If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রতিটি আসমানের প্রকৃতার্থেই দরজা রয়েছে। এর প্রমাণ মেরাজের হাদীস। আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার জন্য ‘বুরাক’ পাঠানো হলো। ‘বুরাক’ গাধা থেকে বড়ো আর খচ্চর থেকে ছোটো একটি সাদা রঙের জন্তু। যতদূর দৃষ্টি যায় এক পদক্ষেপে সে ততদূর চলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি এতে আরোহণ করলাম এবং বাইতুল মাকদাস পর্যন্ত এসে পৌঁছালাম। তারপর অন্যান্য নবী তাদের বাহনগুলো যে খুঁটির সঙ্গে বাঁধতেন, আমি সে খুঁটির সঙ্গে আমার বাহনটিও বাঁধলাম। তারপর মসজিদে প্রবেশ করলাম ও দুই রাকাআত সালাত আদায় করে বের হলাম। জিবরীল আলাইহিস সালাম একটি শরাবের পাত আর একটি দুধের পাত নিয়ে আমার কাছে এলেন। আমি দুধ গ্রহণ করলাম। জিবরীল আলাইহিস সালাম আমাকে বললেন, আপনি ফিতরাতকেই গ্রহণ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে গেলেন এবং আসমান পর্যন্ত পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে আমি আদম আলাইহিস সালামের দেখা পাই; তিনি আমাকে মুবারকবাদ জানান এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করেন। তারপর জিবরীল আমাকে ঊর্ধ্বলোক নিয়ে চললেন।
জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, তাঁকে কি আনতে পাঠানো হয়েছিল? বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে আমি ঈসা ইবন মারইয়াম ও ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়া আলাইহিমাস সালাম, দুই খালাতো ভাইয়ের দেখা পেলাম। তারা আমাকে মারহাবা বললেন, আমার জন্য কল্যাণের দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে চললেন এবং তৃতীয় আসমানের দরজাপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে ইউসুফ আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। সমুদয় সৌন্দর্যের অর্ধেক দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে ইদরীস আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন। আল্লাহ তাআল তার সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, ‘এবং আমি তাকে উন্নীত করেছি উচ্চ মর্যাদায়।' (সূরা হাদীদ, আয়াত: ১৯)।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে হারুন আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে মূসা আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল সপ্তম আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি বাইতুল মামুরে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছেন। বাইতুল মামুরে প্রত্যহ সত্তর হাজার ফেরেশতা তাওয়াফের উদ্দেশে প্রবেশ করেন যারা আর সেখানে পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ পান না। তারপর জিবরীল আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে গেলেন। সে বৃক্ষের পাতাগুলো হাতির কানের ন্যায় আর ফলগুলো বড়ো বড়ো মটকার মতো। (1)
1. সহীহুল বুখারী, ৩৮৮৭; সহীহ মুসলিম, ১৬২
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে গেলেন এবং আসমান পর্যন্ত পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে আমি আদম আলাইহিস সালামের দেখা পাই; তিনি আমাকে মুবারকবাদ জানান এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করেন। তারপর জিবরীল আমাকে ঊর্ধ্বলোক নিয়ে চললেন।
জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, তাঁকে কি আনতে পাঠানো হয়েছিল? বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে আমি ঈসা ইবন মারইয়াম ও ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়া আলাইহিমাস সালাম, দুই খালাতো ভাইয়ের দেখা পেলাম। তারা আমাকে মারহাবা বললেন, আমার জন্য কল্যাণের দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে চললেন এবং তৃতীয় আসমানের দরজাপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে ইউসুফ আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। সমুদয় সৌন্দর্যের অর্ধেক দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে ইদরীস আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন। আল্লাহ তাআল তার সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, ‘এবং আমি তাকে উন্নীত করেছি উচ্চ মর্যাদায়।' (সূরা হাদীদ, আয়াত: ১৯)।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে হারুন আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে মূসা আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দুআ করলেন।
তারপর জিবরীল সপ্তম আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো। সেখানে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দেখা পেলাম। তিনি বাইতুল মামুরে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছেন। বাইতুল মামুরে প্রত্যহ সত্তর হাজার ফেরেশতা তাওয়াফের উদ্দেশে প্রবেশ করেন যারা আর সেখানে পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ পান না। তারপর জিবরীল আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে গেলেন। সে বৃক্ষের পাতাগুলো হাতির কানের ন্যায় আর ফলগুলো বড়ো বড়ো মটকার মতো। (1)
1. সহীহুল বুখারী, ৩৮৮৭; সহীহ মুসলিম, ১৬২