Well-known member
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“বেদুঈনরা বলল, আমরা ঈমান আনলাম। বলুন, তোমরা ঈমান আন নি; বরং তোমরা বলো আমরা আত্মসমর্পণ করলাম”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৪]
আর ইসলাম যখন প্রকৃত অর্থে হবে তখন তা আল্লাহ তা‘আলা বাণী অনুযায়ী হবে,
“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট মনোনীত দীন হচ্ছে ইসলাম”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯]
সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে কিছু দান করলেন। সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সেখানে বসা ছিলেন। সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এক ব্যক্তিকে কিছু দিলেন না। সে ব্যক্তি আমার কাছে তাদের চেয়ে অধিক পছন্দনীয় ছিল। তাই আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অমুক ব্যক্তিকে আপনি বাদ দিলেন কেন? আল্লাহর কসম! আমিতো তাকে মুমিন বলেই জানি। তিনি বললেন, (মুমিন) নাকি মুসলিম? তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি, তা প্রবল হয়ে উঠল। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম, আপনি অমুককে দানের ব্যপারে বিরত রইলেন? আল্লাহর কসম! আমিতো তাকে মুমিন বলেই জানি। তিনি বললেন, নাকি মুসলিম? তখন আমি আবার কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর তার সম্পর্কে যা জানি তা প্রবল হয়ে উঠল। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবারও সেই জবাব দিলেন। তারপর বললেন, সা‘দ! আমি কখনো ব্যক্তি বিশেষকে দান করি, অথচ অন্য লোক আমার কাছে তার চাইতে বেশি প্রিয়। তা এ আশঙ্কায় যে (সে ঈমান থেকে ফিরে যেতে পারে, পরিণামে) আল্লাহ তাকে অধোমুখে জাহান্নামে ফেলে দেবেন”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫০।
﴿قَالَتِ ٱلۡأَعۡرَابُ ءَامَنَّاۖ قُل لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ وَلَٰكِن قُولُوٓاْ أَسۡلَمۡنَا﴾ [الحجرات: ١٤]
“বেদুঈনরা বলল, আমরা ঈমান আনলাম। বলুন, তোমরা ঈমান আন নি; বরং তোমরা বলো আমরা আত্মসমর্পণ করলাম”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৪]
আর ইসলাম যখন প্রকৃত অর্থে হবে তখন তা আল্লাহ তা‘আলা বাণী অনুযায়ী হবে,
﴿إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُ﴾ [ال عمران: ١٩]
“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট মনোনীত দীন হচ্ছে ইসলাম”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯]
عَنْ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى رَهْطًا وَسَعْدٌ جَالِسٌ، فَتَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا هُوَ أَعْجَبُهُمْ إِلَيَّ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ مُؤْمِنًا، فَقَالَ: «أَوْ مُسْلِمًا» فَسَكَتُّ قَلِيلًا، ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ، فَعُدْتُ لِمَقَالَتِي، فَقُلْتُ: مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ؟ فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ مُؤْمِنًا، فَقَالَ: «أَوْ مُسْلِمًا». ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ فَعُدْتُ لِمَقَالَتِي، وَعَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «يَا سَعْدُ إِنِّي لَأُعْطِي الرَّجُلَ، وَغَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْهُ، خَشْيَةَ أَنْ يَكُبَّهُ اللَّهُ فِي النَّارِ».
সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে কিছু দান করলেন। সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সেখানে বসা ছিলেন। সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এক ব্যক্তিকে কিছু দিলেন না। সে ব্যক্তি আমার কাছে তাদের চেয়ে অধিক পছন্দনীয় ছিল। তাই আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অমুক ব্যক্তিকে আপনি বাদ দিলেন কেন? আল্লাহর কসম! আমিতো তাকে মুমিন বলেই জানি। তিনি বললেন, (মুমিন) নাকি মুসলিম? তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি, তা প্রবল হয়ে উঠল। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম, আপনি অমুককে দানের ব্যপারে বিরত রইলেন? আল্লাহর কসম! আমিতো তাকে মুমিন বলেই জানি। তিনি বললেন, নাকি মুসলিম? তখন আমি আবার কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর তার সম্পর্কে যা জানি তা প্রবল হয়ে উঠল। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবারও সেই জবাব দিলেন। তারপর বললেন, সা‘দ! আমি কখনো ব্যক্তি বিশেষকে দান করি, অথচ অন্য লোক আমার কাছে তার চাইতে বেশি প্রিয়। তা এ আশঙ্কায় যে (সে ঈমান থেকে ফিরে যেতে পারে, পরিণামে) আল্লাহ তাকে অধোমুখে জাহান্নামে ফেলে দেবেন”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫০।