১- আন-নার: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।” [সূরা আল-বাকারাহ: ৩৯]
আল্লাহ তা‘আলা আন-নার (النار ) শব্দটি কুরআনে ১২৬ বার বলেছেন, আর নারান (ناراً) শব্দটি ১৯ বার বলেছেন। যেমন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে।” [সূরা আল-মাসাদ: ৩]
২- জাহান্নাম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“নিশ্চয় জাহান্নাম গোপন ফাঁদ। সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তন স্থল।” [সূরা আন-নাবা’: ২১-২২]
৩- আল-জাহীম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর জাহান্নামকে প্রকাশ করা হবে তার জন্য যে দেখতে পায়।” [সূরা আন-নাঝি‘আত: ৩৬]
৪- আস-সা‘য়ীর: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“একদল থাকবে জান্নাতে আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।” [সূরা আশশুরা: ৭]
৫- সাকার: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“কিসে তোমাকে জানাবে জাহান্নামের আগুন কী? এটা অবশিষ্টও রাখবে না এবং ছেড়েও দেবে না।” [সূরা আল-মুদ্দাসির: ২৭-২৮]
৬- আল-হুতামাহ: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“কখনো নয়, অবশ্যই সে নিক্ষিপ্ত হবে হুতামা’য়।” [সূরা আল-হুমাঝাগ: ৪]
৭- আল-হাবিয়াহ: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার আবাস হবে হাবিয়া। আর তোমাকে কিসে জানাবে হাবিয়া কি? প্রজ্বলিত অগ্নি।” [আল-ক্বারি‘আহ: ৮-১১]
৮- দারুল বাওয়ার: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তুমি কি তাদেরকে দেখ না, যারা আল্লাহর নিআমতকে কুফরী দ্বারা পরিবর্তন করেছে এবং তাদের কওমকে ধ্বংসের ঘরে নামিয়ে দিয়েছে? জাহান্নামে, যাতে তারা দগ্ধ হবে, আর তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান!।” [সূরা ইবরাহীম: ২৮-২৯]
ইমান ইবন কাসীর রহ. বলেন, ‘দারুল বাওয়ার হলো একটি জাহান্নাম’ [1] ইমাম বাগবী রহ. ও এ মত দিয়েছেন। [2]
[1] তাফসীরে ইবন কাসীর: ২/৫৩৯।
[2] তাফসীরে বাগবী: ৩/৩৫।
﴿وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بَِٔايَٰتِنَآ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ٣٩﴾ [البقرة: ٣٩]
“আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।” [সূরা আল-বাকারাহ: ৩৯]
আল্লাহ তা‘আলা আন-নার (النار ) শব্দটি কুরআনে ১২৬ বার বলেছেন, আর নারান (ناراً) শব্দটি ১৯ বার বলেছেন। যেমন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ سَيَصۡلَىٰ نَارٗا ذَاتَ لَهَبٖ ٣ ﴾ [المسد: ٣]
“অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে।” [সূরা আল-মাসাদ: ৩]
২- জাহান্নাম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتۡ مِرۡصَادٗا ٢١ لِّلطَّٰغِينَ مََٔابٗا ٢٢ ﴾ [النبا: ٢١، ٢٢]
“নিশ্চয় জাহান্নাম গোপন ফাঁদ। সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তন স্থল।” [সূরা আন-নাবা’: ২১-২২]
৩- আল-জাহীম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ ٣٦ ﴾ [النازعات: ٣٦]
“আর জাহান্নামকে প্রকাশ করা হবে তার জন্য যে দেখতে পায়।” [সূরা আন-নাঝি‘আত: ৩৬]
৪- আস-সা‘য়ীর: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَرِيقٞ فِي ٱلۡجَنَّةِ وَفَرِيقٞ فِي ٱلسَّعِيرِ ٧ ﴾ [الشورى: ٧]
“একদল থাকবে জান্নাতে আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।” [সূরা আশশুরা: ৭]
৫- সাকার: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا سَقَرُ ٢٧ لَا تُبۡقِي وَلَا تَذَرُ ٢٨ ﴾ [المدثر: ٢٧، ٢٨]
“কিসে তোমাকে জানাবে জাহান্নামের আগুন কী? এটা অবশিষ্টও রাখবে না এবং ছেড়েও দেবে না।” [সূরা আল-মুদ্দাসির: ২৭-২৮]
৬- আল-হুতামাহ: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ كَلَّاۖ لَيُنۢبَذَنَّ فِي ٱلۡحُطَمَةِ ٤ ﴾ [الهمزة: ٤]
“কখনো নয়, অবশ্যই সে নিক্ষিপ্ত হবে হুতামা’য়।” [সূরা আল-হুমাঝাগ: ৪]
৭- আল-হাবিয়াহ: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَأَمَّا مَنۡ خَفَّتۡ مَوَٰزِينُهُۥ ٨ فَأُمُّهُۥ هَاوِيَةٞ ٩ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا هِيَهۡ ١٠ نَارٌ حَامِيَةُۢ ١١﴾ [القارعة: ٨، ١١]
“আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার আবাস হবে হাবিয়া। আর তোমাকে কিসে জানাবে হাবিয়া কি? প্রজ্বলিত অগ্নি।” [আল-ক্বারি‘আহ: ৮-১১]
৮- দারুল বাওয়ার: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ ۞أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ بَدَّلُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ كُفۡرٗا وَأَحَلُّواْ قَوۡمَهُمۡ دَارَ ٱلۡبَوَارِ ٢٨ جَهَنَّمَ يَصۡلَوۡنَهَاۖ وَبِئۡسَ ٱلۡقَرَارُ ٢٩ ﴾ [ابراهيم: ٢٨، ٢٩]
“তুমি কি তাদেরকে দেখ না, যারা আল্লাহর নিআমতকে কুফরী দ্বারা পরিবর্তন করেছে এবং তাদের কওমকে ধ্বংসের ঘরে নামিয়ে দিয়েছে? জাহান্নামে, যাতে তারা দগ্ধ হবে, আর তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান!।” [সূরা ইবরাহীম: ২৮-২৯]
ইমান ইবন কাসীর রহ. বলেন, ‘দারুল বাওয়ার হলো একটি জাহান্নাম’ [1] ইমাম বাগবী রহ. ও এ মত দিয়েছেন। [2]
লেখক : সা‘ঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
[1] তাফসীরে ইবন কাসীর: ২/৫৩৯।
[2] তাফসীরে বাগবী: ৩/৩৫।