‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্নঃ সূদ কি? এটি কেন ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়? যদিও আপাত দৃষ্টিতে কল্যাণকর।

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,838
Credits
24,212
উত্তর : ‘সূদ’ ফারসী শব্দ। যার অর্থ ঋণ দিয়ে সেই টাকার উপর আদায়কৃত লভ্যাংশ। আরবীতে একে রিবা (الربا) বলা হয়। → যার অর্থ হ’ল, বৃদ্ধি। শারঈ পরিভাষায় كل قرض جر نفعا فهو ربوا ‘প্রত্যেক ঋণ যা লাভ আনয়ন করে, সেটাই রিবা’। এটি জাহেলী আরবে চালু ছিল। ইসলাম এসে যা হারাম করে। সূদ হ’ল পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার। পৃথিবীর আদিকাল থেকে সূদী প্রথা চলে আসছে। যার মনদ প্রেরণা হ’ল ঋণ গ্রহীতাকে বাগে পেয়ে শোষণ করা। এর ফলে বিপদগ্রস্ত মানুষকে ঋণ দিয়ে উপকার করার মানবিক তাকীদ ধ্বংস হয়ে যায়। সূদ দ্বারা ঋণ গ্রহিতার প্রতি যুলুম করা হয়। আর যুলুম ইসলামে নিষিদ্ধ। ♦ এছাড়া সূদ মানুষকে নিষ্কর্মা করে। অথচ ইসলাম মানুষকে কর্ম করতে উৎসাহিত করেছে। (ছহীহ আত-তারগীব হা/১৭০২)। ইসলাম বিনা স্বার্থে ঋণ দেয়ার ব্যাপারে যে উৎসাহ দিয়েছে সূদ তাতে বাধা প্রদান করে। এছাড়া সাধারণত সূদ গ্রহণকারী আরো ধনী হয়, আর সূদ দাতা আরো দরিদ্র হয়। এ সব কারণে সূদ হারাম। সূদ বিগত সকল ইলাহী ধর্মে নিষিদ্ধ ছিল। ♦ ইসলামী শরী‘আতের দৃষ্টিতে সূদ এমন এক পাপ, যার ৭০টি স্তরের সর্বনিম্ন স্তর হ’ল মায়ের সাথে যেনা করা। (ইবনু মাজাহ হা/২২৭৪)। → অন্য হাদীছে এসেছে, ছত্রিশ বার যেনা করার চেয়েও বড় পাপ। (আহমাদ, দারাকুৎনী, মিশকাত হা/২৮২৫)। অতঃপর সূদের ২৫টি কুফল জানার জন্য পাঠ করুন হা,ফা,বা, প্রকাশিত বই ‘সূদ’। (২য় সংস্করণ ২০১০) পৃঃ ১৭-৩৭। ________________ দারুল ইফতা, হাদিস ফাউন্ডেশন।
 

Share this page