সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত জুমআর দিনে ঈদ হলে

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,181
Credits
6,270
জুমআর দিন ঈদ হলে যে ব্যক্তি ঈদের নামায পড়বে, সে ব্যক্তির জন্য জুমআহ আর ওয়াজেব থাকবে না। যায়দ বিন আরকাম (রাঃ) বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ঈদের নামায পড়লেন এবং জুমআহ না পড়ার অনুমতি দিলেন। তিনি বললেন, ‘‘যে ব্যক্তি জুমআহ পড়তে চায় সে পড়বে।’’[1]

আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমাদের আজকের এই দিনে দুটি ঈদ সমবেত হয়েছে। সুতরাং যার ইচ্ছা তার জন্য জুমআহ থেকে ঈদের নামায যথেষ্ট। অবশ্য আমরা জুমআহ পড়ব।’’[2]

এই হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম সাহেবের জন্য মুস্তাহাব জুমআহ কায়েম করা। যাতে তারা জুমআহ পড়তে পারে যারা তা পড়তে চায় এবং তারাও পড়তে পারে যারা ইদের নামায পড়তে পারে নি। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘অবশ্য আমরা জুমআহ পড়ব।’’

জানা জরুরী যে, যে ব্যক্তি (ঈদের নামায পড়ে) অনুমতি পেয়ে জুমআহ পড়বে না, সে ব্যক্তির জন্য যোহরের নামায মাফ নয়। কারণ, যোহর হল ওয়াক্তী ফরয নামায। আর তা ত্যাগ করা সম্ভব নয়।[3]

পক্ষান্তরে ইবনে যুবাইর (রাঃ)-এর আমল বর্ণিত যে, তিনি ঈদের দিন আসর পর্যন্ত ঈদের নামায ছাড়া অন্য কিছু পড়েন নি এবং জুমআর জন্যও বের হন নি।[4] কিন্তু হতে পারে যে, তিনি যোহরের নামায ঘরেই পড়ে নিয়েছিলেন। অথবা তিনি ঈদের সময় জুমআর নিয়তে ২ রাকআত নামায পড়েছিলেন এবং ঈদের নামাযকে তারই অনুসারী করে নিয়েছেন।[5] (যেমন তাওয়াফে ইফাযাহ ও বিদায়ী তওয়াফ একই সময়ে ইফাযার নিয়তে করলে একটি তওয়াফই যথেষ্ট।) ইবনে খুযাইমার বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি (জুমআহ ও) ঈদের দিন ঈদের নামায পড়ার জন্য বের হতে দেরী করলেন। পরিশেষে সূর্য যখন উঁচুতে এল তখন তিনি বের হয়ে মিম্বরে চড়ে দীর্ঘ খুতবাহ দিলেন। অতঃপর ২ রাকআত নামায পড়লেন এবং আর জুমআহ পড়লেন না।[6]

[1] (সহীহ আবূ দাঊদ ৯৪৫, নাসাঈ ১৫৯২, ইবনে মাজাহ ১৩১০, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৪৬৪নং)
[2] (সহীহ আবূ দাঊদ ৯৪৮, ইবনে মাজাহ ১৩১১নং)

[3] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ৬-৭পৃঃ, ফাসিঃ মুসনিদ ১১৫পৃঃ)

[4] (সহীহ আবূ দাঊদ ৯৪৬-৯৪৭নং)

[5] (আউনুল মাবুদ ৩/২৮৭-২৮৯)

[6] (ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৪৬৫নং)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
Top