If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
১. আল্লাহ তা‘আলার নাম ও ছিফাতের বিষয়ে মূলনীতি হলো- আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর জন্য যে সমস্ত নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে তুলনাহীনভাবে, সেগুলোর কোন রকম বা ধরণ নির্ধারণ না করে তার জন্য তা সাব্যস্ত করা। আর যে সমস্ত নাম বা গুণাবলী আল্লাহ তাআলা তার জন্য নিষেধ করেছেন অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আল্লাহ থেকে যে সমস্ত নাম ও গুণাগুণ নিষেধ করেছেন সেগুলোকে নিষেধ করা বা আল্লাহ্র জন্য সাব্যস্ত না করা। এগুলোর কোন প্রকার বিকৃতি বা এগুলোকে অর্থশূণ্য মনে না করা। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন:
২. আল্লাহর নাম এবং গুণাবলীকে অন্য কিছুর সাথে সাদৃশ্য করা বা এগুলোকে অর্থশূণ্য মনে করা কুফরী। আর এটাকে বিকৃত করা, যাকে বিদ'আতী সম্প্রদায় ব্যাখ্যা বলে অভিহিত করে থাকে। এর কিছু পৰ্যায় রয়েছে তন্মধ্যে কোন কোন বিকৃতি কুফরীর সমতুল্য। যেমনটি করে থাকে বাতেনিয়া সম্প্রদায়,[২] আবার কোন কোন বিকৃতি বিদ'আত ও পথভ্রষ্টতা। যেমনটি আল্লাহর গুণসমূহের অস্বীকারকারীদের ব্যাখ্যা। আর কিছু কিছু ব্যাখ্যা সাধারণ ভুল হিসেবে প্রমাণিত।
৩. ওহদাতুল ওজুদ বা আল্লাহ এবং সৃষ্টিকুল এক অভিন্ন সত্তা হিসেবে বিরাজমান মনে করা কুফরী। অথবা আল্লাহ তা'আলা তার কোন সৃষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হন, অথবা কেউ আল্লাহর সাথে একাকার হয়ে গেছেন বলে বিশ্বাস করাও কুফরী। এ ধরনের যাবতীয় আক্বীদাহ-বিশ্বাস স্বীকারকারী দীনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে।
৪. মৌলিকভাবে সকল ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনয়ন করা।[৩] আর তাদের নাম, গুণাবলী, কাজ ইত্যাদি বিষয় সহীহ দলীল প্রমাণ সহকারে যতটুকু বর্ণিত হয়েছে এবং যতটুকুর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে ততটুকু বিশ্বাস করা।
৫. আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সকল কিতাবের উপর ঈমান আনয়ন করা এবং এর উপরও ঈমান আনয়ন করা যে, ঐ সমস্ত আসমানী কিতাবসমূহের মধ্যে কুরআনুল কারীম সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর তা পূর্বের কিতাবসমূহের বিধি-বিধান রহিতকারী। আরও ঈমান রাখা যে, পূর্বের সমস্ত আসমানী কিতাবে বিকৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আর এজন্যই কেবল অনুসরণ করতে হবে একমাত্র কুরআনের, পূর্বেরগুলোর নয় ৷ [৪]
৬. সকল নাবী ও রাসূলগণের উপর ঈমান রাখা এবং মানুষের মধ্যে তারাই সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিবর্গ। কেউ যদি নাবীদের সম্পর্কে এর বিপরীত মত পোষণ করে তবে সে কাফের হয়ে যাবে। যে সকল নাবীর ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে কুরআন বা সহীহ হাদীসে আলোচনা রয়েছে তাদের উপর নির্দিষ্টভাবে ঈমান আনতে হবে। বাকীদের উপর সামগ্রিকভাবে ঈমান আনতে হবে।[৫] আরো ইমান আনতে হবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাবী ও রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সকল মানুষের জন্যে রাসূল করে পাঠিয়েছেন।
৭. ঈমান আনতে হবে যে, মুহাম্মাদ ছুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে ওহীর ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়েছে। আর তিনি সর্বশেষ নাবী ও রাসূল। যে ব্যক্তি এর বিপরীত আক্বীদাহ পোষণ করবে সে কাফের হয়ে যাবে।[৬]
৮. শেষ দিবসের উপর ঈমান আনতে হবে।[৭] আর এ প্রসঙ্গে বর্ণিত সকল সহীহ সংবাদ ও তার পূর্বে যে সমস্ত আলামত বা নিদর্শনাবলী সংগঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতেও ঈমান রাখতে হবে।[৮]
৯. তাক্বদীরের ভালো-মন্দের উপর ঈমান রাখা।[৯] আর তা হলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তা'আলা সকল কিছুর অস্তিত্বের পূর্বেই তা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন এবং তিনি তা লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করেছেন। আর আল্লাহ তা'আলা যা চান তাই হয়ে থাকে, আর যা চান না তা হয় না। সুতরাং কেবল আল্লাহ তা'আলা যা চাইবেন তা-ই শুধু হবে। আর আল্লাহ তা‘আলা সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান এবং তিনিই সকল কিছুর স্রষ্টা। যা ইচ্ছে তিনি তা করেন।[১০]
১০. দলিল প্রমাণ ভিত্তিক গায়েবের সকল বিষয়ের উপর ঈমান আনতে হবে। যেমন, আরশ ও কুরসী,[১১] জান্নাত ও জাহান্নাম,[১২] কবরের শাস্তি ও শান্তি,[১৩] পুলছিরাত ও মিযান[১৪] ইত্যাদি। এগুলোতে কোন প্রকার অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না।
১১. কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ, অন্যান্য নাবীগণ, ফেরেশতা ও নেককার লোকদের সুপারিশ প্রসঙ্গে নির্ভরযোগ্য দলিল দ্বারা যা বলা হয়েছে তাতে ঈমান আনয়ন করা।[১৫]
১২. [আরও ঈমান আনতে হবে যে] কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দান ও জান্নাতে সকল মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে স্বচক্ষে দেখতে পাওয়া হক ও বাস্তব। আর যে তা অস্বীকার করবে অথবা অপব্যাখ্যা করবে সে বক্রপথের অনুসারী এবং পথভ্রষ্ট। তবে দুনিয়াতে কারও পক্ষে দীদার বা আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়।[১৬]
১৩. নেক বান্দা এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের কারামত সত্য। তবে প্রত্যেক অলৌকিক ঘটনাই কারামত নয়, কখনো হতে পারে এটি প্ররোচনা মাত্র। কখনো বা এটি শয়তানের প্রভাবে বা মানুষদের যাদুর প্রতিক্রিয়ায় ঘটে থাকে। বিশেষ করে এসব বিষয় ও কারামতের মধ্যে পার্থক্যের মানদণ্ড হলো কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া বা না হওয়া। অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক না হলে সেটাকে কারামত বলা যাবে না৷
১৪. প্রত্যেক মুমিনই আল্লাহর ওলী বা বন্ধু। আর প্রত্যেক মুমিনের মধ্যে এই বেলায়েত বা বন্ধুত্বের পরিমাণ নির্ণিত হবে তার ঈমান অনুযায়ী।[১৭]
[১] দেখুন-সূরা আশ শূরা ৪২:১১
[২] বাতেনিয়া সম্প্রদায় বলতে তাদেরকে বুঝায়, যারা মনে করে থাকে যে, কুরআন ও হাদীসের বাহ্যিক অর্থ গ্রহণযোগ্য নয়, তাদের নিকট সেগুলোর গোপন অর্থ রয়েছে। তন্মধ্যে বিখ্যাত হচ্ছে, আগাখানী ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়, বুহরা সম্প্রদায়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়, কোন কোন শিয়া সম্প্রদায়, কোন কোন সুফী সম্প্রদায়। এরা সবচেয়ে বেশী ভ্রান্ত আক্বীদাহ বিশ্বাসী। তাদের অধিকাংশই কাফের।
[৩] দেখুন-সূরা ফাত্বির ৩৫:১, সূরা আত তাহরীম ৬৬:৬।
[৪] দেখুন-সূরা আলে ইমরান ৩:৭৮, আন আন নিসা ৪:৪৬, সহীহ বুখারী হা/৭৩৬১- ৭৩৬৩।
[৫] দেখুন-সূরা আল বাক্বারা ২:২৮৫, সহীহ মুসলিম হা/৮।
[৬] দেখুন-সূরা আল আহ্যাব ৩৩:২১,৪০, সূরা সাবা ৩৪:২৮, সহীহ্ মুসলিম হা/১৫৩।
[৭] দেখুন-সূরা আত-তাওবা ৯:১৮, সূরা আল-আন'আম ৬:৯২, সূরা আত-তাগাবুন ৬৪:৭।
[৮] দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/২৯০১।
[৯] দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/৮।
[১০] দেখুন-সূরা আল হাদিদ ৫৭:২২, মুসনাদে আহমাদ হা/২১৬১১, সহীহ বুখারী হা/৪৯৪৯, সহীহ মুসলিম হা/২৬৫৩।
[১১] দেখুন-সূরা আল বুরুজ ৮৫:১৫, সূরা গফির ৪০:১৫, সূরা আল আরাফ ৭:৫৪, সূরা আত ত্বহা ২০:৫, সূরা আল মু'মিনুন ২৩:১১৬, সূরা আন নামল ২৭:২৬, সূরা আল বাকারা 2:255।
[১২] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৪৯৪৯, ৬৫৪৬-৬৫৭৪।
[১৩] দেখুন-সূরা আল-মু'মিন ৪০:৪৬, সূরা আল আনআম ৬:৯৩, সূরা হামীম আস্ সাজ্দাহ্ ৪১:৩০, সহীহ: মুসনাদে আহমাদ হা/১৮৫৩৪, সহীহ মুসলিম হা/২৮৬৭।
[১৪] দেখুন-সূরা আল আম্বিয়া ২১:৪৭।
[১৫] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৬৫৬৬,
[১৬] দেখুন-সূরা আল কিয়ামাহ ৭৫:২২-২৩, সহীহ বুখারী ৭৪৩৪, সহীহ মুসলিম ১৮০, ১৮১।
[১৭] দেখুন-সূরা ইউনুছ ১০:৬২-৬৩, সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:১১, সূরা আল মায়িদা ৫:৫৫-৫৬, সহীহ বুখারী হা/৬৫০২
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
কোন কিছুই তার অনুরূপ নয় তিনি সব শুনেন ও দেখেন৷[১] তবে কুরআন ও সুন্নাহয় যে সমস্ত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর যে অর্থ আছে সে অর্থের উপর এবং এগুলোর যে যে বিষয় প্রমাণ করছে সে সব বিষয়ে পূর্ণ ঈমান থাকতে হবে।২. আল্লাহর নাম এবং গুণাবলীকে অন্য কিছুর সাথে সাদৃশ্য করা বা এগুলোকে অর্থশূণ্য মনে করা কুফরী। আর এটাকে বিকৃত করা, যাকে বিদ'আতী সম্প্রদায় ব্যাখ্যা বলে অভিহিত করে থাকে। এর কিছু পৰ্যায় রয়েছে তন্মধ্যে কোন কোন বিকৃতি কুফরীর সমতুল্য। যেমনটি করে থাকে বাতেনিয়া সম্প্রদায়,[২] আবার কোন কোন বিকৃতি বিদ'আত ও পথভ্রষ্টতা। যেমনটি আল্লাহর গুণসমূহের অস্বীকারকারীদের ব্যাখ্যা। আর কিছু কিছু ব্যাখ্যা সাধারণ ভুল হিসেবে প্রমাণিত।
৩. ওহদাতুল ওজুদ বা আল্লাহ এবং সৃষ্টিকুল এক অভিন্ন সত্তা হিসেবে বিরাজমান মনে করা কুফরী। অথবা আল্লাহ তা'আলা তার কোন সৃষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হন, অথবা কেউ আল্লাহর সাথে একাকার হয়ে গেছেন বলে বিশ্বাস করাও কুফরী। এ ধরনের যাবতীয় আক্বীদাহ-বিশ্বাস স্বীকারকারী দীনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে।
৪. মৌলিকভাবে সকল ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনয়ন করা।[৩] আর তাদের নাম, গুণাবলী, কাজ ইত্যাদি বিষয় সহীহ দলীল প্রমাণ সহকারে যতটুকু বর্ণিত হয়েছে এবং যতটুকুর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে ততটুকু বিশ্বাস করা।
৫. আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সকল কিতাবের উপর ঈমান আনয়ন করা এবং এর উপরও ঈমান আনয়ন করা যে, ঐ সমস্ত আসমানী কিতাবসমূহের মধ্যে কুরআনুল কারীম সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর তা পূর্বের কিতাবসমূহের বিধি-বিধান রহিতকারী। আরও ঈমান রাখা যে, পূর্বের সমস্ত আসমানী কিতাবে বিকৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আর এজন্যই কেবল অনুসরণ করতে হবে একমাত্র কুরআনের, পূর্বেরগুলোর নয় ৷ [৪]
৬. সকল নাবী ও রাসূলগণের উপর ঈমান রাখা এবং মানুষের মধ্যে তারাই সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিবর্গ। কেউ যদি নাবীদের সম্পর্কে এর বিপরীত মত পোষণ করে তবে সে কাফের হয়ে যাবে। যে সকল নাবীর ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে কুরআন বা সহীহ হাদীসে আলোচনা রয়েছে তাদের উপর নির্দিষ্টভাবে ঈমান আনতে হবে। বাকীদের উপর সামগ্রিকভাবে ঈমান আনতে হবে।[৫] আরো ইমান আনতে হবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাবী ও রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সকল মানুষের জন্যে রাসূল করে পাঠিয়েছেন।
৭. ঈমান আনতে হবে যে, মুহাম্মাদ ছুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে ওহীর ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়েছে। আর তিনি সর্বশেষ নাবী ও রাসূল। যে ব্যক্তি এর বিপরীত আক্বীদাহ পোষণ করবে সে কাফের হয়ে যাবে।[৬]
৮. শেষ দিবসের উপর ঈমান আনতে হবে।[৭] আর এ প্রসঙ্গে বর্ণিত সকল সহীহ সংবাদ ও তার পূর্বে যে সমস্ত আলামত বা নিদর্শনাবলী সংগঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতেও ঈমান রাখতে হবে।[৮]
৯. তাক্বদীরের ভালো-মন্দের উপর ঈমান রাখা।[৯] আর তা হলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তা'আলা সকল কিছুর অস্তিত্বের পূর্বেই তা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন এবং তিনি তা লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করেছেন। আর আল্লাহ তা'আলা যা চান তাই হয়ে থাকে, আর যা চান না তা হয় না। সুতরাং কেবল আল্লাহ তা'আলা যা চাইবেন তা-ই শুধু হবে। আর আল্লাহ তা‘আলা সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান এবং তিনিই সকল কিছুর স্রষ্টা। যা ইচ্ছে তিনি তা করেন।[১০]
১০. দলিল প্রমাণ ভিত্তিক গায়েবের সকল বিষয়ের উপর ঈমান আনতে হবে। যেমন, আরশ ও কুরসী,[১১] জান্নাত ও জাহান্নাম,[১২] কবরের শাস্তি ও শান্তি,[১৩] পুলছিরাত ও মিযান[১৪] ইত্যাদি। এগুলোতে কোন প্রকার অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না।
১১. কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ, অন্যান্য নাবীগণ, ফেরেশতা ও নেককার লোকদের সুপারিশ প্রসঙ্গে নির্ভরযোগ্য দলিল দ্বারা যা বলা হয়েছে তাতে ঈমান আনয়ন করা।[১৫]
১২. [আরও ঈমান আনতে হবে যে] কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দান ও জান্নাতে সকল মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে স্বচক্ষে দেখতে পাওয়া হক ও বাস্তব। আর যে তা অস্বীকার করবে অথবা অপব্যাখ্যা করবে সে বক্রপথের অনুসারী এবং পথভ্রষ্ট। তবে দুনিয়াতে কারও পক্ষে দীদার বা আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়।[১৬]
১৩. নেক বান্দা এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের কারামত সত্য। তবে প্রত্যেক অলৌকিক ঘটনাই কারামত নয়, কখনো হতে পারে এটি প্ররোচনা মাত্র। কখনো বা এটি শয়তানের প্রভাবে বা মানুষদের যাদুর প্রতিক্রিয়ায় ঘটে থাকে। বিশেষ করে এসব বিষয় ও কারামতের মধ্যে পার্থক্যের মানদণ্ড হলো কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া বা না হওয়া। অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক না হলে সেটাকে কারামত বলা যাবে না৷
১৪. প্রত্যেক মুমিনই আল্লাহর ওলী বা বন্ধু। আর প্রত্যেক মুমিনের মধ্যে এই বেলায়েত বা বন্ধুত্বের পরিমাণ নির্ণিত হবে তার ঈমান অনুযায়ী।[১৭]
[১] দেখুন-সূরা আশ শূরা ৪২:১১
[২] বাতেনিয়া সম্প্রদায় বলতে তাদেরকে বুঝায়, যারা মনে করে থাকে যে, কুরআন ও হাদীসের বাহ্যিক অর্থ গ্রহণযোগ্য নয়, তাদের নিকট সেগুলোর গোপন অর্থ রয়েছে। তন্মধ্যে বিখ্যাত হচ্ছে, আগাখানী ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়, বুহরা সম্প্রদায়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়, কোন কোন শিয়া সম্প্রদায়, কোন কোন সুফী সম্প্রদায়। এরা সবচেয়ে বেশী ভ্রান্ত আক্বীদাহ বিশ্বাসী। তাদের অধিকাংশই কাফের।
[৩] দেখুন-সূরা ফাত্বির ৩৫:১, সূরা আত তাহরীম ৬৬:৬।
[৪] দেখুন-সূরা আলে ইমরান ৩:৭৮, আন আন নিসা ৪:৪৬, সহীহ বুখারী হা/৭৩৬১- ৭৩৬৩।
[৫] দেখুন-সূরা আল বাক্বারা ২:২৮৫, সহীহ মুসলিম হা/৮।
[৬] দেখুন-সূরা আল আহ্যাব ৩৩:২১,৪০, সূরা সাবা ৩৪:২৮, সহীহ্ মুসলিম হা/১৫৩।
[৭] দেখুন-সূরা আত-তাওবা ৯:১৮, সূরা আল-আন'আম ৬:৯২, সূরা আত-তাগাবুন ৬৪:৭।
[৮] দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/২৯০১।
[৯] দেখুন-সহীহ মুসলিম হা/৮।
[১০] দেখুন-সূরা আল হাদিদ ৫৭:২২, মুসনাদে আহমাদ হা/২১৬১১, সহীহ বুখারী হা/৪৯৪৯, সহীহ মুসলিম হা/২৬৫৩।
[১১] দেখুন-সূরা আল বুরুজ ৮৫:১৫, সূরা গফির ৪০:১৫, সূরা আল আরাফ ৭:৫৪, সূরা আত ত্বহা ২০:৫, সূরা আল মু'মিনুন ২৩:১১৬, সূরা আন নামল ২৭:২৬, সূরা আল বাকারা 2:255।
[১২] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৪৯৪৯, ৬৫৪৬-৬৫৭৪।
[১৩] দেখুন-সূরা আল-মু'মিন ৪০:৪৬, সূরা আল আনআম ৬:৯৩, সূরা হামীম আস্ সাজ্দাহ্ ৪১:৩০, সহীহ: মুসনাদে আহমাদ হা/১৮৫৩৪, সহীহ মুসলিম হা/২৮৬৭।
[১৪] দেখুন-সূরা আল আম্বিয়া ২১:৪৭।
[১৫] দেখুন-সহীহ বুখারী হা/৬৫৬৬,
[১৬] দেখুন-সূরা আল কিয়ামাহ ৭৫:২২-২৩, সহীহ বুখারী ৭৪৩৪, সহীহ মুসলিম ১৮০, ১৮১।
[১৭] দেখুন-সূরা ইউনুছ ১০:৬২-৬৩, সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:১১, সূরা আল মায়িদা ৫:৫৫-৫৬, সহীহ বুখারী হা/৬৫০২