Inquisitive
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 367
- Comments
- 419
- Reactions
- 2,146
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: আইয়ামে বীজের রোজার মর্যাদা কী? চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে না রাখতে পারলে কি মাসের যে কোনো দিন রাখা যাবে? আর একটানা তিন দিন লাগাতার রাখতে হবে নাকি বিচ্ছিন্ন ভাবে রাখলেও হবে?
উত্তর: আইয়ামে বীজ কাকে বলে?
চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীয (إيام بيض) বলা হয়। বীয (بيض) শব্দের অর্থ উজ্জ্বল। এ তিন রাতে চাঁদ বেশি উজ্জ্বল থাকে তাই সেগুলোকে বীয বলা হয়েছে। এ তিন দিন রোযা থাকা উত্তম। আবু যর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তবে কেউ যদি সে সময় না রাখতে পারে বরং অন্য সময় তিনটি রোযা রাখে তবে একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখার ফযিলত:
প্রতি মাসে তিনটি করে নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফযিলত পূর্ণ কাজ। চাই তা মাসের শুরুতে হোক, মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। চাই লাগাতার রাখা হোক বা বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হোক।
আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
প্রত্যেক মাসে ৩টি করে রোযা রাখলে সারা বছর নফল রোযা রাখার সমান পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ, আল্লাহ তাআলা যেকোনো ভালো কাজের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা তার চেয়ে বেশী দান করেন। সে হিসেবে ৩×১০=৩০ অর্থাৎ মাসে তিনটি রোযার বিনিময়ে অন্তত: পুরো মাস নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
এভাবে প্রতি মাসে ৩টি রোযা রাখলে সারা বছরই নফল রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
উত্তর: আইয়ামে বীজ কাকে বলে?
চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীয (إيام بيض) বলা হয়। বীয (بيض) শব্দের অর্থ উজ্জ্বল। এ তিন রাতে চাঁদ বেশি উজ্জ্বল থাকে তাই সেগুলোকে বীয বলা হয়েছে। এ তিন দিন রোযা থাকা উত্তম। আবু যর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا صُمْتَ شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ ، فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ ، وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ ، وَخَمْسَ عَشْرَةَ
“প্রত্যেক মাসে কিছু (নফল) রোজা পালন করলে (চন্দ্র মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো।” [তিরমিযী, হা/৭৬১, নাসায়ী, হা/২৪২৪, শায়খ আলবানীর মতে হাসান সহীহ। তাহকীক রিয়াদুস সালেহীন]তবে কেউ যদি সে সময় না রাখতে পারে বরং অন্য সময় তিনটি রোযা রাখে তবে একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখার ফযিলত:
প্রতি মাসে তিনটি করে নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফযিলত পূর্ণ কাজ। চাই তা মাসের শুরুতে হোক, মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। চাই লাগাতার রাখা হোক বা বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হোক।
আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
أَوْصَانِي خَلِيلِي بثَلَاثٍ لا أدَعُهُنَّ حتَّى أمُوتَ: صَوْمِ ثَلَاثَةِ أيَّامٍ مِن كُلِّ شَهْرٍ، وصَلَاةِ الضُّحَى، ونَوْمٍ علَى وِتْرٍ
“আমার প্রিয় বন্ধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এমন তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে: প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা পালন করা, চাশতের নামায পড়া এবং বিতর সালাত না পড়ে ঘুমাতে না যাওয়া।” [সহীহ বুখারী, হা/ ১১৭৮]প্রত্যেক মাসে ৩টি করে রোযা রাখলে সারা বছর নফল রোযা রাখার সমান পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ, আল্লাহ তাআলা যেকোনো ভালো কাজের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা তার চেয়ে বেশী দান করেন। সে হিসেবে ৩×১০=৩০ অর্থাৎ মাসে তিনটি রোযার বিনিময়ে অন্তত: পুরো মাস নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
এভাবে প্রতি মাসে ৩টি রোযা রাখলে সারা বছরই নফল রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
صيامُ ثلاثَةِ أيامٍ من كُلِّ شهرٍ صيامُ الدهرِ
“প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা রাখা, সারা বছর ধরে রোযা রাখার সমান।” [সহীহুল বুখারী, হা/১১৫৯ ও ১৯৭৫]আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি