‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : সাহু সিজদা দেয়ার কারণগুলো কী কী?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,496
Credits
24,212
উত্তর : সাহু সিজদা হল- ভুল সংশোধনী। ছালাতে ভুলক্রমে কোন ‘ওয়াজিব’ তরক হলে শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়। রাক‘আতের গণনায় ভুল হলে বা সন্দেহ হলে বা কম বেশী হয়ে গেলে বা ১ম বৈঠকে না বসে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণে এবং মুক্তাদীগণের মাধ্যমে ভুল সংশোধিত হলে ‘সিজদায়ে সাহু’ আবশ্যক হয়। ছালাতের ওয়াজিব তরক হলে ‘সিজদায়ে সাহু’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হলে ‘সিজদায়ে সাহু’ সুন্নাত হবে (শাওকানী, আ-সায়লুল জাররার, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৭৪)। যদি ইমাম ছালাত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তাহলে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ, দরূদে ইবরাহীম ও অন্যান্য দু‘আ পড়ার শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি ‘সিজদায়ে সাহু’ দিবেন অতঃপর সালাম ফিরাবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৭৯৯; মিশকাত, হা/১০১৫)। আবার ইমাম যদি রাক‘আত বেশী পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন, অতঃপর ভুল ধরা পড়ে, তাহলে (পূর্বের ন্যায় বসে) তাকবীর দিয়ে ‘সিজদায়ে সাহু’ দিয়ে সালাম ফিরাতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪০৪, ১২২৬, ৭২৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭২; আবূ দাঊদ, হা/১০১৯; তিরমিযী, হা/৩৯২; নাসাঈ, হা/১২৫৪, ১২৫৬, ১২৫৯; মিশকাত, হা/১০১৬)।
এছাড়া ইমাম যদি রাক‘আত কম করে সালাম ফিরিয়ে দেন, তখন তাকবীর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বাকী ছালাত আদায় করবেন ও সালাম ফিরাবেন। অতঃপর তাকবীর সহ দু’টি ‘সিজদাহে সাহু’ দিয়ে পুনরায় সালাম ফিরাবেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৮২; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭৩; আবূ দাঊদ, হা/১০০৮; নাসাঈ, হা/১২২৪; মিশকাত, হা/১০১৭)। অন্যদিকে যদি ছালাতের কমবেশী যাই-ই হোক সালামের আগে বা পরে দু’টি ‘সিজদায়ে সাহু’ দিবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭২)। তবে ছালাতে ভুল করলে প্রায় মুছল্লী তাশাহ্হুদ পড়ে ডান দিকে একবার সালাম ফিরায় অতঃপর ‘সিজদায়ে সাহু’ দিয়ে আবার তাশাহ্হুদ পড়ে। এই আমল ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বিশেষ করে একদিকে সালাম ফিরানোর কোন দলীলই নেই। একেবারেই ভিত্তিহীন। আর ‘সিজদায়ে সাহু’র পর তাশাহ্হুদ পড়া সম্পর্কে মাত্র একটি বর্ণনা এসেছে। কিন্তু সেটাও যঈফ (যঈফ আবূ দাঊদ, হা/১০৩৯, পৃঃ ৮৩; বিস্তারিত দ্র. তানক্বীহ, পৃ. ৩৩২-৩৫)। উক্ত হাদীছ ছহীহ হাদীছেরও বিরোধী। কারণ একই রাবী থেকে ছহীহ বুখারীতে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাশাহ্হুদ পড়ার কথা নেই (ছহীহ বুখারী, হা/৪৮২ (ইফাবা হা/৪৬৬); মিশকাত হা/১০১৭)।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
 

Share this page