১। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসুল (ﷺ) বলেছেন, যে নিজের ঘর হতে ওজু করে ফরজ সলাত আদায়ের জন্য বের হলো তার নেকি একজন এহরামধারি হাজির নেকির সমান। আর যে চাশতের সলাতের জন্য বের হলো তার নেকি একজন ওমরাকারির নেকির সমান এবং এক সলাতের পর অপর সলাত আদায় করা যার মধ্যে কোন অনর্থক কাজ করা হয়নি এমন ব্যক্তির নাম ইল্লীনে লেখা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস সহিহ, আলবানি তাহকিক মিশকাত- ৭২৮)
তাহলে প্রতিদিন ঘর থেকে অজু করে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করার মাধ্যমে আমরা ৫টি হজের সওয়াব পেয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
২। রসূলুল্লহ (ﷺ) বলেছেন,"যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিক্র করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।” বর্ণনাকারী বলেন,রসূলুল্লহ (ﷺ) বলেছেন," পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৬১নং)
শায়খ বিন বায রহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদিস নারী ও পরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। নারীরা তাদের ঘরে সলাত আদায়ের জায়গায় ফজর আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকর, দুয়া, তাসবীহ পাঠ করতে থাকবেন। সূর্য উঠার পর দুই রাকাত সলাত আদায় করবেন। এতে পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সাওয়াব তাদের আমলনামায় লেখা হবে ইন শা আল্লাহ।
৩। আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্নিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কেবলমাত্র কল্যানমুলক কিছু (দ্বীন) শিক্ষা করা অথবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মসজিদের প্রতি যাত্রা করে তার জন্য (তার আমলনামায়) এক পূর্ণ হজের সমপরিমাণ নেকি লিপিবদ্ধ করা হয়। (ত্ববরানি, সহিহ তারগিব- ৮১)
৪। সাহল বিন হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্নিত, আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি স্বগৃহ হতে বের হয়ে মসজিদে কুবায় উপস্থিত হয়ে সলাত আদায় করে সে ব্যক্তির একটি উমরাহ আদায় করার সমান সওয়াব লাভ হয়।(সহিহ নাসাঈ- ৬৭৫)
৫। মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘‘অবশ্যই রমাযানের উমরাহ একটি হজ্জ অথবা আমার সাথে একটি হজ্জ করার সমতুল্য।(বুখারী ১৮৬৩, মুসলিম ১২৫৬)
এক্ষনে আমরা জেনে নিব কবুল হজের প্রতিদান কি:
রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি হজ করেছে, তাতে কোনো অশ্লীল আচরণ করেনি ও কোনো পাপে লিপ্ত হয়নি সে সে দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে গেল, যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছে।(বুখারি-১৪৪৯, মুসলিম- ১৩৫০)
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহকে তার মধ্যবর্তী পাপসমূহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয় আর কবুল হজের পুরস্কার একমাত্র জান্নাত।’ (বুখারি- ১৬৮৩, মুসলিম- ১৩৪৯)
সুবহানাল্লাহ কবুল হজের প্রতিদান শুধুই জান্নাত, আমরা এই আমলগুলো করার মাধ্যমে প্রতিদিন ৭টি কবুল হজের সওয়াব পেতে পারি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের প্রতিনিয়ত আমলগুলো করে আমলনামাকে সমৃদ্ধ করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
তাহলে প্রতিদিন ঘর থেকে অজু করে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করার মাধ্যমে আমরা ৫টি হজের সওয়াব পেয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
২। রসূলুল্লহ (ﷺ) বলেছেন,"যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিক্র করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।” বর্ণনাকারী বলেন,রসূলুল্লহ (ﷺ) বলেছেন," পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৬১নং)
শায়খ বিন বায রহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদিস নারী ও পরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। নারীরা তাদের ঘরে সলাত আদায়ের জায়গায় ফজর আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকর, দুয়া, তাসবীহ পাঠ করতে থাকবেন। সূর্য উঠার পর দুই রাকাত সলাত আদায় করবেন। এতে পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সাওয়াব তাদের আমলনামায় লেখা হবে ইন শা আল্লাহ।
৩। আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্নিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কেবলমাত্র কল্যানমুলক কিছু (দ্বীন) শিক্ষা করা অথবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মসজিদের প্রতি যাত্রা করে তার জন্য (তার আমলনামায়) এক পূর্ণ হজের সমপরিমাণ নেকি লিপিবদ্ধ করা হয়। (ত্ববরানি, সহিহ তারগিব- ৮১)
৪। সাহল বিন হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্নিত, আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি স্বগৃহ হতে বের হয়ে মসজিদে কুবায় উপস্থিত হয়ে সলাত আদায় করে সে ব্যক্তির একটি উমরাহ আদায় করার সমান সওয়াব লাভ হয়।(সহিহ নাসাঈ- ৬৭৫)
৫। মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘‘অবশ্যই রমাযানের উমরাহ একটি হজ্জ অথবা আমার সাথে একটি হজ্জ করার সমতুল্য।(বুখারী ১৮৬৩, মুসলিম ১২৫৬)
এক্ষনে আমরা জেনে নিব কবুল হজের প্রতিদান কি:
রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি হজ করেছে, তাতে কোনো অশ্লীল আচরণ করেনি ও কোনো পাপে লিপ্ত হয়নি সে সে দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে গেল, যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছে।(বুখারি-১৪৪৯, মুসলিম- ১৩৫০)
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহকে তার মধ্যবর্তী পাপসমূহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয় আর কবুল হজের পুরস্কার একমাত্র জান্নাত।’ (বুখারি- ১৬৮৩, মুসলিম- ১৩৪৯)
সুবহানাল্লাহ কবুল হজের প্রতিদান শুধুই জান্নাত, আমরা এই আমলগুলো করার মাধ্যমে প্রতিদিন ৭টি কবুল হজের সওয়াব পেতে পারি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের প্রতিনিয়ত আমলগুলো করে আমলনামাকে সমৃদ্ধ করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
Last edited by a moderator: