উত্তর: ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মানবজীবনের এমন কোন দিক নেই, যার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ইসলাম প্রদান করেনি।মুসলমানদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ হ’লে কিভাবে অভিবাদন জানাবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। সেই সাথে কে কাকে সালাম দিবে এবং কখন, কিভাবে সালাম প্রদান করবে এ সম্পর্কিত সবিস্তার আদব বর্ণিত হয়েছে হাদীসে। এগুলি সাধ্যমত মেনে চললে পাস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে এবং অগণিত নেকী অর্জিত হবে।সালাম দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো নারীরা নারীদের সালাম বিনিময় করবে আর পুরুষরা পুরুষদেরকে সালাম প্রদান করবে। নন মাহারাম নারী-পুরুষ একে অন্যকে সালাম দেয়া দেওয়া যরূরী নয়। কেননা এতে অনেক সময় ফিতনার আশংকা থাকে।তবে ফিৎনার আশংকা না থাকলে গায়রে মাহরাম নারী-পুরুষ পরস্পরকে সালাম দেওয়া যাবে। আবু হাশেম থেকে বর্ণিত সাহল ইবনে সা‘দ (রাঃ) বলেছেন, জুম‘আর দিন আমরা খুশী হ’তাম। (আবু হাশেম বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? তিনি বললেন, আমাদের এখানে এক বৃদ্ধা ছিল। সেই বৃদ্ধা এক প্রকার সবজির শিকড় তুলে পাতিলে রাখত এবং যবের কয়েকটি দানা তাতে ঢেলে দিয়ে খাবার তৈরি করত। আমরা জুম‘আর ছালাত শেষ করে ঐ বৃদ্ধার নিকট যেতাম এবং তাকে সালাম করতাম (সহীহ বুখারী হা/২৩৪৯ ও ৫৪৫৩ আধুনিক প্রকাশনী- ৫০০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৯৮)
উম্মে হানী (রাঃ) বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের দিন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট আসলাম। তখন তিনি গোসল করছিলেন এবং ফাতিমা (রাঃ) তাকে কাপড় দিয়ে পর্দা করছিলেন। অতঃপর আমি তাকে সালাম দিলাম (সহী বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৯৭৭)
আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, ‘নবী করীম (সাঃ) আমাদের পাশ দিয়ে যেতেন এবং আমাদেরকে সালাম দিতেন(তিরমিযী ২৬৯৭, আবূ দাউদ ৫২০৪, ইবনু মাজাহ ৩৭০১, আহমাদ ২৭০১৪, দারেমী ২৬৩৭।রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮৫৯ সনদ সহীহ)
অপর বর্ননায়,জারীর (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল মহিলার নিকট দিয়ে গেলেন এবং তাদেরকে সালাম দিলেন।(মুসনাদে আহমাদ ১৯১৫৪, সিলসিলা সহীহাহ্ ২১৩৯ মিশকাত হা/৪৬৪৭ সনদ হাসান সালাম’ অনুচ্ছেদ)।
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় মাওলানা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ ‘আবদুল আওয়াল গজনবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, অপরিচিত নারীকে সালাম দেয়া অথবা সালামের জবাব দেয়া বৈধ। যে কাজ শারী‘আতের অনুকূলে হয় তাতে কোন ফিতনার আশংকা নেই। সাহাবীগণ সর্বদা উম্মুল মু’মিনীনদের সালাম দিতেন। আর তারাও সালামের জবাব দিতেন। এমনকি জিবরীল (আ.) স্বয়ং উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে সালাম পাঠিয়েছেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ- বোম্বায় ছাপা, ৪র্থ খন্ড, ১৩ পৃষ্ঠা)
পরিশেষে,উপরোক্ত হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে,মহিলা ও পুরুষ একে অপরকে সালাম দিতে পারে।তবে ফিৎনার আশংকা থাকলে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন আল্লাহ বলেন,পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বল না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে,সে প্রলুব্ধ হয়’(সূরা আহযাব ৩৩/৩২ ফাৎহুল বারী ১১/৩৪ পৃঃ)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
উম্মে হানী (রাঃ) বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের দিন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট আসলাম। তখন তিনি গোসল করছিলেন এবং ফাতিমা (রাঃ) তাকে কাপড় দিয়ে পর্দা করছিলেন। অতঃপর আমি তাকে সালাম দিলাম (সহী বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৯৭৭)
আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, ‘নবী করীম (সাঃ) আমাদের পাশ দিয়ে যেতেন এবং আমাদেরকে সালাম দিতেন(তিরমিযী ২৬৯৭, আবূ দাউদ ৫২০৪, ইবনু মাজাহ ৩৭০১, আহমাদ ২৭০১৪, দারেমী ২৬৩৭।রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮৫৯ সনদ সহীহ)
অপর বর্ননায়,জারীর (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল মহিলার নিকট দিয়ে গেলেন এবং তাদেরকে সালাম দিলেন।(মুসনাদে আহমাদ ১৯১৫৪, সিলসিলা সহীহাহ্ ২১৩৯ মিশকাত হা/৪৬৪৭ সনদ হাসান সালাম’ অনুচ্ছেদ)।
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় মাওলানা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ ‘আবদুল আওয়াল গজনবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, অপরিচিত নারীকে সালাম দেয়া অথবা সালামের জবাব দেয়া বৈধ। যে কাজ শারী‘আতের অনুকূলে হয় তাতে কোন ফিতনার আশংকা নেই। সাহাবীগণ সর্বদা উম্মুল মু’মিনীনদের সালাম দিতেন। আর তারাও সালামের জবাব দিতেন। এমনকি জিবরীল (আ.) স্বয়ং উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে সালাম পাঠিয়েছেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ- বোম্বায় ছাপা, ৪র্থ খন্ড, ১৩ পৃষ্ঠা)
পরিশেষে,উপরোক্ত হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে,মহিলা ও পুরুষ একে অপরকে সালাম দিতে পারে।তবে ফিৎনার আশংকা থাকলে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন আল্লাহ বলেন,পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বল না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে,সে প্রলুব্ধ হয়’(সূরা আহযাব ৩৩/৩২ ফাৎহুল বারী ১১/৩৪ পৃঃ)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
Last edited by a moderator: