‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : লাইলী-মজনু নিয়ে সমাজে প্রচলিত কাহিনীসমূহের কোন ভিত্তি আছে কি? তাদের জান্নাতে বিবাহ হওয়ার বিষয়টির সত্যতা আছে কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : লাইলী-মজনু খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে রচিত বিখ্যাত প্রেমমূলক কাব্যকাহিনীর দু’টি প্রধান চরিত্রের নাম। তাদের প্রেমের ঘটনাকে উপলক্ষ করে লায়লী-মজনু নামে খ্যাতনামা সুন্নী মুসলিম ফার্সী কবি নিযামী গাঞ্জাবী (১১৪১-১২০৯ খৃ.) মহাকাব্য রচনা করেন। মজনু ও লায়লা উভয়ে শৈশবকালে মেষ চরানোর সময় পরস্পরের প্রেমে পড়ে। কিন্তু তাদের পরিবার তাদের বিয়েতে আপত্তি করে। ফলে মজনু লায়লার প্রেমে পাগল হয়ে ঘুরতে থাকেন ও অবশেষে মজনু (পাগল) নামেই বিখ্যাত কবি হিসাবে পরিচিত হন। মজনুর প্রকৃত নাম সম্বন্ধে মতভেদ রয়েছে। যেমন ক্বায়েস বিন মুলাউয়াহ, বাখতারী বিন জা‘দ বা অন্য কিছু। তার গোত্রের নাম বনূ ‘আমের বিন ছা‘ছা‘আহ অথবা বনূ কা‘ব বিন সা‘দ। প্রেমিকা লায়লার নাম লায়লা বিনতে মাহদী আল-‘আমেরিয়াহ। আবু ওবায়দাহ বলেন, প্রেমে মত্ত হয়ে তিনি পাগল হয়ে যান। কথিত আছে যে, লায়লার গোত্র বাদশাহর নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে। ফলে বাদশাহ তার রক্ত মূল্যহীন ঘোষণা করেন। লায়লার গোত্র তাকে বাড়ী নিয়ে যায়। অন্যদিকে মজনু তার গোত্রে গিয়ে লায়লার প্রেমে আত্মহারা হয়ে কবিতা গাইতে থাকে। যা ছিল গভীর প্রেমমূলক। যা ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রেমকাব্য হিসাবে স্থান পেয়েছে। পাগলপারা হয়ে মজনু কখনো নাজদে, কখনো শামে ও কখনো হিজাযে দিশেহারা হয়ে ঘুরতে থাকে। একসময় তার মৃতদেহ বড় বড় পাথরসমূহের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যা তার গোত্রের লোকেরা উঠিয়ে নিয়ে যায় (তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট)। লায়লী-মজনুর এই ঘটনা ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া ও আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ)-এর শাসনকালে সংঘটিত হয়। যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হি.) বলেন, লাইলী-মজনুর প্রেমকাহিনীকে অনেকে ভিত্তিহীন বলেছেন। তবে তারা তাদের দাবীর পক্ষে কোন প্রমাণ পেশ করেননি (যাহাবী, সিয়ারু অ‘'লামিন নুবালা ৪/৫১১)। আরবী সাহিত্য সমালোচক ড. ত্বহা হোসাইন (১৩০৬-১৩৯৩ হি.) মনে করেন, লায়লী-মজনু নামে কিছুই নেই। বরং এগুলি বিভিন্ন যুগের কবিদের কল্পনা প্রসূত নাম। কবিগণ নিজেদের মজনু কল্পনা করে ও প্রেমিকাদের লায়লা ভেবে কবিতা রচনা করেছেন (হাদীছুল আরবি‘আ ১/১৭৪-১৮০)। কিছু মানুষের ধারণা জান্নাতে তাদের বিবাহ হবে। এগুলি স্রেফ কল্পকাহিনী। যার কোন ভিত্তি নেই।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page