সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর দ্বীনের কোন কোন দাঈ দ্বীন মানতে ও মানাতে আবেগের সাথে কঠোরতা ও অতিরঞ্জন প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে দ্বীনের নির্দেশ কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,133
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,491
Credits
24,212
দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন করা বৈধ নয়। আবেগ থাকা ভাল, তবে শরিয়তের লাগাম থাকা জরুরী। নচেৎ তার গতিবেগ তুফান তুলে সর্বনাশ ও সন্ত্রাস আনায়ন করতে পারে। এ জন্যই মহান আল্লাহ দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন।

“হে গ্রন্থধারিগন! তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ছাড়া মিথ্যা বলো না।” (সুরা নিসাঃ১৭১)

“বল, ‘হে ঐশী গ্রন্থধারিগন! তোমরা তোমাদের ধর্ম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করো না এবং যে সম্প্রদায় ইতিপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে ও অনেকে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না।’ (সুরা মাইদাহঃ ৭৭ আয়াত)

অনুরূপ তিনি দ্বীন দুনিয়ার ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করতেও নিষেধ করেছেন। তিনি তার নবী (সঃ) ও মুমিন বান্দাগণকে আদেশ দিয়ে বলেছেন,

“অতএব তুমি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছ, সেইভাবে সুদৃঢ় থাক এবং সেই লোকেরাও যারা (কুফরি হতে) তওবা করে তোমার সাথে রয়েছে, আর সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় তিনি তোমাদের কার্যকলাপ সম্যকভাবে প্রত্যক্ষ করেন। (সুরা হুদ ১১২ আয়াত)

মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন করা থেকে দুরে থাকো। কারণ দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেদের ধ্বংস করেছে।।” (আহমাদঃ ১৮৫৪, ইবনে মাজাহ ৩০২৯ নং, হাকেম প্রমুখ)

মহানবী (সঃ) দ্বীনের দাঈদেরকে বলেছেন, “তোমরা সহজ কর, কঠিন কর না। সুসংবাদ দাও, বীতশ্রদ্ধ করো না। পরস্পর মেনে মানিয়ে চল, মতবিরোধ করো না।” (বুখারি ৩০৩৮, মুসলিমঃ ৪৫২৬ নং)

“নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও।” (বুখারি)


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
Top