। এর দ্বারা আল্লাহর ন্যায় রাসূলকেও চিরঞ্জীব প্রমাণের অপচেষ্টা করা হয়। মহান আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘অবশ্যই আপনি মৃত্যুবরণ করবেন এবং তারাও মৃত্যুবরণ করবে’ (যুমার ৩০)। অতএব প্রশ্নোল্লোখিত আক্বীদা পোষণ করা শিরক। এ থেকে তওবা করতে হবে।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page