‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : ছহীহ হাদীছের আলোকে মৃত ব্যক্তিকে গোসল, কাফন-দাফন ও খাটিয়া বহনের ফযীলত সম্পর্কে জানতে চাই।

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,839
Credits
24,212
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে গোসল ও কাফন-দাফনের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ
করেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম মাইয়েতকে গোসল করাবে, অতঃপর তার গোপনীয়তা সমূহ গোপন রাখবে, আল্লাহ তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা করবেন। যে ব্যক্তি মাইয়েতকে কাফন পরাবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের মিহি ও মোটা রেশমের পোষাক পরিধান করাবেন। যে ব্যক্তি মাইয়েতের জন্য কবর খনন করবে, অতঃপর দাফন শেষে তা ঢেকে দিবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত পুরস্কার দিবেন জান্নাতের একটি বাড়ীর সমপরিমাণ, যেখানে আল্লাহ তাকে রাখবেন’ (হাকেম হা/১৩০৭; ছহীহ তারগীব হা/৩৪৯২; আলবানী, আহকামুল জানায়েয হা/৩০, ১/৫১, সনদ ছহীহ)। দাফনের উদ্দেশ্যে মাইয়েতের খাটিয়া বহন নিঃসন্দেহে নেকীর কাজ। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় কোন জানাযায় শরীক হ’ল এবং দাফন শেষে ফিরে এলো, সে ব্যক্তি দুই ‘ক্বীরাত’ সমপরিমাণ নেকী পেল। প্রতি ‘ক্বীরাত’ ওহোদ পাহাড়ের সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি কেবলমাত্র জানাযা পড়ে ফিরে এলো, সে এক ‘ক্বীরাত’ পরিমাণ নেকী পেল’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫১)। তবে ‘জানাযার খাটিয়া বহন করলে তা চল্লিশটি কবীরা গোনাহের কাফফারা হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মুনকার বা যঈফ (ত্বাবারাণী, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৮৯১)। এছাড়া বহনের সময় ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’, ‘আল্লাহু আকবার’ ইত্যাদি বলে যিকির করার কোন বিধান নেই।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page