• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,263
Credits
6,307
তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম করার ব্যাপারে শায়খ ইবনে বায (রঃ) বলেন, এ ব্যাপারে প্রশস্ততা আছে। তবে আমার এমন কোন দলীল জানা নেই, যাকে কেন্দ্র করে বলা যায় যে, তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম উত্তম। অবশ্য কিছু উলামা বলেন যে, ইমামের জন্য পূর্ণ কুরআন শুনানো উত্তম; যাতে করে জামাআতের জন্য (অন্ততপক্ষে বছরে একবার) পূর্ণ কুরআন শোনার সৌভাগ্য লাভ হয়। কিন্তু এ যুক্তি স্পষ্ট দলীল নয়।

সুতরাং যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, ইমাম তাঁর ক্বিরাআতে বিনয়-নম্রতা অবলম্বন করবেন, ধীর ও শান্তভাবে কুরআন তেলাঅত করবেন খতম করতে না পারলেও; বরং অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ পড়তে না পারলেও মুক্তাদীরা যাতে উপকৃত হয় সেই চেষ্টাই করবেন। যেহেতু কুরআন খতম করা কোন জরুরী কাজ নয়; জরুরী হল লোকদেরকে তাদের নামাযের ভিতরে ক্বিরাআতের মাধ্যমে বিনয়-নম্রতা সৃষ্টি করে উপকৃত করা। যাতে তারা সেই নামায ও ক্বিরাআতে লাভবান ও তৃপ্ত হতে পারে। অবশ্য এর সাথে যদি কুরআন খতম করা সম্ভব হয়, তাহলে আল-হামদু লিল্লাহ। সম্ভব না হলে তিনি যা পড়েছেন তাই যথেষ্ট; যদিও কুরআনের কিছু অংশ বাকী থেকে যায়। কারণ, কুরআন খতম করা অপেক্ষা ইমামের মুক্তাদীগণের প্রতি সবিশেষ যত্ন নেওয়া, তাদেরকে নামাযের ভিতরে বিনয়াবনত হতে সর্বতঃ প্রয়াস রাখা এবং তাদেরকে নামাযে পরিতৃপ্ত করে উপকৃত করা বেশী গুরুত্ব রাখে। এতদ্সত্ত্বেও যদি কোন প্রকার কষ্ট-অসুবিধা ছাড়াই কুরআন খতম করেন এবং পূর্ণ কুরআন তাদেরকে শোনাতে সক্ষম হন, তাহলে তা অবশ্যই উত্তম।[1]

বলা বাহুল্য, ইমামের জন্য জরুরী হল, মুক্তাদীদের অবস্থার খেয়াল রাখা। কেননা, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ লোকেদের নামায পড়ায়, তখন সে যেন হাল্কা করে পড়ে। কেননা, তাদের মধ্যে রোগী, দুর্বল ও বৃদ্ধ লোক থাকে। অবশ্য যখন তোমাদের কেউ একা নামায পড়ে, তখন সে যত ইচ্ছা লম্বা করতে পারে।’’[2]


[1] (সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ১১-১২পৃঃ)
[2] (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী ৭০৩নং, মুসলিম ৪৬৭নং, তিরমিযী)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top