‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: আমি যখন হজ্জ করেছি। তবে তখন আমার মাসিক ঋতুস্রাব এসেছিল। কিন্তু লজ্জায় আমি কাউকে কিছু না বলে হারামে প্রবেশ করেছিলাম। এখন আমার করণীয় কি? উল্লেখ্

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,139
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
উত্তরঃ ঋতুগ্রস্ত বা প্রসূতি অবস্থায় পতিত হলে কোন মহিলার জন্য মক্কায় হোক বা তার দেশে হোক অথবা অন্য কোথাও হোক নামায আদায় করা জায়েয নয়। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলা সম্পর্কে বলেছেন, “মহিলার বিষয়টা কি এমন নয় যে, যখন সে ঋতুগ্রস্ত হয়, তখন নামায-রোযা আদায় করে না?”[1] তাছাড়া মুসলিমগণ একমত হয়েছেন যে, কোন ঋতুবতীর জন্য নামায-রোযা আদায় করা বৈধ নয়। সেকারণে এ মহিলাকে তার কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। আর ঋতু অবস্থায় তার তওয়াফ শুদ্ধ হয়নি, তবে সাঈ শুদ্ধ হয়েছে। কেননা অগ্রাধিকারযোগ্য কথা হলো, হজ্জে তওয়াফের আগে সাঈ করা জায়েয। সেজন্য ঐ মহিলাকে অবশ্যই আবার তওয়াফ করতে হবে। কারণ তওয়াফে ইফাযা হজ্জের অন্যতম একটি রুকন। তাই দ্বিতীয় হালাল [বড় হালাল] হওয়ার বিষয়টা এই তওয়াফ ছাড়া পূর্ণ হবে না। সেজন্য ঐ মহিলা বিবাহিতা হলে তওয়াফ না করা পর্যন্ত তার স্বামী তার সাথে সহবাস করতে পারবে না। আর অবিবাহিতা হলে তার বিবাহ দেওয়াও জায়েয হবে না। আল্লাহই ভালো জানেন।
1. ১৪ নং প্রশ্নের টীকা দ্রষ্টব্য। সূত্র: মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান। লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ.।
 

Share this page