If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
সালাফে সালেহীন ইমামগণ ‘ইলমুল কালাম' দর্শনশাস্ত্র বা 'ইলমুল মানতিক' তর্কশাস্ত্রের নিন্দা করে গিয়েছেন। যেমন, ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র পুত্র হাম্মাদ বলেন: এক শুক্রবারে আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) আমার হাত ধরে মসজিদে প্রবেশ করেন।.... তিনি দীন (আকীদাহ) বিষয়ে বিতর্কে (কালাম চর্চায়) লিপ্ত একদল মানুষের নিকট দিয়ে গমন করেন এবং আমাকে বলেন: বেটা! যে ব্যক্তি এ শাস্ত্রে পারদর্শিতা অর্জন করবে সে যিনদীক (ধর্মত্যাগী ও ধর্ম অবমাননাকারী) বলে আখ্যায়িত হবে এবং ইসলামের পরিমণ্ডল থেকে বহির্ভূত বলে গণ্য হবে।
এভাবে সে এমন অবস্থায় পৌঁছাবে যে, তার দ্বারা কোনো কল্যাণ সাধিত হবে না।...হাম্মাদ ইবন আবী হানীফা বলেন: আমি এরূপ বিতর্কের বিষয়ে খুবই আগ্রহী ছিলাম। শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর এ কথার পরে আমি এ জাতীয় বিতর্ককে পরিত্যাগ করি ।
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র ছাত্র নূহ ইবন আবী মারইয়াম বলেন: “আমি আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহকে বললাম: মানুষেরা ইলমুল কালামে (স্রষ্টার অস্তিত্ব, অনাদিত্ব ও বিশেষণ প্রমাণে) 'আরদ্ব' (অমৌল-পরনির্ভর) 'জিসম' (দেহ) ইত্যাদি বিষয়ক আলোচনা উদ্ভাবন করেছে। এগুলোর বিষয়ে আপনার মত কী?
তিনি বলেন: এগুলো দার্শনিকদের কথাবার্তা। তোমার দায়িত্ব হাদীসের ওপর নির্ভর করা এবং পূর্ববর্তীদের (সাহাবী-তাবেয়ীদের) তরীকা অনুসরণ করা। সাবধান! সকল নব- উদ্ভাবিত বিষয় বর্জন করবে; কারণ তা বিদ'আত।”
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র ছাত্রগণও ইলমুল কালাম চর্চা নিষেধ করতে থাকেন। ইমাম আবু ইউসুফ রাহিমাহুল্লাহ (১৮৯ হি.) তাঁর ছাত্র ইলমুল কালামের বিশেষজ্ঞ ও মু'তাযিলী পণ্ডিত বিশর আল-মাররীসী (২১৮ হি.)-কে বলেন: “কালামের জ্ঞানই হলো প্রকৃত অজ্ঞতা আর কালাম সম্পর্কে অজ্ঞতাই হলো প্রকৃত জ্ঞান। ইলমুল কালামে সুখ্যাতির অর্থ তাকে যিনদীক বা অবিশ্বাসী-ধর্মত্যাগী বলা হবে।”
ইমাম আবু ইউসুফ রাহিমাহুল্লাহ আরও বলেন: “যে ব্যক্তি ইলমুল কালাম শিক্ষা করবে সে যিনদীকে পরিণত হবে।”
ইমাম শাফে'য়ী রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু ২০৪ হি.) বলেন “যারা ইলমুল কালাম চর্চা করে তাদের বিষয়ে আমার আদেশ এই যে, তাদেরকে খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে পেটাতে হবে, এভাবে মহল্লায় মহল্লায় ও গোত্র-গোষ্ঠীসমূহের মধ্যে ঘুরিয়ে বেড়াতে হবে এবং বলতে হবে: যারা কুরআন ও সুন্নাহ ছেড়ে ইলমুল কালামে মনোনিবেশ করে তাদের এ শাস্তি।”(১)
এভাবে প্রসিদ্ধ চার মুজতাহিদ ইমাম এবং দ্বিতীয়-তৃতীয় হিজরী শতকের সকল প্রসিদ্ধ আলেম, ইমাম, ফকীহ ও মুহাদ্দিস অত্যন্ত কঠোর ভাষায় ইলমুল কালামের নিন্দা করেছেন।
পরবর্তী যুগে ইমাম আবু হানীফা ও অন্যান্য ইমামের অনুসারী অনেক আলেম আহলুস সুন্নাতের আকীদাহ ব্যাখ্যার জন্য ইলমুল কালাম চর্চা করেছেন। বিভ্রান্ত ফিরকাসমূহের বিভ্রান্তির উত্তর প্রদানের প্রয়োজনেই তারা ইলমুল কালামের পরিভাষা ও পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন। তবে তারা ইলমুল কালামের 'দার্শনিক অপছায়া’ থেকে বের হতে পারেননি। তাদের আলোচনায় সর্বদা কুরআন, হাদীস বা ওহীর বক্তব্যের চেয়ে যুক্তি-তর্ক ও দর্শন প্রাধান্য পেয়েছে।
ইমামগণ বা সালাফে সালেহীনের আকীদাহ চর্চা ওহী নির্ভর, বিশেষত হাদীস ও ‘আছার' বা সাহাবীগণের বক্তব্য নির্ভর। পক্ষান্তরে ইলমুল কালাম ‘আক্কল' অর্থাৎ জ্ঞানেন্দ্ৰিয়, বোধশক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি ও দর্শননির্ভর।
১। আল-ফিকহুল আকবর, বঙ্গানুবাদ, পৃ. ২৭৫-২৭৬।
এভাবে সে এমন অবস্থায় পৌঁছাবে যে, তার দ্বারা কোনো কল্যাণ সাধিত হবে না।...হাম্মাদ ইবন আবী হানীফা বলেন: আমি এরূপ বিতর্কের বিষয়ে খুবই আগ্রহী ছিলাম। শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর এ কথার পরে আমি এ জাতীয় বিতর্ককে পরিত্যাগ করি ।
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র ছাত্র নূহ ইবন আবী মারইয়াম বলেন: “আমি আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহকে বললাম: মানুষেরা ইলমুল কালামে (স্রষ্টার অস্তিত্ব, অনাদিত্ব ও বিশেষণ প্রমাণে) 'আরদ্ব' (অমৌল-পরনির্ভর) 'জিসম' (দেহ) ইত্যাদি বিষয়ক আলোচনা উদ্ভাবন করেছে। এগুলোর বিষয়ে আপনার মত কী?
তিনি বলেন: এগুলো দার্শনিকদের কথাবার্তা। তোমার দায়িত্ব হাদীসের ওপর নির্ভর করা এবং পূর্ববর্তীদের (সাহাবী-তাবেয়ীদের) তরীকা অনুসরণ করা। সাবধান! সকল নব- উদ্ভাবিত বিষয় বর্জন করবে; কারণ তা বিদ'আত।”
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র ছাত্রগণও ইলমুল কালাম চর্চা নিষেধ করতে থাকেন। ইমাম আবু ইউসুফ রাহিমাহুল্লাহ (১৮৯ হি.) তাঁর ছাত্র ইলমুল কালামের বিশেষজ্ঞ ও মু'তাযিলী পণ্ডিত বিশর আল-মাররীসী (২১৮ হি.)-কে বলেন: “কালামের জ্ঞানই হলো প্রকৃত অজ্ঞতা আর কালাম সম্পর্কে অজ্ঞতাই হলো প্রকৃত জ্ঞান। ইলমুল কালামে সুখ্যাতির অর্থ তাকে যিনদীক বা অবিশ্বাসী-ধর্মত্যাগী বলা হবে।”
ইমাম আবু ইউসুফ রাহিমাহুল্লাহ আরও বলেন: “যে ব্যক্তি ইলমুল কালাম শিক্ষা করবে সে যিনদীকে পরিণত হবে।”
ইমাম শাফে'য়ী রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু ২০৪ হি.) বলেন “যারা ইলমুল কালাম চর্চা করে তাদের বিষয়ে আমার আদেশ এই যে, তাদেরকে খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে পেটাতে হবে, এভাবে মহল্লায় মহল্লায় ও গোত্র-গোষ্ঠীসমূহের মধ্যে ঘুরিয়ে বেড়াতে হবে এবং বলতে হবে: যারা কুরআন ও সুন্নাহ ছেড়ে ইলমুল কালামে মনোনিবেশ করে তাদের এ শাস্তি।”(১)
এভাবে প্রসিদ্ধ চার মুজতাহিদ ইমাম এবং দ্বিতীয়-তৃতীয় হিজরী শতকের সকল প্রসিদ্ধ আলেম, ইমাম, ফকীহ ও মুহাদ্দিস অত্যন্ত কঠোর ভাষায় ইলমুল কালামের নিন্দা করেছেন।
পরবর্তী যুগে ইমাম আবু হানীফা ও অন্যান্য ইমামের অনুসারী অনেক আলেম আহলুস সুন্নাতের আকীদাহ ব্যাখ্যার জন্য ইলমুল কালাম চর্চা করেছেন। বিভ্রান্ত ফিরকাসমূহের বিভ্রান্তির উত্তর প্রদানের প্রয়োজনেই তারা ইলমুল কালামের পরিভাষা ও পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন। তবে তারা ইলমুল কালামের 'দার্শনিক অপছায়া’ থেকে বের হতে পারেননি। তাদের আলোচনায় সর্বদা কুরআন, হাদীস বা ওহীর বক্তব্যের চেয়ে যুক্তি-তর্ক ও দর্শন প্রাধান্য পেয়েছে।
ইমামগণ বা সালাফে সালেহীনের আকীদাহ চর্চা ওহী নির্ভর, বিশেষত হাদীস ও ‘আছার' বা সাহাবীগণের বক্তব্য নির্ভর। পক্ষান্তরে ইলমুল কালাম ‘আক্কল' অর্থাৎ জ্ঞানেন্দ্ৰিয়, বোধশক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি ও দর্শননির্ভর।
- আল-ফাতওয়া আল-হামাউইয়্যাহ আল-কুবরা
১। আল-ফিকহুল আকবর, বঙ্গানুবাদ, পৃ. ২৭৫-২৭৬।