Doing Automated Jobs
উত্তর: দাম্পত্য জীবন মূলত: স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পপারিক ভালবাসা, দয়া-মমতা, আস্থা ও বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। এ বিষয়গুলো দাম্পত্য জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক স্বামী-স্ত্রী এ বিষয়ে অজ্ঞতা বা অবহেলার কারণে সময়ের ব্যবধানে তারা দাম্পত্য জীবনের উষ্ণতা ও আবেদন হারিয়ে ফেলে। ফলে দুজনের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং অবশেষে ঈমানী দুর্বলতা, কু প্রবৃত্তির তাড়না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণায় তারা ভিন্ন পথ খুঁজা শুরু করে। ফুল বাগানের যদি যথাযথ পরিচর্যা না করা হয় তাহলে যেভাবে তাতে সজীবতা ও সৌন্দর্য বজায় থাকে না ঠিক তেমনটি দাম্পত্য জীবনের যথাযথা পরিচর্যা না হলে সেটাও তার শান্তি ও সৌন্দর্য হারাতে থাকে। তাই নিম্নে অতি সংক্ষেপে দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা বৃদ্ধির ১২টি সহজ উপায় তুলে ধরা হল: ১) বাড়ীতে প্রবেশ করার সময়, বাহির হওয়ার সময়, সফর থেকে ফিরে আসার সময় বা টেলিফোনে কথা বলার সময় সালাম বিনিময় করা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানানো। ২) উপহার বিনিময় করা- ঈদ বা যে কোন পারিবারিক আনন্দ বা অন্য যে কোন সময়। ৩) হাসি মুখে সাক্ষাৎ করা ও কথা বলা। গোমড়া মুখ দেখলে ভাল মনও খারাপ হয়ে যায়। ৪) পরস্পরের কথা মন দিয়ে শোনা এবং তাতে অনুভূতি প্রকাশ করা। ৫) কোন কিছু ভাল লাগলে তার প্রশংসা করা। যেমন, সুন্দর পোশাক, সাজ-গোঁজ, বিশেষ কোন কথা, বিশেষ কোন কাজ বা চারিত্রিক গুণ ইত্যাদি। ৬) ভালবাসার কথা মুখে প্রকাশ করা। এ ক্ষেত্রে বাড়িয়ে বললেও কোন সমস্যা নাই। ৭) একজন রাগ করলে অপরজন চুপ থাকা। রাগ কমলে বিষয়টি নিয়ে শান্তভাবে কথা বলা। প্রয়োজনে ক্ষমা চাওয়া। ৮) স্বামী-স্ত্রী যে কেউ হঠাৎ কোন ভুল করে ফেললে সেটাকে ক্ষমা করে দেয়া এবং বারবার সেটা তার সামনে পেশ করে তাকে বিব্রত না করা। ৯) পারিবারিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সন্তান প্রতিপালন ইত্যাদি বিষয়ে দুজনে পরামর্শ করা। ১০) স্ত্রীর গৃহস্থালির কাজে যথা সম্ভব সাহায্য করা। ১১) অসুখ-বিসুখ, মানসিক অস্থিরতা বা স্ত্রীর গর্ভ ধারণ ইত্যাদি ব্যক্তিগত বিষয়ে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করা। ১২) একে অপরকে সুখী করার মানসিকতা নিয়ে আচরণ করা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধা বোধ বজায় রাখা। ▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬ গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল fb id: AbdullaahilHadi দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব