‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

তখন তার দ্বীনদারিত্ব কোথায় থাকতো?

ইয়াযিদ ইবনে মুআবিয়া খলীফা হওয়ার পর আবুদ্দারদা রাযি. এর মেয়ে দারদা রাযি.কে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। তিনি তার প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিলেন। তার সাথে বিবাহ দিতে অস্বীকৃতি জানালেন।

একদিন সাধারণ একজন মুসলমান ইয়াযিদের দরবারে এসে কোন বিষয়ে ইয়াযিদকে উপদেশ দিতে লাগলো। আবুদ্দারদা রাযি. তার এই আচরণে মুগ্ধ হলেন। এবং তার মেয়ে দারদা কে ঐ ব্যক্তির কাছে বিয়ে দিলেন।

এই খবরটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়লো। মানুষ বলাবলি করতে লাগলো ইয়াযিদ আবুদ্দারদা রাযি. এর মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিল কিন্তু তার কাছে না দিয়ে তিনি সাধারণ দরিদ্র একজন মানুষের কাছে বিয়ে দিলেন!

আবুদ্দারদা রাযি. বললেন, আমি আমার মেয়ের ব্যপারে ভয় করছিলাম। তোমাদের ধারনা কি? যদি আমার মেয়েকে ইয়াযিদ এর কাছে বিয়ে দিতাম তাহলে সে সাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারতো,এবং তার মাথার চারদিকে দাসীরা খেদমতের জন্য থাকতো।
সে এসব চাকচিক্যময় জিনিসের দিকে দৃষ্টিপাত করতো, এসব চাকচিক্য ও শোভাময় জিনিস দেখে তার চোখ চমকে যেত। তখন তার দ্বীনদারিত্ব কোথায় থাকতো?

[ কিসসাতু যিওয়াজ আস সালিহিন— ৬৬ ]
 

Share this page