Doing Automated Jobs
(১)প্রশ্ন: জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানানো বা দাঁড়িয়ে সালাম দেয়া কি জায়েজ?
(২)প্রশ্ন: যদি স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদেরক জাতীয় পতাকায় দাঁড়িয়ে সম্মন প্রদর্শন করতে আদেশ করে তাহলে কী করণীয়?
(১)উত্তর: কোন মুসলিমের জন্য জাতীয় পতাকা কে স্যালুট দেওয়া বা দাঁড়িয়ে সালাম করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নেই।
মূলত এটি অমুসলিমদের থেকে মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। এটি পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ মাত্র।
জড় পদার্থকে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়া বা স্যালুট করা মূর্খতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির ফতোয়া হল:
لا وز للمسلم القيام إعظاماً لأي علم وطني، أو سلام وطني، بل هو من البدع المنكرة التي لم تكن في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا في عهد خلفائه الراشدين رضي الله عنهم، وهي منافية لكمال التوحيد الواجب وإخلاص التعظيم لله وحده، وذريعة إلى الشرك، وفيها مشابهة للكفار وتقليد لهم في عاداتهم القبيحة، ومجاراة لهم في غلوهم في رؤسائهم ومراسيمهم، وقد نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن مشابهتهم أو التشبه بهم. انتهى.
“কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানো বা জাতীয় সালাম প্রদান জায়েজ নাই বরং এটি জঘন্য বিদআত যা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খুলাফায়ে রাশেদার যুগে ছিল না।
এটি অত্যাবশ্যকীয় তাওহীদের পূর্ণতা এবং এক আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ সম্মান প্রদর্শনের পরিপন্থী। এটি শিরকের মাধ্যম।
এটি কাফেরদের সাদৃশ্য এবং নিকৃষ্ট রীতি-নীতির অন্ধ অনুকরণ মাত্র। কাফেররা তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের অনুষ্ঠানাদিতে যেভাবে বাড়াবাড়ি করে এর মাধ্যমে তাদের সাথে মিল দেয়া হয়।
অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন বা তা তাদের সাথে মিল দেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।”
[ফতোয়া ১/২৩৫, ফতোয়া নং ২১২৩]
এগুলো মূলত দেশকে ভালোবাসার নামে মেকি প্রদর্শনী। দেশের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসার অর্থ হল, দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা, সব ধরণের দুর্নীতি, অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।
দেশ বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকা, দুর্নীতি ও অন্যায়-অপকর্ম করা, সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা, সরকারী সম্পদ লুটপাট করা, মানুষের প্রতি জুলুম-নির্যাতন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার নাম দেশ প্রেম নয়।
বরং এগুলো দেশ ও দেশের পতাকাকে অবমাননার শামিল।
মোটকথা, আমরা দেশ এবং দেশের পতাকার ভালোবাসা ও সম্মান অন্তরে ধারণ করব। কিন্তু তাই বলে মুসলিম হিসেবে ভিনদেশি অমুসলিমদের কালচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না।
(২) উত্তর: যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জাতীয় পতাকাকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করার নির্দেশ দেয় এবং নির্দেশ পালন না করলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করে তাহলে তারা এ ক্ষেত্রে মাজুর।
যারা এর নির্দেশ দিবে তারা গুনাহগার হবে। কেউ যদি তা মন থেকে সমর্থন না করে এবং প্রতিবাদ করারও সামর্থ না থাকে বরং সরকারী আইনে তা করতে বাধ্য হয় তাহলে তারা ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে।
আল্লাহ আামাদেরকে ক্ষমা করুন এবং বুঝার শক্তি দান করুন।
আমীন।
▬▬▬▬◢◯◣▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।
(২)প্রশ্ন: যদি স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদেরক জাতীয় পতাকায় দাঁড়িয়ে সম্মন প্রদর্শন করতে আদেশ করে তাহলে কী করণীয়?
(১)উত্তর: কোন মুসলিমের জন্য জাতীয় পতাকা কে স্যালুট দেওয়া বা দাঁড়িয়ে সালাম করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নেই।
মূলত এটি অমুসলিমদের থেকে মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। এটি পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ মাত্র।
জড় পদার্থকে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়া বা স্যালুট করা মূর্খতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির ফতোয়া হল:
لا وز للمسلم القيام إعظاماً لأي علم وطني، أو سلام وطني، بل هو من البدع المنكرة التي لم تكن في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا في عهد خلفائه الراشدين رضي الله عنهم، وهي منافية لكمال التوحيد الواجب وإخلاص التعظيم لله وحده، وذريعة إلى الشرك، وفيها مشابهة للكفار وتقليد لهم في عاداتهم القبيحة، ومجاراة لهم في غلوهم في رؤسائهم ومراسيمهم، وقد نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن مشابهتهم أو التشبه بهم. انتهى.
“কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানো বা জাতীয় সালাম প্রদান জায়েজ নাই বরং এটি জঘন্য বিদআত যা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খুলাফায়ে রাশেদার যুগে ছিল না।
এটি অত্যাবশ্যকীয় তাওহীদের পূর্ণতা এবং এক আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ সম্মান প্রদর্শনের পরিপন্থী। এটি শিরকের মাধ্যম।
এটি কাফেরদের সাদৃশ্য এবং নিকৃষ্ট রীতি-নীতির অন্ধ অনুকরণ মাত্র। কাফেররা তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের অনুষ্ঠানাদিতে যেভাবে বাড়াবাড়ি করে এর মাধ্যমে তাদের সাথে মিল দেয়া হয়।
অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন বা তা তাদের সাথে মিল দেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।”
[ফতোয়া ১/২৩৫, ফতোয়া নং ২১২৩]
এগুলো মূলত দেশকে ভালোবাসার নামে মেকি প্রদর্শনী। দেশের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসার অর্থ হল, দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা, সব ধরণের দুর্নীতি, অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।
দেশ বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকা, দুর্নীতি ও অন্যায়-অপকর্ম করা, সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা, সরকারী সম্পদ লুটপাট করা, মানুষের প্রতি জুলুম-নির্যাতন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার নাম দেশ প্রেম নয়।
বরং এগুলো দেশ ও দেশের পতাকাকে অবমাননার শামিল।
মোটকথা, আমরা দেশ এবং দেশের পতাকার ভালোবাসা ও সম্মান অন্তরে ধারণ করব। কিন্তু তাই বলে মুসলিম হিসেবে ভিনদেশি অমুসলিমদের কালচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না।
(২) উত্তর: যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জাতীয় পতাকাকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করার নির্দেশ দেয় এবং নির্দেশ পালন না করলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করে তাহলে তারা এ ক্ষেত্রে মাজুর।
যারা এর নির্দেশ দিবে তারা গুনাহগার হবে। কেউ যদি তা মন থেকে সমর্থন না করে এবং প্রতিবাদ করারও সামর্থ না থাকে বরং সরকারী আইনে তা করতে বাধ্য হয় তাহলে তারা ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে।
আল্লাহ আামাদেরকে ক্ষমা করুন এবং বুঝার শক্তি দান করুন।
আমীন।
▬▬▬▬◢◯◣▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।