‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কি শুরু থেকেই মাসজিদে দাফন করা হয়েছে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,151
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,773
Credits
24,212
উত্তর: বল, তাকে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরে দাফন করা হয়েছে। সেখানে কবরটি থাকাবস্থা ৮০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এক উমাইয়্যা খলীফা মসজিদে নববী সম্প্রসারণ করার ফলে ঘরটি প্রায় মাসজিদের ভেতর দেখায়। সে সময়কার আলেমগণ ঘরটিকে মাসজিদের ভিতের দাখিল করতে নিষেধ ও সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু খলিফা তাদের কথা শ্রবণ করেননি। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরের ওপর মাসজিদ নির্মাণ করা থেকে সতর্ক করে বলেন: “জেনে রেখো, তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা কবরকে মাসজিদ বানাতো, খবরদার তোমরা কবরকে মাসজিদ বানিয়ো না, কারণ আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি”। হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরের ওপর মাসজিদ নির্মাণকারী ও তাতে বাতি প্রজ্বলিত-কারীদেরকে অভিসম্পাত করেছেন। যেমনটি পাওয়া যায় সে হাদীসে যেটি সুনান গ্রন্থকারগণ বর্ণনা করেছেন। মূর্খতার প্রাধান্য, বিদ‘আত ও কুসংস্কার পন্থীদের ধোঁকাবাজির কারণে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা করে মাসজিদে কবর দেয়া, তাতে সমাধি তৈরি করা, তার উপর পর্দা ঝুলানো, তাতে বাতি জ্বালানো, তাওয়াফ করা এবং তার উপর মানত ও দানবাক্স রাখা ইত্যাদিকে তারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের কারণ বানিয়েছে। অতএব নেককার লোকদের ভালোবাসা, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের মাধ্যমে রাব্বুল আলামীনের প্রতি মনোনিবেশ করা যাতে দু‘আকারীতের ডাকে সাড়া দেয়, ইত্যাদির নামে শির্ক ও বিদআতে ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলো সবই পূর্বের গোমরাহ লোকদের পরিত্যক্ত বিভ্রান্তি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই পূর্ববর্তীদের রীতি-নীতির অনুসরণ করবে। যেমন এক পালক অপর পালকে সমান হয়। তাদের কেউ যদি ধাব্ব (গুইসাপ) এর পরিত্যক্ত গর্তে প্রবেশ করে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে”। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

সূত্র: ইসলামহাউজ.কম।
 

Share this page