উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার উম্মতের সত্তুর হাযার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের কোন শাস্তি হবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, তারা কারা? তিনি বললেন, যারা শরীরের ক্ষতস্থানে লোহা পুড়িয়ে দাগা দেয় না এবং (জাহেলী যুগের ন্যায়) ঝাড়-ফুঁক বা মন্ত্রের আশ্রয় নেয় না। বরং তারা আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে (বুখারী হা/৬৫৪১; মুসলিম হা/২২০; মিশকাত হা/৫২৯৫)। ঝাড়-ফুঁক অর্থ কুরআন-হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহের বিপরীত মন্ত্র পাঠ (মিরক্বাত)। রাসূল (ছাঃ) এর দো‘আর বরকতে উপরোক্ত সত্তুর হাযারের প্রত্যেক হাযারের সাথে আরো সত্তুর হাযার করে মুসলমানকে আল্লাহ বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন (যার সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ) (আহমাদ হা/৮৬৯২; ছহীহাহ হা/১৪৮৪)। উক্ত হাদীছে তাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে- (১) তারা লোহা দিয়ে দাগা লাগিয়ে চিকিৎসা নেয় না (২) তারা মন্ত্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করে না এবং (৩) সুলক্ষণ-কুলক্ষণে বিশ্বাস না করে সর্বদা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা রাখে। আর উক্ত বৈশিষ্ট্যধারী ব্যক্তিদেরকেই আল্লাহ বিনা হিসাবে জান্নাত প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।