‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর নবীদের নিদর্শনগুলো খুঁজে বের করে এতে স্বলাত পড়া বা এর উপর মাসজিদ তৈরী করার হুকুম

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,140
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,754
Credits
24,212
প্রশ্ন: যে সকল জায়গায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বলাত পড়েছেন সেখানে মাসজিদ বানানো ভালো? নাকি ঐ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া বা সাধারণ বিনোদনের জায়গা বানানো ভালো?



উত্তর: নবীদের নিদর্শনগুলো খুঁজে বের করে এতে স্বলাত পড়া বা এর উপর মাসজিদ তৈরী করা কোনো মুসলিমের পক্ষে জায়েয নেই, কারণ তা শির্কের বাহন, এ জন্যে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তা থেকে লোকদেরকে নিষেধ করতেন এবং বলতেন: “তোমাদের পূর্ববর্তী জাতি তাদের নবীদের নির্দশনাবলী অনুসরণের দ্বারা ধ্বংস হয়েছে। শির্কের বাহন ধ্বংস করতে এবং বিদ‘আত থেকে লোকদেরকে সতর্ক করতে তিনি হুদাইবিয়ার সেই বৃক্ষটি কেটে ফেলেছেন যার নীচে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাই‘আত করা হয়েছিল, কারণ তিনি কিছু লোককে দেখলেন তারা সেখানে গিয়ে এর নীচে স্বলাত পড়ছে। তিনি কাজে এবং চরিত্রে জ্ঞানী ছিলেন, শির্কের মাধ্যম এবং এর কারণগুলো ধ্বংস করতে আগ্রহী ছিলেন। আল্লাহ তাকে উম্মতে মুহাম্মদীয়ার পক্ষ থেকে উত্তম বদলা দিন। তার কারণেই মক্কা, তাবুক ইত্যাদি রাস্তায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দশনাবলীতে কোনো সাহাবী মাসজিদ তৈরী করেন নি। কেননা তারা জানতেন যে, তা বিদ‘আত; যা থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সতর্ক করে গেছেন এবং তা শরীয়ত বিরোধী, তা বড় শির্কে পতিত হওয়ার কারণ হতে পারে।
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কোনো জিনিস সৃষ্টি করবে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।”
সহীহ মুসলিমে তাঁর বাণী: “যে ব্যক্তি এমন কোনো আ‘মাল করবে যা আমার শরিয়ত সমর্থিত নয় তা প্রত্যাখ্যাত।”
এবং জুম‘আর খুৎবায় তিনি বলেছিলেন :
“অতঃপর সর্বোত্তম বাণী হলো আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম হেদায়েত হলো মুহাম্মদ (ﷺ) এর হেদায়েত, আর নিকৃষ্টতর কাজ হলো এর নব আবিষ্কৃত কাজ, এবং প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা।”
এ অর্থে আরও বহু হাদীস রয়েছে ।


বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব
সংকলক: শাইখ আবদুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
 

Share this page