উত্তর:
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নাই; মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত দূত।”
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এমন এমন একটি বাণী যার মধ্যে বিবৃত হয়েছে, মানুষ আর জিন সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। এটি ইসলামের মূল কথা। এটি কালিমাতুত তাওহিদ বা একত্ববাদের বাণী।
ভিক্ষার জন্য ইসলামে এই কালিমার আবির্ভাব ঘটেনি। বরং এটি এসেছে, ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও সমগ্র পৃথিবীর পরিবর্তনের জন্য। এর মর্মবাণী বাস্তবায়িত হওয়া ও না হওয়ার উপরই নির্ভর করছে মানব জাতির সাফল্য ও ব্যর্থতা, জান্নাত ও জাহান্নাম।
অথচ অজ্ঞতা বশত: এক শ্রেণীর মূর্খ মানুষ এটিকে ভিক্ষার মাধ্যম বানিয়ে ছেড়েছে! এরা এই মহান কালিমার মাধ্যমে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়ায়, মানুষের কাছে হাতপাতে!! যা খুবই দুর্ভাগ্য ও লজ্জা জনক।
এভাবে তাওহিদের এই মহান বাণী দ্বারা ভিক্ষাবৃত্তি করা নাজায়েজ। কারণ এতে কালিমার মানহানি হয়, মানুষের নিকট এটিকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করা হয় এবং নষ্ট হয় এর ভাবগাম্ভীর্যতা ।
অবশ্য কাউকে যদি সত্যিই নিদারুণ আর্থিক সংকটে পড়ে অনন্যোপায় হয়ে ভিক্ষার আশ্রয় নিতে হয় তাহলে সে বলতে পারে, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে দান করুন’ ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন’ বা এ জাতীয় ভাষা। কিন্তু উক্ত কালিমাতুত তাওহিদকে ভিক্ষার মাধ্যম বানানো কোনভাবেই উচিৎ নয়।
আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নাই; মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত দূত।”
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এমন এমন একটি বাণী যার মধ্যে বিবৃত হয়েছে, মানুষ আর জিন সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। এটি ইসলামের মূল কথা। এটি কালিমাতুত তাওহিদ বা একত্ববাদের বাণী।
ভিক্ষার জন্য ইসলামে এই কালিমার আবির্ভাব ঘটেনি। বরং এটি এসেছে, ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও সমগ্র পৃথিবীর পরিবর্তনের জন্য। এর মর্মবাণী বাস্তবায়িত হওয়া ও না হওয়ার উপরই নির্ভর করছে মানব জাতির সাফল্য ও ব্যর্থতা, জান্নাত ও জাহান্নাম।
অথচ অজ্ঞতা বশত: এক শ্রেণীর মূর্খ মানুষ এটিকে ভিক্ষার মাধ্যম বানিয়ে ছেড়েছে! এরা এই মহান কালিমার মাধ্যমে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়ায়, মানুষের কাছে হাতপাতে!! যা খুবই দুর্ভাগ্য ও লজ্জা জনক।
এভাবে তাওহিদের এই মহান বাণী দ্বারা ভিক্ষাবৃত্তি করা নাজায়েজ। কারণ এতে কালিমার মানহানি হয়, মানুষের নিকট এটিকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করা হয় এবং নষ্ট হয় এর ভাবগাম্ভীর্যতা ।
অবশ্য কাউকে যদি সত্যিই নিদারুণ আর্থিক সংকটে পড়ে অনন্যোপায় হয়ে ভিক্ষার আশ্রয় নিতে হয় তাহলে সে বলতে পারে, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে দান করুন’ ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন’ বা এ জাতীয় ভাষা। কিন্তু উক্ত কালিমাতুত তাওহিদকে ভিক্ষার মাধ্যম বানানো কোনভাবেই উচিৎ নয়।
আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব