New member
তোমরা বিয়ের প্রস্তাবনা গোপন রাখ এবং বিয়ে হওয়ার ঘোষণা কর" এ হাদিসটি কি সহিহ? আমি বুঝাতে চাচ্ছি 'বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া'; বিয়ের আকদ হওয়া নয়। বিয়ের প্রস্তাব দেয়া উপলক্ষে কোন অনুষ্ঠান না করাই কি উত্ত ম? আমি জানি যে, বিয়ের আকদ বা বিয়ের ঘোষণা করা ওয়াজিব; কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবনা সম্পর্কে কী বলবেন?
উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।
এ হাদিসটি দাইলামী তার 'মুসনাদ' গ্রন্থে এ ভাষ্যে সংকলন করেছেন:
(তোমরা বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ কর এবং প্রস্তাবনার বিষয়টি গোপন রাখ)। এটি একটি যয়ীফ (দুর্বল) হাদিস। শাইখ আলবানী তার 'আস-সিলসিলা আয্যায়ীফা' গ্রন্থে (২৪৯৪) ও 'যয়ীফুল জামিয়িস সাগীর' গ্রন্থে (৯২২) যায়ীফ (দুর্বল) বলেছেন।
কিন্তু, হাদিসের প্রথম বাক্যটি (أعلنوا-ঘোষণা কর) ভাষ্যে সহিহ। ইমাম আহমাদ আব্দুল্লাহ্বিন যুবাইর (রাঃ) থেকে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেন: أعلنوا النكاح (তোমরা বিয়ের ঘোষণা কর) [আলবানী 'ইরওয়াউল গালিল' গ্রন্থে (১৯৯৩) হাদিসটিকে 'হাসান' বলেছেন।]
'বিয়ের ঘোষণা করা' মানে 'বিয়ের সাক্ষী রাখা' অধিকাংশ আলেমের নিকট ওয়াজিব। বরং এটি বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل (অভিভাবক ও দুইজন ন্যায়বান সাক্ষী ব্যতীত কোন বিয়ে নাই)[সুনানে বাইহাকীতে ইমরান (রাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) এর হাদিস; আলবানী 'সহিহুল জামে' গ্রন্থে (৭৫৫৭) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
কিছু কিছু আলেম হিংসুটে মানুষের ভয়ে বিয়ের প্রস্তাবনার বিষয়টি গোপন রাখাকে মুস্তাহাব বলেছেন; যারা প্রস্তাবকারী ও পাত্রীর পরিবারের মাঝে কুৎসা রটনার চেষ্টা করে; যেমনটি এসেছে 'হাশিয়াতুল আদাওয়ি আলা শারহি মুখতাসারি খালিল' (৩/১৬৭)]
এ অভিমতের পক্ষে সমর্থন যোগায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসটিও:
(তোমরা তোমাদের প্রয়োজনগুলো সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে সাহায্য চাও। কেননা প্রত্যেকটি নেয়ামত হিংসার পাত্র)[হাদিসটি তাবারানী সংকলন করেছেন এবং শাইখ আলবানী 'সহিহুল জামে' গ্রন্থে (৯৪৩) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
এ বিধানটি কেবল বিয়ের প্রস্তাবনার সাথে খাস নয়। বরং যে ব্যক্তি কারো প্রতি আল্লাহ্র কোন নেয়ামত দেখলেই তাকে হিংসা করে তার সামনে সেটি প্রকাশ করা উচিত নয়।
পক্ষান্তরে, বিয়ের প্রস্তাব পেশ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা অনেকের মাঝে প্রচলিত একটি প্রথা। ইনশা আল্লাহ্এতে কোন অসুবিধা নাই; যদি শরয়ি বিধিবিধান মেনে সে অনুষ্ঠান পালন করা হয়। অর্থাৎ এতে নর-নারীর সংমিশ্রণ না ঘটে এবং কোন মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা না হয়; কেবল দফ ব্যতীত। যেহেতু বিয়েসাদীতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দফ ব্যবহার করার অবকাশ দিয়েছেন।
উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।
এ হাদিসটি দাইলামী তার 'মুসনাদ' গ্রন্থে এ ভাষ্যে সংকলন করেছেন:
أظهروا النكاح وأخفوا الخِطبة
(তোমরা বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ কর এবং প্রস্তাবনার বিষয়টি গোপন রাখ)। এটি একটি যয়ীফ (দুর্বল) হাদিস। শাইখ আলবানী তার 'আস-সিলসিলা আয্যায়ীফা' গ্রন্থে (২৪৯৪) ও 'যয়ীফুল জামিয়িস সাগীর' গ্রন্থে (৯২২) যায়ীফ (দুর্বল) বলেছেন।
কিন্তু, হাদিসের প্রথম বাক্যটি (أعلنوا-ঘোষণা কর) ভাষ্যে সহিহ। ইমাম আহমাদ আব্দুল্লাহ্বিন যুবাইর (রাঃ) থেকে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেন: أعلنوا النكاح (তোমরা বিয়ের ঘোষণা কর) [আলবানী 'ইরওয়াউল গালিল' গ্রন্থে (১৯৯৩) হাদিসটিকে 'হাসান' বলেছেন।]
'বিয়ের ঘোষণা করা' মানে 'বিয়ের সাক্ষী রাখা' অধিকাংশ আলেমের নিকট ওয়াজিব। বরং এটি বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل (অভিভাবক ও দুইজন ন্যায়বান সাক্ষী ব্যতীত কোন বিয়ে নাই)[সুনানে বাইহাকীতে ইমরান (রাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) এর হাদিস; আলবানী 'সহিহুল জামে' গ্রন্থে (৭৫৫৭) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
কিছু কিছু আলেম হিংসুটে মানুষের ভয়ে বিয়ের প্রস্তাবনার বিষয়টি গোপন রাখাকে মুস্তাহাব বলেছেন; যারা প্রস্তাবকারী ও পাত্রীর পরিবারের মাঝে কুৎসা রটনার চেষ্টা করে; যেমনটি এসেছে 'হাশিয়াতুল আদাওয়ি আলা শারহি মুখতাসারি খালিল' (৩/১৬৭)]
এ অভিমতের পক্ষে সমর্থন যোগায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসটিও:
استعينوا على إنجاح الحوائج بالكتمان ، فإن كل ذي نعمةٍ محسود
(তোমরা তোমাদের প্রয়োজনগুলো সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে সাহায্য চাও। কেননা প্রত্যেকটি নেয়ামত হিংসার পাত্র)[হাদিসটি তাবারানী সংকলন করেছেন এবং শাইখ আলবানী 'সহিহুল জামে' গ্রন্থে (৯৪৩) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
এ বিধানটি কেবল বিয়ের প্রস্তাবনার সাথে খাস নয়। বরং যে ব্যক্তি কারো প্রতি আল্লাহ্র কোন নেয়ামত দেখলেই তাকে হিংসা করে তার সামনে সেটি প্রকাশ করা উচিত নয়।
পক্ষান্তরে, বিয়ের প্রস্তাব পেশ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা অনেকের মাঝে প্রচলিত একটি প্রথা। ইনশা আল্লাহ্এতে কোন অসুবিধা নাই; যদি শরয়ি বিধিবিধান মেনে সে অনুষ্ঠান পালন করা হয়। অর্থাৎ এতে নর-নারীর সংমিশ্রণ না ঘটে এবং কোন মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা না হয়; কেবল দফ ব্যতীত। যেহেতু বিয়েসাদীতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দফ ব্যবহার করার অবকাশ দিয়েছেন।
Last edited by a moderator: