- Views: 233
- Replies: 3
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহি. তার প্রথম স্ত্রী আাব্বাসা বিনতু ফযল রাহি. মারা গেলেন। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ের ইচ্ছে করলেন। তাকে বলা হল অমুক গোত্রে দুজন বোন আছে, তাদের একজন পরমা সুন্দরী আরেকজন অধিক দ্বীনদার তবে তার এক চোখে ত্রুটি আছে। তারা দুজনই উত্তম রমণী।
আহমদ ইবনে হাম্বল রাহি. চোখে ত্রুটি থাকা দ্বীনদার নারীকে বিয়ে করলেন। তার নাম ছিল রায়হানা। বিয়ের পর তার রুমে ঢুকে নামাজ পড়লেন এবং তার স্ত্রী ও তার পিছনে নামাজ আদায় করলো।
নামাজ শেষে তার স্ত্রী দেখলেন তিনি তাকে উপেক্ষা করছেন,তার প্রতি অমনোযোগী। রায়হানা জিজ্ঞেস করলেন, আমার কোন কিছু কি আপনাকে অসন্তুষ্ট করেছে? আমার কোন কিছু অপছন্দ করতেছেন?
আহমদ বিন হাম্বল বললেন, না, তবে তোমার পায়ের স্যন্ডেল যা তুমি পরে আছো, এগুলো রাসুল ﷺ এর যুগে ছিলোনা। অতঃপর তিনি এই স্যান্ডেল বিক্রি করে একজোড়া ছেঁড়া স্যান্ডেল কিনলেন। পরে এটাই তিনি পায়ে দিতেন।
তিনি তার স্বামীর জন্য উত্তম স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার কাছ থেকে ফিকাহ ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন করেন।
ততকালীন খলিফা মামুন যখন আহমদ বিন হাম্বল কে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল, যখন তাকে কারাগারে নির্যাতনের আদেশ দিয়েছিল, তখন তিনি তাকে ছাড়া ধৈর্য্য অবলম্বন করে তার ছেলে আব্দুল্লাহ এর তত্ত্বাবধানে থাকতেন।
যখন খলিফা মামুন তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিল এবং বাড়িতে ফিরলেন তখন তিনি দেখলেন চাবুকের আঘাত তার সমস্ত শরীরের গোশতকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত তিনি তার চিকিৎসা ও পরিচর্যা করলেন। এরপর আহমদ বিন হাম্বল রাহি. এর স্ত্রী বেশীদিন তার সাথে থাকেননি। তিনি ইন্তেকাল করলেন। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল তার জন্য ব্যথিত ও চিন্তিত হলেন। এরপর আর তিনি কোন বিয়ে করেননি।
[ কিসসাতু যিওয়াজ আস সালিহিন— ৬২-৬৩ ]
আহমদ ইবনে হাম্বল রাহি. চোখে ত্রুটি থাকা দ্বীনদার নারীকে বিয়ে করলেন। তার নাম ছিল রায়হানা। বিয়ের পর তার রুমে ঢুকে নামাজ পড়লেন এবং তার স্ত্রী ও তার পিছনে নামাজ আদায় করলো।
নামাজ শেষে তার স্ত্রী দেখলেন তিনি তাকে উপেক্ষা করছেন,তার প্রতি অমনোযোগী। রায়হানা জিজ্ঞেস করলেন, আমার কোন কিছু কি আপনাকে অসন্তুষ্ট করেছে? আমার কোন কিছু অপছন্দ করতেছেন?
আহমদ বিন হাম্বল বললেন, না, তবে তোমার পায়ের স্যন্ডেল যা তুমি পরে আছো, এগুলো রাসুল ﷺ এর যুগে ছিলোনা। অতঃপর তিনি এই স্যান্ডেল বিক্রি করে একজোড়া ছেঁড়া স্যান্ডেল কিনলেন। পরে এটাই তিনি পায়ে দিতেন।
তিনি তার স্বামীর জন্য উত্তম স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার কাছ থেকে ফিকাহ ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন করেন।
ততকালীন খলিফা মামুন যখন আহমদ বিন হাম্বল কে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল, যখন তাকে কারাগারে নির্যাতনের আদেশ দিয়েছিল, তখন তিনি তাকে ছাড়া ধৈর্য্য অবলম্বন করে তার ছেলে আব্দুল্লাহ এর তত্ত্বাবধানে থাকতেন।
যখন খলিফা মামুন তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিল এবং বাড়িতে ফিরলেন তখন তিনি দেখলেন চাবুকের আঘাত তার সমস্ত শরীরের গোশতকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত তিনি তার চিকিৎসা ও পরিচর্যা করলেন। এরপর আহমদ বিন হাম্বল রাহি. এর স্ত্রী বেশীদিন তার সাথে থাকেননি। তিনি ইন্তেকাল করলেন। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল তার জন্য ব্যথিত ও চিন্তিত হলেন। এরপর আর তিনি কোন বিয়ে করেননি।
[ কিসসাতু যিওয়াজ আস সালিহিন— ৬২-৬৩ ]