সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর তাশরিকের দিনগুলোতে মীনাতে রাত্রি যাপন না করা

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,138
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
প্রশ্ন : আশা করব, তাশরিকের দিনগুলোতে মীনাতে রাত্রি যাপন না করার বিধান জানাবেন। যদি রাত্রি যাপন ত্যাগ করার কারণে ‘দম’ (পশু জবাই) দেয়া ওয়াজিব হয় তাহলে প্রত্যেক রাত্রির জন্য একটি করে ভেড়া জবাই করা ওয়াজিব; নাকি একটি জবাই করা যথেষ্ট?


উত্তর : আলহামদুলিল্লাহ।


জমহুর (অধিকাংশ) ফিকাহবিদ আলেম মতে, তাশরিকের দিনগুলোতে মীনাতে রাত্রি যাপন করা ওয়াজিব। যে ব্যক্তি কোন ওজর ছাড়া এটি বর্জন করবে তার উপর দম অপরিহার্য। রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে কতটুকু সময় অবস্থান করা ওয়াজিব সে ব্যাপারে জমহুর আলেমদের অভিমত হল: রাত্রির বেশিরভাগ অংশ অবস্থান করা ওয়াজিব।


[আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা, খণ্ড-১৭, পৃষ্ঠা-৫৮]


তাশরিকের দিনগুলোতে মীনায় রাত্রি যাপন ত্যাগ করার বিধান নিম্নোক্ত ব্যাখ্যাসাপেক্ষ:


প্রথম অবস্থা: কোন ওজরের কারণে রাত্রি যাপন না করা।


যে ব্যক্তির মীনাতে রাত্রি যাপন করার সাধ্য নেই সে ব্যক্তির হুকুম সম্পর্কে শাইখ বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। কারণ আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ্‌কে ভয় কর।” তার রাত্রি যাপন ত্যাগ করাটা রোগের কারণে হোক, কিংবা জায়গা না পাওয়ার কারণে হোক, কিংবা এ জাতীয় শরিয়ত অনুমোদিত অন্য যে কোন ওজরের কারণে হোক; যেমন- হাজীদের পানি পান করানো, বা কোরবানীর পশুগুলো চরানো, কিংবা এ দুই শ্রেণীর হুকুমের মধ্যে আরও যারা পড়ে।


দ্বিতীয় অবস্থা: যদি কোন ওজর ছাড়া তাশরিকের দিনগুলোতে রাত্রি যাপন ত্যাগ করেন।


শাইখ (রহঃ) বলেন: যে ব্যক্তি কোন ওজর ছাড়া তাশরিকের দিনগুলোতে মীনায় রাত্রি যাপন ত্যাগ করল সে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কথা, কাজ ও বিশেষ ওজরগ্রস্ত লোকদেরকে (যেমন কোরবানীর পশুর রাখাল ও হাজীদের পানি পানকারীগণ) বিশেষ অবকাশ দেয়ার মাধ্যমে যে বিধান জারী করেছেন সেটা লঙ্ঘন করল। রুখসত বা অবকাশ দেয়া হয় আযিমত (করতেই হয় এমন) এর বিপরীতে। এ কারণে আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, তাশরিকের দিনগুলোতে মীনাতে রাত্রি যাপন করা হজ্জের একটি ওয়াজিব আমল। যে ব্যক্তি কোন ওজর ছাড়া সেটা বর্জন করবে তার উপর দম ওয়াজিব হবে। যেহেতু ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি কোন একটি হজ্জের কাজ ছেড়ে দিয়েছে কিংবা করতে ভুলে গেছে সে যেন দম দেয় (পশু উৎসর্গ করে)।” তাশরিকের দিনগুলোতে রাত্রি যাপন ত্যাগ করার কারণে শুধু একটি দম বা একটি পশু উৎসর্গ করা যথেষ্ট।[মাজমুউ ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায (রহঃ); খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-১৮২]


পশুটি জবাই করে এর গোশত মক্কার হারাম এলাকার ভেতরে বসবাসকারী গরীবদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে; নিজে এর থেকে কিছু খাওয়া যাবে না। আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।


সুত্র: Islamqa.info
 
Top