প্রশ্ন: আমরা জানি পবিত্র জুমার দিন আসরের পর দোয়া কবুলের একটি সময় রয়েছে। এই দোয়া চাওয়ার পদ্ধতিটা কি হবে অর্থাৎ কোনো নফল সালাত বা আসরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে কিংবা মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া চাইতে হবে? সুন্নত পদ্ধতি টি কী হবে দয়া করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।
উত্তর: জুমার দিন এমন একটি সময় আছে যখন কেউ দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। সে সময় কোনটা সে ব্যাপারে আলেমদের দ্বিমত পরিলক্ষিত হয়। তবে হাদিসের আলোকে অধিক বিশুদ্ধ অভিমত হল, জুমার দিন দোয়া কবুলের সবচেয়ে আশা ব্যঞ্জক সময় দুটি:
১. খতিব সাহেব খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিম্বারে বসা থেকে শুরু করে সালাত সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত। এ বিষয়ে সহীহ মুসলিমে হাদিস বর্ণিত রয়েছে। তা হল,
-খুতবার আযানের পরে আযানের দোয়া পাঠের পরে খুতবা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কোন দোয়া পাঠ করা যায়, অনুরূপভাবে খতিব সাহেব খুতবার শেষ দিকে যখন দোয়া করেন তখন, জুমার নামাজের সেজদা অবস্থায়, তাশাহুদে বসে সালাম ফেরানোর পূর্বে।
২. আসর সালাতের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পুরো সময়টুকু। এ ব্যাপারে হাদিস হলো,
দোয়া করার জন্য আসরের পরে আলাদা কোন নামাজ নেই।
মহান আল্লাহ তৌফিক দান করুন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদি বিন আব্দুল জলিল
উত্তর: জুমার দিন এমন একটি সময় আছে যখন কেউ দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। সে সময় কোনটা সে ব্যাপারে আলেমদের দ্বিমত পরিলক্ষিত হয়। তবে হাদিসের আলোকে অধিক বিশুদ্ধ অভিমত হল, জুমার দিন দোয়া কবুলের সবচেয়ে আশা ব্যঞ্জক সময় দুটি:
১. খতিব সাহেব খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিম্বারে বসা থেকে শুরু করে সালাত সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত। এ বিষয়ে সহীহ মুসলিমে হাদিস বর্ণিত রয়েছে। তা হল,
حديث أبي موسى الأشعري رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول - يعني في ساعة الجمعة - : (هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ) رواه مسلم ( 853 ) .
আর এই ক্ষেত্রে যে সময় গুলোতে দোয়া করা যায় সেগুলো হলো,-খুতবার আযানের পরে আযানের দোয়া পাঠের পরে খুতবা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কোন দোয়া পাঠ করা যায়, অনুরূপভাবে খতিব সাহেব খুতবার শেষ দিকে যখন দোয়া করেন তখন, জুমার নামাজের সেজদা অবস্থায়, তাশাহুদে বসে সালাম ফেরানোর পূর্বে।
২. আসর সালাতের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পুরো সময়টুকু। এ ব্যাপারে হাদিস হলো,
حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : (يَوْمُ الجُمُعة ثِنْتَا عَشْرَةَ سَاعَةً ، لاَ يُوجَد فِيهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ الله شَيْئاً إِلاَّ آتَاهُ إِيَّاهُ ، فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ العَصْر) رواه أبو داود (1048) والنسائي (1389) ، وصححه الألباني في " صحيح أبي داود " ، والنووي في "المجموع" (4 / 471) .
এ সময়, মসজিদে অথবা বাড়িতে বসে দোয়া করা যায়। এক্ষেত্রে দোয়ার আদবগুলো লক্ষ্য রাখা উচিত। যেমন: পাক পবিত্র অবস্থায় থাকা, কেবলামুখী হয়ে বসা, দুই হাত উত্তোলন করা, পূর্ণ এখলাস ও বিনয় সহকারে কান্না বিজড়িত কন্ঠে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, নিজের দুর্বলতা ও অসহায়ত্ব তুলে ধরা, দোয়া কবুলের দৃঢ় আশা নিয়ে একই দোয়া বারবার করতে থাকা, দোয়া শুরুর পূর্বে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দুরুদ পেশ করা, দোয়া শেষে পুনরায় দরুদ পাঠ করা, দুয়ার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত দোয়া গুলো অগ্রাধিকার দেওয়া ইত্যাদি।দোয়া করার জন্য আসরের পরে আলাদা কোন নামাজ নেই।
মহান আল্লাহ তৌফিক দান করুন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদি বিন আব্দুল জলিল