‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: এক মুসলিমের প্রতি আরেক মুসলিমের অধিকার এবং তা পালন করার আবশ্যকতা কি ?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,147
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,671
Credits
24,212
প্রশ্ন: বান্দার হক অর্থাৎ হাক্কুল ইবাদ (বান্দার হক) পালন না করলে কি বান্দা গুনাগার হবে? যেমন: আত্মীয়-স্বজন দাওয়াত দিলে সেখানে না যাওয়া। উত্তর: একজন মুসলিমের উপরে আরেকজন মুসলিমের যেসকল হক (অধিকার/প্রাপ্য) রয়েছে সেগুলো পালন করা ওয়াজিব। কেউ বিনা ওজরে ইচ্ছাকৃত ভাবে সেগুলো পালন না করলে গুনাগার হতে হবে। এগুলো পালনের মাধ্যমে মুসলিমদের মাঝে পারস্পরিক ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় হয়। অন্যথায় পারস্পরিক মনোমালিন্য হিংসা-বিদ্বেষ এবং দূরত্ব তৈরি হয় যা একটি মুসলিম সমাজের জন্য আদৌ কাম্য নয়। তাই তো রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلاَمِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِز،ِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ “এক মুসলিমের উপর আরেক মুসলিমের হক (অধিকার) হল, পাঁচটি। যথা: ● ক. সালামের উত্তর দেওয়া। ● খ. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া। ● গ. জানাজায় অনুগমন করা। ● ঘ. দাওয়াতে সাড়া দেয়া। ● ঙ. এবং হাঁচির জবাব দেয়া । [অর্থাৎ কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ (সকল প্রশংসা আল্লাহর) পাঠ করলে এর উত্তরে ‘ইয়ারহামু কুমুল্লাহ’ (আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন) বলা।]” [মুত্তাফাকুন আলাইহি। সহিহ বুখারি, হা/ ১২৪০] সহিহ মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, এক মুসলিমের উপর আরেক মুসলিমের হক ছয়টি। যেমন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: قُّ المُسْلِم عَلَى المُسْلِم ستٌّ : إِذَا لَقيتَهُ فَسَلِّمْ عَلَيهِ، وَإِذَا دَعَاكَ فَأجبْهُ، وإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَهُ، وإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ الله فَشَمِّتْهُ، وَإِذَا مَرِضَ فَعُدْهُ، وَإِذَا مَاتَ فَاتَّبِعْهُ ‘‘এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের (হক) অধিকার ছয়টি। যথা: ● ক. তুমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাকে সালাম দাও। ● খ. সে তোমাকে দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত গ্রহণ কর। ● গ. সে তোমার কাছে উপদেশ চাইলে তুমি তাকে উপদেশ দাও। ● ঘ. সে হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বললে তার জবাব দাও। ● ঙ. সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাও। ● চ. এবং সে মারা গেলে তার জানাজায় অংশ গ্রহণ করো।’’ (বুখারী ও মুসলিম) ➧ আর বিশেষভাবে দাওয়াতের ক্ষেত্রে কথা হল, শরিয়ত সম্মত কোন ওজর থাকলে দাওয়াত দাতার নিকট কথা বলে নিজের অপারগতা প্রকাশ করা উচিৎ। তবে স্মরণ রাখা জরুরি যে, কেউ যদি বিদআতি ও পাপাচার সংঘটিত হয় এমন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয় তাহলে তাতে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নেই। যেমন: - মিলাদ মাহফিল। - কুলখানি। - চল্লিশা। - জন্মবার্ষিকী। - মৃত্যুবার্ষিকী। - বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি অনুষ্ঠান। - এবং যে সকল অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গান-বাজনা এবং বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম রয়েছে। এ জাতীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ নয়। এছাড়া আকিকা, ওলিমা, ঈদ উপলক্ষে বা বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা উচিত। একান্ত ওজর ব্যতিরেকে এসকল দাওয়াত গ্রহণ না করলে মুসলিম হিসেবে প্রাপ্য হক পালন না করার কারণে গুনাহগার হতে হবে। আল্লাহু আলাম। উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
 

Share this page