‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শুধু ফরজ নামাজগুলো পড়লে কি নামাজ কবুল হবে বা পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে? সুন্নত নামাযগুলো না পড়লে কি গুনাহ হবে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আগে ও পরের সুন্নত সালাতগুলোকে ‘সুন্নতে রাতেবা’ (নিয়মিত সুন্নত) বলা হয়। ফিকহী দৃষ্টিতে এগুলো ‘সুন্নতে মুআক্কাদা’ (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত) এর অন্তর্ভুক্ত। কোন ব্যক্তি যদি ফরজ সালাতগুলো আদায়ের পাশাপাশি এ সকল সুন্নত সালাতগুলো যত্নসহকারে আদায় করে তাহলে তার জন্য রয়েছে অবারিত সওয়াব ও বিশাল মর্যাদা। কোন ওজর বশত: আদায় না করলে গুনাহ হবে না। কিন্তু এগুলো নিয়মিত পরিত্যাগ করা বা সুন্নত পরিত্যাগ করাকে অভ্যাসে পরিণত করা অত্যন্ত বিপদজনক ও বিশাল সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ-এতে কোনো সন্দেহ নাই। বিস্তারিত নিম্নরূপ: তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাজদবাসী এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার কথার মৃদু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু সে কি বলছিল, আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে সে কাছে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগল। ● রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। – সে বলল: ‘আমার উপর এ ছাড়া আরো সালাত আছে কি?’ ● তিনি বললেন: ‘না, তবে নফল আদায় করতে পার। ● রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আর রমযানের সিয়াম। – সে বলল, ‘আমার উপর এ ছাড়া আরো রোযা আছে? ● তিনি বললেন: না, তবে নফল আদায় করতে পার। বর্ণনাকারী বলেন: ● রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে যাকাতের কথা বললেন। – সে বলল, ‘আমার ওপর এ ছাড়া আরো দেয় আছে? ● তিনি বললেন: না, তবে নফল হিসেবে দিতে পার। বর্ণনাকারী বলেন: সে ব্যক্তি এই বলে চলে গেলেন, وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ “আল্লাহর কসম! আমি এর চেয়ে বেশিও করব না এবং কমও করব না।” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ “সে সফলকাম হবে যদি সত্য বলে থাকে।” উল্লেখ্য যে, ফরজ ব্যতিরেকে যত সালাত আছে সবই নফল হিসেবে পরিগণিত। [সহীহ বুখারী হাদিস নম্বর: [44] অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান (كتاب الإيمان), ইসলামিক ফাউন্ডেশন] উক্ত হাদিসের আলোকে আলেমগণ বলেন, ফরজ ছাড়া অন্যান্য ইবাদত না করলেও আখিরাতের সাফল্য লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য যথেষ্ট হবে।
 

Share this page