Doing Automated Jobs
প্রশ্ন : ক.অনেকে কুরআন তিলাওয়াতের আগে দরুদ, "রাব্বি জিদনি ইলমা" ইত্যাদি পাঠ করে… এটা কি সুন্নাত?
খ. কুরআন পড়ার আদব গুলো কি কি?
উত্তর :
তাই এগুলোকে কুরআন তেলাওয়াত করার পূর্বে নিয়ম বানিয়ে সবসময় পাঠ করা ঠিক নয়।
দুরুদ পড়া ফজিলতপূর্ণ ইবাদত, আল্লাহর কাছে জ্ঞান চাওয়ার জন্য 'রাব্বি যিদনী ইলমা' "হে আমার প্রতিপালক, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও"দোয়াটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এগুলোকে কুরআন পড়ার পূর্বে নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে যেহেতু কোন হাদিস বর্ণিত হয়নি সেহেতু এগুলোকে নিয়মে পরিণত করা ঠিক নয়;
অন্যথায় তা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হবে। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
বরং কুরআন পাঠের আগে কী পাঠ করতে হবে তা আল্লাহ তাআলা নিজেই শিক্ষা দিয়েছেন।
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّـهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيم
“অতএব, যখন আপনি কুরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন।”
(সূরা আন নাহল: 98)
অর্থাৎ "আউযুবিল্লাহিমিনাশ শায়তানির রাজীম"
(আমি বিতারিত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি) পাঠ করা- এটাই সুন্নত।
সুতরাং কুরআন পাঠ করার আগে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম
অতঃপর সূরার শুরু থেকে পড়লে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম'
(পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি) পাঠ করবেন।
আর সূরার মাঝখান থেকে পাঠ করলে বিসমিল্লাহ বলা-না বলা উভয়টাই শরীয়ত সম্মত।
১. আল্লাহ উদ্দেশ্যে ইবাদত মনে করে পড়া।
২. মনস্থির করা এ লক্ষে যে, আমি আল্লাহ তাআলার সাথে কথোপকথন করছি।
৩. আয়াত পাঠের সময় তার প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাঁর মহত্ব বোঝা।
৪. বিনয়-নম্রতা এবং আয়াতের অর্থ বোঝার চেষ্টা নিয়ে পাঠ করা।
৫. পবিত্র অবস্থায় পাঠ করা।
৬. পবিত্র স্থানে পাঠ করা।
৭. পাঠের পূর্বে শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করা অর্থাৎ আউযুবিল্লাহিমিনাশ শায়তানির রাজীম পাঠ করা।
৮. সম্ভবে কিবলা মূখী হওয়া।
৯. সুন্দর সূরে তাজবীদের প্রতি খেয়াল রেখে পাঠ করা।
১০. হাসি-রসিকতা নিয়ে না পড়া।
উত্তর প্রদানে:
Abdullahil Hadi Bin Abdul Jalil
Daee, Jubail Dawah & guidance center, KSA