‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) সূরা ফাতিহা পড়ার পর মাঝে মাঝে জোরে আমীন বলতেন লোকদেরকে এ ব্যাপারে জানানোর জন্য। এটা তার সবসময়কার আমল ছিল না। একথা

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,138
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,741
Credits
24,212
উত্তর : উক্ত দাবীটি সঠিক নয়। ইমাম যখন সশব্দে সূরা ফাতিহা শেষ করবেন, তখন
মুক্তাদীগণও সাথে সাথে সশব্দে আমীন বলবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন ‘যখনই ইমাম ওয়া লাযযা-ল্লীন’ বলবে অন্য বর্ণনায় যখন ‘আমীন’ বলবেন, তখন তোমরাও আমীন বল’। কেননা যার আমীন ফেরেশতাদের আমীন-এর সঙ্গে মিলে যাবে, তার পূর্বেকার সকল গুনাহ মাফ করা হবে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে সশব্দে আমীন বলতেন, যার আওয়ায উচ্চ হ’ত’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, ইবনু কাছীর, দারেমী, মিশকাত হা/৮৪৫)। উল্লেখ্য যে, নিম্ন স্বরে আমীন বলার হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৪৯; নায়ল ৩/৭৫)। ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসূল (ছাঃ)-কে ‘গায়রিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়া লাযযোয়া-ল্লীন’ পড়ে জোরে আমীন বলতে শুনেছি’ (তিরমিযী হা/২৪৮; আবুদাঊদ হা/৯৩২; মিশকাত হা/৮৪৫)। তাবেঈ বিদ্বান আত্বা (রহঃ) বলেন, ইবনে যুবায়ের ও তাঁর মুক্তাদীগণ এত জোরে ‘আমীন’ বলতেন যে, মসজিদে নববী গমগম করে উঠত (বুখারী তা‘লীক্ব ৩/৩১৫, অনুচ্ছেদ নং ২৬২ হা/৭৮০; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/২৬৪০)। জোরে ‘আমীন’ বলার প্রমাণে সতেরটি হাদীছ এবং ছাহাবীদের তিনটি আছার পাওয়া যায় (নায়লুল আওত্বার ২/১২২ পৃঃ)। এমনকি হানাফী আলেমদের নিকটেও নীরবে আমীন বলার হাদীছের সনদ ছহীহ নয়। যেমন আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী হানাফী (রহঃ) বলেন, ‘নীরবে আমীন’ বলার সনদে ত্রুটি আছে। সঠিক ফৎওয়া হ’ল জোরে ‘আমীন’ বলা’ (শরহে বেকায়াহ ১৪৬ পৃঃ)
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page