‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : অবিবাহিত ছেলে ও মেয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে মেয়েটি গর্ভবর্তী হ’লে তাদের বিবাহ দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষণে গর্ভাবস্থায় বিবাহ কি জায়েয? আর পে

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : বর্ণিত প্রেক্ষাপটে গর্ভে সন্তান আসা অবস্থায় বিবাহের হুকুম সম্পর্কে বিদ্বানদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। তবে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মতে, তাদের মাঝে বিবাহ জায়েয (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ আল-কুয়েতিয়াহ ২৯/৩৩৮-৩৩৯)। কেননা প্রথমতঃ কোন হারাম কাজের কারণে হালাল বস্ত্ত হারাম হয় না। দ্বিতীয়তঃ এতে সেই সন্তানের পরিচয় নির্ধারণে সংমিশ্রণ সৃষ্টির আশংকা নেই। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তার প্রথম কাজটি হারাম এবং দ্বিতীয় কাজটি হালাল। আর যে ব্যক্তি তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন (আল-মুদাউওয়ানাহ ২/১৭৩)। ইসলামী শরী‘আত মোতাবেক হদ্দের শাস্তি আরোপের পর এই বিবাহ সংঘটিত হবে। তবে এ দেশে ইসলামী আইন কার্যকর না থাকায় এই পাপের জন্য তাদেরকে খাঁটি তওবা করতে হবে। এমতাবস্থায় অধিকাংশ বিদ্বানের মতে, পেটের সন্তানটি মায়ের দিকে সম্পৃক্ত হবে এবং কেবল তার সম্পদের ওয়ারিছ হবে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, ৬/৩৪৫; উছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়া, ৩/৩৭০)। কেননা ব্যভিচারের সন্তান পিতার দিকে সম্পৃক্ত হয় না এবং তার সম্পদের ওয়ারিছও হয় না (আহমাদ হা/৭০০২, আবূদাউদ হা/২২৬৫, সনদ হাসান)। অবশ্য যেনাকারী নারী অবিবাহিতা হ’লে সে সন্তান এমন পিতার দিকে সম্বন্ধিত হবে বলে মতপ্রকাশ করেছেন ইমাম আবূ হানীফা, ইবনু তায়মিয়া প্রমুখ বিদ্বান (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, ৬/৩৪৫; মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/১১২-১১৩)। যদিও প্রথম মতটিই অধিকতর গ্রহণযোগ্য।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page