সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Farhad Molla

আদব ও শিষ্টাচার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর পর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করা জায়েয হবে কি?

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
130
Comments
205
Solutions
1
Reactions
1,323
Credits
1,198
প্রশ্ন : বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে একজনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য জনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। কারো কিডনী নষ্ট হলে অন্যের দুটি কিডনীর একটি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

এক্ষণে জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর পর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করা জায়েয হবে কি?

উত্তর : এ বিষয়ে বিদ্বানদের মতভেদ রয়েছে। আধুনিক যুগের বিদ্বানদের মধ্যে যারা এ ব্যাপারে আপত্তি করেছেন তাদের মধ্যে শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, একদল বিদ্বান মরণোত্তর দেহদান জায়েয বললেও আমার নিকট তা হাদীছে নিষিদ্ধ অঙ্গহানি মনে হয়। সেজন্য অঙ্গদান থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/৪১৬-১৭)।

ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘আমার নিকট যেটা প্রনিধানযোগ্য মনে হয়েছে তা হচ্ছে-শরীর কোন অঙ্গ কাউকে দান করা জায়েয নয়’ (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/০২)।

তবে সার্বিক পর্যালোচনায় এবং মানবতার বৃহত্তর কল্যাণার্থে কিছু শর্ত সাপেক্ষে জীবদ্দশায় বা মরণোত্তর অঙ্গদান করা যেতে পারে। যেমন- ১. অঙ্গগুলি অবশ্যই এমন হ’তে হবে যেগুলি বংশ, উত্তরাধিকার বা সাধারণ ব্যক্তিত্বের উপর কোন প্রভাব না ফেলে। যেমন অন্ডকোষ, ডিম্বাশয় এবং স্নায়ুতন্ত্রের কোষ ইত্যাদি। ২. দাতাকে অবশ্যই জ্ঞানসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক হ’তে হবে। ৩. গ্রহীতা হত্যাযোগ্য অপরাধী হবে না, ৪. স্থানান্তর এমনভাবে হওয়া যাবে না, যা মানুষের মর্যাদা লঙ্ঘন করে; যেমন বিক্রি করা। বরং তা অনুমতি ও দানের মাধ্যমে হ’তে পারে। ৫. যে ব্যক্তির কাছে অঙ্গ স্থানান্তর করা হয় তাকে অবশ্যই মুসলিম বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না এমন অমুসলিম হ’তে হবে

(আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৪২/১২২, ৪৩/২৩৪)।

এক্ষেত্রে আরো কিছু শর্ত লক্ষ্যণীয়। যেমন- (১) দাতার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া। (২) দাতার স্বতঃস্ফূর্ত অঙ্গদানের অছিয়ত থাকা। (৩) ওয়ারিছগণের পূর্ণ সমর্থন থাকা। (৪) অঙ্গ ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্বাচিত অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে হওয়া। (৫) কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন না হওয়া। (৬) যদি কোন মৃত বেওয়ারিছ হয়, তাহ’লে তার অঙ্গ কিছুতেই ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যাবে না ইত্যাদি

(ক্বারারু মাজমা‘ইল ফিক্বহিল ইসলামী; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/১১২)।

প্রশ্নোত্তর পর্ব, মাসিক আত-তাহরীক।
মে ২০২৪ সংখ্যা।
 
Top