‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : বুখারী ৪০২৪ নং হাদীছে উল্লেখ রয়েছে ওছমান (রাঃ)-এর হত্যাকান্ডের পর আর কোন বদরী ছাহাবী জীবিত ছিলেন না। কিন্তু ইতিহাসে প্রমাণিত যে আলী (রাঃ) চতূ

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : এখানে প্রশ্নকারীর বুঝতে ভুল হয়েছে। হাদীছটি বর্ণনা করেছেন প্রখ্যাত তাবেঈ সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (১৫-৯৪ হি.)। এখানে তিনি বলেন যে, প্রথম ফিৎনা অর্থাৎ ৩৫ হিজরীতে ওছমান হত্যাকান্ডের পর বদরী ছাহাবীদের আর কেউ বেঁচে ছিলেন না। দ্বিতীয় ফিৎনা অর্থাৎ ৬৩ হিজরীতে হার্রার ঘটনার পর হোদায়বিয়ার সন্ধিকালীন কোন ছাহাবী আর জীবিত ছিলেন না। এরপর ৬৪ হি. থেকে খারেজীদের তৃতীয় ফিৎনা শুরু হওয়ার পর তা আর কখনোই শেষ হয়নি। যতদিন না তা মানুষের সমস্ত শক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি নিঃশেষ করে দেয়’ (বুখারী হা/৪০২৪; মিশকাত হা/৫৪০৯)। এর ব্যাখ্যা এই যে, ওছমান (রাঃ)-এর হত্যাকান্ডের ফিৎনা থেকে হার্রার ফিৎনা (৬৩ হিজরীতে মদীনার নিকটবর্তী হার্রা নামক স্থানে ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়ার সৈন্যদের সাথে মদীনাবাসীদের যুদ্ধ, যাতে বহু ছাহাবী এবং তাবেঈ নিহত হন) পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে সকল বদরী ছাহাবী মারা যান, যাদের মধ্যে আলী (রাঃ)ও ছিলেন। সর্বশেষ বদরী ছাহাবী সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ) মারা যান এ যুদ্ধের কয়েক বছর পূর্বে। আর হার্রার ফিৎনা শুরু হওয়ার পর থেকে তৃতীয় ফিৎনা (৬৪ থেকে ৭৮ হিজরী সময়কালে বছরায় বিস্তৃত আযারিকাহ নামক খারেজী সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ) পর্যন্ত সময়ে হুদায়বিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল ছাহাবী মারা যান। এই তৃতীয় ফিৎনার সময় সকল ছাহাবী মারা যান। মোটকথা ওছমান হত্যার সূত্র ধরে অবশিষ্ট বদরী ছাহাবীগণ একে একে সকলে শাহাদাত বরণ করেন (ফাৎহুলবারী ৭/৩২৫; মিরক্বাত ৮/৩৪০৪; ঊমদাতুল ক্বারী ১৭/১১৯)
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page