পিতা তার সন্তানের প্রতি কর্তব্য হল, যদি তারা দরিদ্র, অসহায় হয় এবং তারা বাবার প্রতি নির্ভরশীল হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য খরচ বহন করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
‘একদা নবী (ﷺ) দান করার নির্দেশ দিলেন। তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল (ﷺ)! আমার একটি দীনার আছে। তিনি বললেন, তুমি তা নিজের জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার স্ত্রীর জন্য খরচ কর। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার খাদিমের জন্য ছাদাক্বাাহ কর। সে বলল, আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে। তিনি বললেন, তুমিই ভালো জানো (তা কিসে ব্যয় করবে)’ (আবূ দাঊদ, হা/১৬৯১, সনদ হাসান)।
শায়খ ছালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘সন্তানের অধিকার পিতার প্রতি তখনই শেষ হয়ে যাবে, সন্তান যখন নিজে সয়ংসম্পন্ন হয় অর্থাৎ যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং নিজে উপার্জন করতে শিখে। পাশাপাশি সে নিজের উপার্জনের মাধ্যমে চলতে সক্ষম। পক্ষান্তরে সন্তান যদি ছোট হয় অথবা বড় কিন্তু এখনো উপার্জন করতে শিখে নেই, তাহলে তার দ্বায়িত্ব পিতার উপরেই বরতাবে’ (আল-মুন্তাকা মিন ফাতাওয়া শায়খ ছালিহ আল-ফাওযান, ৩/২৪০ পৃ.)।
অতএব বিষয়টি সন্তানের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করে তার হুকুম প্রযোজ্য হবে, সমানভাবে একই হুকুম সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ عَلَی الۡمَوۡلُوۡدِ لَہٗ رِزۡقُہُنَّ وَ کِسۡوَتُہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ
‘পিতার কর্তব্য যথাবিধি তাদের ভরণ-পোষণ করা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৩৩)।
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
أَمَرَ النَّبِيُّ ﷺ بِالصَّدَقَةِ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ عِنْدِيْ دِيْنَارٌ، فَقَالَ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى نَفْسِكَ قَالَ عِنْدِيْ آخَرُ، قَالَ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى وَلَدِكَ قَالَ عِنْدِي آخَرُ، قَالَ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى زَوْجَتِكَ أَوْ قَالَ زَوْجِكَ قَالَ عِنْدِيْ آخَرُ، قَالَ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى خَادِمِكَ قَالَ عِنْدِيْ آخَرُ، قَالَ أَنْتَ أَبْصَرُ
‘একদা নবী (ﷺ) দান করার নির্দেশ দিলেন। তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল (ﷺ)! আমার একটি দীনার আছে। তিনি বললেন, তুমি তা নিজের জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার স্ত্রীর জন্য খরচ কর। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার খাদিমের জন্য ছাদাক্বাাহ কর। সে বলল, আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে। তিনি বললেন, তুমিই ভালো জানো (তা কিসে ব্যয় করবে)’ (আবূ দাঊদ, হা/১৬৯১, সনদ হাসান)।
শায়খ ছালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘সন্তানের অধিকার পিতার প্রতি তখনই শেষ হয়ে যাবে, সন্তান যখন নিজে সয়ংসম্পন্ন হয় অর্থাৎ যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং নিজে উপার্জন করতে শিখে। পাশাপাশি সে নিজের উপার্জনের মাধ্যমে চলতে সক্ষম। পক্ষান্তরে সন্তান যদি ছোট হয় অথবা বড় কিন্তু এখনো উপার্জন করতে শিখে নেই, তাহলে তার দ্বায়িত্ব পিতার উপরেই বরতাবে’ (আল-মুন্তাকা মিন ফাতাওয়া শায়খ ছালিহ আল-ফাওযান, ৩/২৪০ পৃ.)।
অতএব বিষয়টি সন্তানের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করে তার হুকুম প্রযোজ্য হবে, সমানভাবে একই হুকুম সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না।