সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
FORUM BOT

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: প্রসাবের পর ঢিলা কুলুখ বা পানি ব্যবহার

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : ঢিলা বা কুলুখ ব্যবহারের সুন্নতি তরিকা /পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে
নিচে নারী ও পুরুষের উভয়ের জন্যই পবিত্রতা
অর্জনের সঠিক পদ্ধতি বর্ণনা করা হচ্ছে।





স্পষ্ট করে বলার পরেও অনেকে আবার প্রশ্ন করেন,
নারীদের পবিত্রতার পদ্ধতি কি? নারী ও পুরুষের
উভয়ের পদ্ধতিই এক।



পেশাব-পায়খানার পরে নাপাকী দুইভাবে দূর করা
যেতে পারে -



১. পানি দ্বারা



২. ঢিলা-কুলুখ দ্বারা



পানি দ্বারা নাপাকী দূর করলে আর ঢিলা বা কুলুখ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা নারী ও পুরষ, উভয়ের জন্য।



অনেকে মনে করেন, পুরুষের পবিত্রতা
অর্জনের শুধুমাত্র ঢিলা কুলুখ বা পানি যথেষ্ঠ না,
প্রথমে ঢিলা কুলুখ নিয়ে পরে পানি নিতে হবে।





এটা ভুল ধারণা। ঢিলা-কুলুখের নিয়ম নারী-পুরুষ সবার জন্যই এক। বরং, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময়ে কুবা মসজিদের কিছু মুসল্লী ঢিলা-কুলুখ না নিয়ে সরাসরি পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করতো আর আল্লাহ এটাকে পছন্দ করেন এজন্য তাদের প্রশংসা করে কুরআনে আয়াত নাযিল করেন।





আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ








ﻓﻴﻪ ﺭﺟﺎﻝ ﻳﺤﺒﻮﻥ ﺃﻥ ﻳﺘﻄﻬﺮﻭﺍ



“সেখানে এমন কিছু লোক আছে যারা
নিজেদেরকে পূত-পবিত্র রাখতে পছন্দ করে।”
সূরা তাওবাঃ ১০৮।



এই আয়াতটি কূবাবাসীদের উদ্দেশ্যে নাযিল
হয়েছে। কারণ তারা শুধু পানি দ্বারা ইস্তেন্জা করত।
তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ, হাদীছ সহীহ।


পবিত্রতা অর্জনের জন্য পেশাব করার পরে তাড়াহুড়া
করে উঠে না পড়ে, একটু সময় অপেক্ষা করতে
হবে, যাতে করে নিশ্চিত হওয়া যায় পেশাব আর বের
হবেনা।





তারপর পানি অথবা ঢিলা-কুলুখ (অথবা টিস্যু) দিয়ে
নাপাকী পরিষ্কার করতে হবে। শুধু পানি দিয়ে নাপাকী দূর করা উত্তম, সেইক্ষেত্রে আর ঢিলা-কুলুখ/টিস্যু ব্যবহার করা লাগবেনা।


তবে পানি ব্যবহার না করে শুধু টিস্যু বা ঢিলা
কুলুখ ব্যবহার করলেও হয়ে যাবে। নাপাকী দূর
করলেই হবে।



কিন্তু এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবেনা বা শয়তানের
ওসওয়াসাকে অন্তরে স্থান দেওয়া যাবেনা। আপনি
এটা নিয়ে দুঃশিচন্তা করে আপনার জীবন অতিষ্ট
করে তুলবেন না আবার পেশাব থেকে বেঁচে
থাকতে অসতর্কও হবেন না।



আপনার যতটুকু সাধ্য আছে সে অনুযায়ী চেষ্টা
করবেন নাপাকী থেকে মুক্ত থাকার জন্য। কিন্তু
রোগের কারণে সেটা সম্ভব না হলে, আল্লাহ
কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো বোঝা
চাপিয়ে দেন না।



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুলুখ ও পানি একত্রে ব্যবহার করেছেন এ মর্মে কোনো
প্রমাণ পাওয়া যায় না। তিনি কখনো কেবল পানি ব্যবহার করেছেন।


(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত
হা/৩৪২, ৩৬০ ‘টয়লেটের শিষ্টাচার’ অনুচ্ছেদ)



কখনো বেজোড় সংখ্যক কুলুখ ব্যবহার
করেছেন (বুখারী হা/১৫৫-৫৬ ‘ওযূ’ অধ্যায় ‘কুলুখ’
ব্যবহার অনুচ্ছেদ ২০, ২১).



ওযূ শেষে তিনি কিছু পানি লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে
দিতেন (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৬১, ৩৬৬).



এটি ছিল সন্দেহ দূর করার জন্য। এর চেয়ে বেশী
কিছু করা বাড়াবাড়ি মাত্র। ঢিলা ব্যবহার করার পর পানি নেওয়ার যে বর্ণনা প্রচলিত আছে তা ভিত্তিহীন ।


(ইরওয়াউল গালীল হা/৪২;সিলসিলা যঈফাহ হা/১০৩১)।


ইসলাম আমাদেরকে নির্লজ্জ-বেহায়া হতে শিক্ষা
দেয়নাঃ অনেক বিদাতি হুজুরেরা শিক্ষা দেয় ছেলেদের ইস্তিঞ্জার পরে ঢিলা-কুলুখ নিয়ে ৪০ কদম হাটতে হবে (নাউযুবিল্লাহ). আবার তারা বলে এটা করা ওয়াজিব, না করলে পবিত্রতা অর্জন হবেনা, আর পবিত্রতা ছাড়া নামাযও হবেনা।


আমাদের দেশের মসজিদগুলোর বাথরুমের পাশ দিয়ে গেলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়, কখন আপনি সভ্যতা বিরোধী এই কাজের সম্মুখে পড়ে যান।


অথচ, যে করছে সে দিব্যি এগুলো নেকীর কাজ মনে করে করে যাচ্ছে, কোনো বিকার নেই (লা হা'উলা ওয়াল কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)।



যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ আমাকে রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ জানার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই জঘন্য কাজ রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবারও করেন নি,
এমনকি কোনো সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে
তাবেয়ী কেউই করেন নি।


এটা স্রেফ মূর্খ মুসলমানের ফতোয়া।
দেশের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী এই নিকৃষ্ট
বেদাতের সাথে জড়িত।


নিজে জানুন, শেয়ার করে অন্যকে জানান। এইরকম নিকৃষ্ট শিরক ও বেদাতের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের জন্য কাজ করার তোওফিক দান করুন।



লজ্জাস্থান ধরে রাস্তায় হাটাহাটি করা বেদাতঃ
ইবাদতের নামে যেই কাজ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে করেন নি, তাঁর
সাহাবীদেরকে করতে বলেন নি অথবা কোনো
সাহাবী, তাবেয়ী বা তাবে তাবেয়ী করেন নি,
সেই কাজটা হলো বেদাত।



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইস্তিঞ্জার
পরে ৪০ কদম হাটেন নি, তিনি তাঁর সাহাবীদের এমনটা করতে বলেন নি, কোনো একজন সাহাবী এমনটা করেন নি। এমনকি যাদের পেশাব ফোটায় ফোটায় পড়তো তারাও এইরকম করেন নি।



এখন কেউ যদি এসে বলে এই কাজটা করতে হবে,
এটাই হলো বেদাত – ধর্মের নামে নতুন কাজ যা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেন নি।



আর এই কাজটা দেখতে এতোটাই দৃষ্টিকটু, লজ্জা
শরমের মাথা না খেয়ে কেউই এই নিকৃষ্ট বেদাতী
কাজটা করতে পারবেনা।


তারপরেও বেদাত করতে করতে যাদের ঘাড় ত্যাড়া হয়ে গেছ, দয়া করে বলবেন কুরআনের কোন আয়াতে, অথবা কত নাম্বার হাদীসে অথবা কোন সাহাবী এই কাজটা করেছন তাঁর দলীল দেন। যদি দলীল দিতে পারেন তাহলে, ইন শা’ আল্লাহ আমরা মেনে নেবো। আর যদি না পারেন তাহলে এইসমস্ত কাজ বাদ দেবেন।






“পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা
বের হয়েছে”



প্রশ্নঃ জনৈক ব্যক্তি পেশাব শেষ করে পেশাবের
স্থান ধৌত করে নেয়। কিন্তু যখনই সে নড়াচড়া করে
ও দাঁড়ায়, তখন অনুভব হয় যে, কয়েক ফোটা
পেশাব বের হয়েছে। এ জন্য সে দীর্ঘ সময়
পেশাবের স্থানে বসে থাকে আর বলেঃ কি করব?
সে কি তার এ অনুভূতি ও ধারণা ত্যাগ করে অযূ পূর্ণ
করে নেবে? না, পরিপূর্ণ পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করবে? আশা করি উত্তর দিয়ে বাধিত
করবেন। আল্লাহ আপনাদের কল্যাণ করুন।






উত্তরঃ আল-হামদুলিল্লাহ। এ বিষয়টি ওয়াসওয়াসা ও সন্দেহ থেকে সৃষ্টি হয়। আর এগুলো তৈরী হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। তবে কারো কারো ব্যাপারে
প্রকৃত পক্ষেই এমন ঘটে।


আর প্রকৃত হলে, সে তাড়াহুড়ো করবে না, বরং পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, অতঃপর পানি দ্বারা পেশাবের স্থান ধৌত করবে।


এরপর যদি কোন কিছুর আশঙ্কা থাকে,
তাহলে লজ্জাস্থানের আশপাশে লুঙ্গি বা পায়জামায় পানি ছিটিয়ে দেবে।


অতঃপর অযু শেষ করার পর যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, সে দিকে সে ভ্রুক্ষেপ করবে না। ওয়াসওয়াসা ত্যাগ করার জন্য এ পদ্ধতি তার জন্য সহায়ক হবে।
আর যদি শুধুই সন্দেহ ও ওয়াসওয়াসা হয়, যার কোন
বাস্তবতা নেই, তবে তার প্রতি মোটেই ভ্রক্ষেপ
করবে না।


মুমিনদের জন্য এ সমস্ত জিনিসে দৃষ্টি না দেয়া উচিত। কারণ, এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। শয়তান চায় মানব জাতির সালাত-ইবাদত নষ্ট করতে। অতএব,
তার ষড়যন্ত্র ও ওয়াসওয়াসা থেকে সতর্ক থাকা জরুরি।



আল্লাহকে আকড়ে থাকা এবং তার উপর ভরসা করা। আর এসব যা কিছু সৃষ্টি হয়, তা শয়তানের পক্ষ থেকে মনে করা, যাতে অযূ এবং তার পরবর্তী সালাতে এর প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ সৃষ্টি না হয়। আর নিশ্চিতভাবে কিছু বের হলে, পুনরায় পবিত্র হবে ও অযূ করবে।



আর ধারণার কোনই গ্রহণ যোগ্যতা নেই। যদিও ৯৯%
ভাগ ধারণা হয়, তার প্রতিও কোন ভ্রুক্ষেপ করা যাবে
না। এগুলো শয়তানের প্ররোচনা। যতক্ষণ পর্যন্ত
দৃঢ় বিশ্বাস না হবে, সে তার অযূ, সালাত ও অন্যান্য কাজ করে যাবে।



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ হে আল্লাহর রাসূল, কোন ব্যক্তির ধারণা হয় যে, তার সালাতে কিছু বের হয়েছে। উত্তরে তিনি বলেন : ( ﻟَﺎ ﻳَﻨْﺼَﺮِﻑْ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ )


সালাত ত্যাগ করবে না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে, অথবা গন্ধ পায়। এখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আওয়াজ বা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত, কেবল ধারণার উপর নির্ভর করে সালাত ত্যাগ করবে না। তদ্রূপ মানুষ যখন অযূ থেকে ফারেগ হয়, অতঃপর কোন কিছু অনুভূত হলে, সে দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না, এবং তার প্রতি ফিরে যাবে না।


বরং, সে তার পবিত্রতা, সালাত ও আমল করে যাবে, যতক্ষণ না ১০০% ভাগ ধারণা হয় যে, কিছু বের হয়েছে। কারণ, কিছু বের না হওয়াই নিয়ম। আরো স্মরণ রাখবে যে, শয়তানের ওয়াসওয়াসা, তার
প্ররোচনা ও তার সৃষ্ট সন্দেহ দ্বারা উদ্দেশ্য
হচ্ছে, মুমিনকে ক্লান্ত করা ও তাকে কল্যাণকর এসব
কাজ থেকে বিরত রাখা। আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাচ্ছি।



ফতোয়া দিয়েছেনঃ
আল্লামাহ, শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায রাহিমাহুল্লাহ
" ﻓﺘﺎﻭﻯ ﻧﻮﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭﺏ" ‏( 2/577 ‏)



পেশাব করার পরে যার সত্যি সত্যিই পেশাব বের হয়
সে কি করবে…??



১. পেশাব করার শেষে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু
বেশি চাপ দিবে যাতে করে পেশাব পড়া বন্ধ হয়।



২. এর পরেও যদি পেশাব বের হতে থাকে তাহলে
টিস্যু বা ঢিলা-কুলুখ নিয়ে পেশাব ঝেড়ে ফেলে
দিতে হবে (সাবধান! হাটাহাটি না)। সে শুধু লজ্জাস্থান একটু ঝেড়ে পেশাব ফেলার চেষ্টা করবে এবং এর পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবে। এটা নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়াবাড়ি করে জীবনটাকে কষ্টকর করে তুলবেন না।



৩. এর পরেও যদি মনে হয় পেশাব বের হচ্ছে,
এটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা। এই অবস্থায় সে পেশাব
বের হচ্ছে কি নাহচ্ছে সেইদিকে মোটেও ভ্রুক্ষেপ করবেনা। ওযু করার পরে সে কাপড়ের উপর দিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ও তার আশেপাশে সামান্য পানির ছিটা দিবে, এতে সে ওয়াসওয়াসায় পড়বেনা। আর ওযু করার পরে বা নামাযে পেশাববের হয়েছে এমন সন্দেহ হলে একবার আউযুবিল্লাহ…পড়বে এর পরে আর কোনো চিন্তা করবেনা, যদিওবা পেশাব বের হয়ে যায়! এই অবস্থায় সে মাযুর বা অসুস্থ, তার ওযু ভাংবেনা।



৪. আর কেউ যদি নিশ্চিত হয় যে, ওযু করার পরে,
নামাযে বা এমনিতে যে কোনো সময় পেশাব
পড়ে, তাহলে সে চিকিতসা করাবে কারণ এটা একটা
রোগ।


আর চিকিৎসা করেও উপকার না পেলে, সে
লজ্জাস্থানে তুলা/কাপড় বা আন্ডারওয়ার পড়বে যাতে
করে পেশাব গায়ে বা কাপড়ে না লাগে। যদি সম্ভব
হয় প্রত্যেক নামাযের আগে সে সেটা চেঞ্জ
করে নিবে।


আর যদি এই চেঞ্জ করার মাঝে কিছু
পেশাব গায়ে বা কাপড়ে লাগে, অথবা চেঞ্জ করার
সুযোগ না থাকে, তবু ঐ অবস্থাতেই নামায পড়ে
নিবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই নামায ত্যাগ করা
যাবেনা।



৫. আর একটা মাসয়ালা হলো, এই রকম যাদের পেশাব পড়া রোগ, সে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের
আগে নতুন করে ওযু করে নিবে, কারণ তার জন্য
এক ওযুতে একাধিক ওয়াক্তের নামায হবেনা।


একবার ওযু করে শুধু এক ওয়াক্তের ফরয/সুন্নত/নফল সবগুলো নামায পড়তে পারবে। নতুন ওয়াক্তের নামাযের জন্য নতুন করে ওযু করে নিতে হবে।



***এখানে চেষ্টা করা হয়েছে, এটা বুঝানো যে
এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে সাধ্য অনুযায়ী
চেষ্টা করবে নাপাকী থেকে মুক্ত থাকার জন্য।
কিন্তু যেটা ক্ষমতার বাইরে থাকবে বা যেটা করা
কষ্টকর হয়ে যাবে সেই ব্যপারে আল্লাহ
ক্ষমাশীল।



“আর আল্লাহ বান্দাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।”



“আল্লাহ সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা কারো উপর
চাপিয়ে দেন না।” আসুন কোরআন দিয়ে জীবন
গড়ি।



বারাকাল্লাহ ফীকুম।
 
Top