- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 773
- Comments
- 923
- Reactions
- 8,148
- Thread Author
- #1
তাওয়াক্কুলের স্তরসমূহ :
প্রথম স্তর-
আল্লাহ তাআলার সত্তা ও গুণাবলি সম্পর্কে জানা। আরও জানা যে, তাঁর ক্ষমতা অসীম ও সর্ববিষয়ে তিনি সক্ষম। সবকিছু তাঁর ইলম অনুযায়ী হয় এবং তাঁর ইচ্ছায় ঘটে।
দ্বিতীয় স্তর-
উপকরণ ও কার্যকারণে বিশ্বাস করা। কেউ যদি উপকরণে অবিশ্বাস করে, তবে তার তাওয়াক্কুল ত্রুটিপূর্ণ; যদিও সাধারণত মনে করা হয় উপকরণে বিশ্বাস তাওয়াক্কুল-পরিপন্থী।
তৃতীয় স্তর-
অন্তর তাওয়াক্কুলে তাওহিদের স্তরে স্থিত হওয়া। বান্দার তাওহিদ পূর্ণাঙ্গ হতে হলে তার তাওয়াক্কুল পূর্ণ হওয়া জরুরি; বরং বলা যেতে পারে- অন্তরের তাওহিদই হচ্ছে তাওয়াক্কুলের মূল বিষয়। যতক্ষণ না অন্তর শিরকের সকল ছিটেফোঁটা থেকে মুক্ত হবে, ততক্ষণ তাওয়াক্কুল বিশুদ্ধ হবে না। তাওহিদের মাত্রায় নির্ধারিত হবে তাওয়াক্কুলের মান।
চতুর্থ স্তর-
অন্তর আল্লাহর ব্যাপারে আস্থাশীল ও প্রশান্ত হওয়া। অর্থাৎ উপকরণের প্রতি আস্থার পরিবর্তে অন্তরে উপকরণ-স্রষ্টার প্রতি স্থিরতা সৃষ্টি করা। এর লক্ষণ হচ্ছে, উপকরণ হাতছাড়া হয়ে গেলেও অস্থির না হওয়া; কারণ, তার মূল ভরসা আল্লাহর ওপর।
পঞ্চম স্তর-
আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা। তাঁর প্রতি আশা ও সুধারণা যত বেশি হবে, তাওয়াক্কুলও তত দৃঢ় হবে। এ কারণেই অনেকে তাওয়াক্কুলের অর্থ করেছেন 'আল্লাহর প্রতি সুধারণা'।
ষষ্ঠ স্তর-
অন্তর উক্ত অবস্থায় স্থির হওয়া ও তাওয়াক্কুলের সকল চেতনা নির্বিবাদে ধারণ করা।
সপ্তম স্তর-
সমর্পণ। এটিই তাওয়াকূলের প্রাণ। নিজের সকল বিষয়কে আল্লাহর নিকট সোপর্দ করা। অনিচ্ছায় নয়, যেচ্ছায়। যেমন দুর্বল ও অসহায় ছেলে স্নেহশীল। পিতার নিকট গভীর আস্থায় সবকিছু সোপর্দ করে।
অষ্টম স্তর-
পূর্বোক্ত স্তরে প্রবেশ করার পরপর বান্দা নতুন এই স্তরে প্রবেশ করে, যার নাম 'সন্তুষ্টির স্তর'। সন্তুষ্টি তাওয়াক্কুলের ফলাফল। কেউ যদি যথার্থভাবে তাওয়াক্কুল করে থাকে, তবে অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ তাআলা যে ফয়সালা করবেন, তাতেই সে সন্তুষ্ট থাকবে।
উল্লিখিত আট স্তরের পূর্ণতায় বান্দার তাওয়াক্কুল (আল্লাহ ভরসা) পরিপূর্ণ হয়।
— ইমাম ইবনুল কায়্যিম, মাদারিজুস সালিকিন
প্রথম স্তর-
আল্লাহ তাআলার সত্তা ও গুণাবলি সম্পর্কে জানা। আরও জানা যে, তাঁর ক্ষমতা অসীম ও সর্ববিষয়ে তিনি সক্ষম। সবকিছু তাঁর ইলম অনুযায়ী হয় এবং তাঁর ইচ্ছায় ঘটে।
দ্বিতীয় স্তর-
উপকরণ ও কার্যকারণে বিশ্বাস করা। কেউ যদি উপকরণে অবিশ্বাস করে, তবে তার তাওয়াক্কুল ত্রুটিপূর্ণ; যদিও সাধারণত মনে করা হয় উপকরণে বিশ্বাস তাওয়াক্কুল-পরিপন্থী।
তৃতীয় স্তর-
অন্তর তাওয়াক্কুলে তাওহিদের স্তরে স্থিত হওয়া। বান্দার তাওহিদ পূর্ণাঙ্গ হতে হলে তার তাওয়াক্কুল পূর্ণ হওয়া জরুরি; বরং বলা যেতে পারে- অন্তরের তাওহিদই হচ্ছে তাওয়াক্কুলের মূল বিষয়। যতক্ষণ না অন্তর শিরকের সকল ছিটেফোঁটা থেকে মুক্ত হবে, ততক্ষণ তাওয়াক্কুল বিশুদ্ধ হবে না। তাওহিদের মাত্রায় নির্ধারিত হবে তাওয়াক্কুলের মান।
চতুর্থ স্তর-
অন্তর আল্লাহর ব্যাপারে আস্থাশীল ও প্রশান্ত হওয়া। অর্থাৎ উপকরণের প্রতি আস্থার পরিবর্তে অন্তরে উপকরণ-স্রষ্টার প্রতি স্থিরতা সৃষ্টি করা। এর লক্ষণ হচ্ছে, উপকরণ হাতছাড়া হয়ে গেলেও অস্থির না হওয়া; কারণ, তার মূল ভরসা আল্লাহর ওপর।
পঞ্চম স্তর-
আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা। তাঁর প্রতি আশা ও সুধারণা যত বেশি হবে, তাওয়াক্কুলও তত দৃঢ় হবে। এ কারণেই অনেকে তাওয়াক্কুলের অর্থ করেছেন 'আল্লাহর প্রতি সুধারণা'।
ষষ্ঠ স্তর-
অন্তর উক্ত অবস্থায় স্থির হওয়া ও তাওয়াক্কুলের সকল চেতনা নির্বিবাদে ধারণ করা।
সপ্তম স্তর-
সমর্পণ। এটিই তাওয়াকূলের প্রাণ। নিজের সকল বিষয়কে আল্লাহর নিকট সোপর্দ করা। অনিচ্ছায় নয়, যেচ্ছায়। যেমন দুর্বল ও অসহায় ছেলে স্নেহশীল। পিতার নিকট গভীর আস্থায় সবকিছু সোপর্দ করে।
অষ্টম স্তর-
পূর্বোক্ত স্তরে প্রবেশ করার পরপর বান্দা নতুন এই স্তরে প্রবেশ করে, যার নাম 'সন্তুষ্টির স্তর'। সন্তুষ্টি তাওয়াক্কুলের ফলাফল। কেউ যদি যথার্থভাবে তাওয়াক্কুল করে থাকে, তবে অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ তাআলা যে ফয়সালা করবেন, তাতেই সে সন্তুষ্ট থাকবে।
উল্লিখিত আট স্তরের পূর্ণতায় বান্দার তাওয়াক্কুল (আল্লাহ ভরসা) পরিপূর্ণ হয়।
— ইমাম ইবনুল কায়্যিম, মাদারিজুস সালিকিন