যদি কোন ব্যক্তি ইমামের সাথে বিতর পড়ার পর শেষ রাতে অতিরিক্ত নামায পড়ে সবশেষে বিতর পড়ার জন্য ইমামের সালাম ফিরার পর সে সালাম না ফিরে উঠে আর এক রাকআত পড়ে জোড় বানিয়ে নেয়, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই। আর এ ব্যক্তির জন্য বলা যাবে যে, সে ইমামের সাথেই নামায শেষ করেছে। আর যে এক রাকআত নামায সে বেশী পড়েছে, তা শরয়ী সবার্থেই; যাতে তার বিতর রাতের নামাযের শেষ নামায হয়। অতএব তা দোষাবহ নয়।
অবশ্য উত্তম হল, ইমামের সঙ্গেই বিতর পড়া, তাঁর সঙ্গেই নামায শেষ করা এবং তারপর আর তাহাজ্জুদ না পড়া। যেহেতু সাহাবাগণ যখন মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট বাকী রাতটুকু নামায পড়িয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন, তখন তিনি বললেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ে এবং তার নামায শেষ করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকে (ইক্তিদা করে), সেই ব্যক্তির জন্য সারা রাত্রি কিয়াম করার সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।’’[1]
বলা বাহুল্য এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইমামের সাথেই নামায পড়ে শেষ করাটাই উত্তম। কারণ, তিনি তাঁদেরকে বিতর ছেড়ে দিয়ে শেষ রাতে কিয়াম করার নির্দেশ দেননি। আর তার কারণ হল, ইমামের সাথে এইটুকু কিয়ামেই তো সত্যপক্ষে সারা রাত্রি জাগরণ করে নামায পড়ার সওয়াব অর্জন হয়ে যাবে। বিশ্রাম করা সত্ত্বেও পরিশ্রম করার সওয়াব লিখা হবে। বাস্তবে এটি একটি বড় নেয়ামত![2]
মোট কথা, ইমাম রাতে কিছু অংশ নামায পড়লে জামাআতের জন্য কিছু অংশই নামায পড়া উত্তম এবং তিনি সারা রাত্রি নামায পড়লে সকলের জন্য সেটাই উত্তম। এ ছাড়া ইমাম না পড়লে একাকী কারো জন্য সারারাত্রি নামায পড়া উত্তম নয়।
[1] (আহমাদ, মুসনাদ, সহীহ আবূ দাঊদ ১২২৭, সহীহ তিরমিযী, আলবানী ৬৪৬, সহীহ নাসাঈ, আলবানী ১৫১৪, সহীহ ইবনে মাজাহ, আলবানী ১৩২৭নং)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৮৮)
অবশ্য উত্তম হল, ইমামের সঙ্গেই বিতর পড়া, তাঁর সঙ্গেই নামায শেষ করা এবং তারপর আর তাহাজ্জুদ না পড়া। যেহেতু সাহাবাগণ যখন মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট বাকী রাতটুকু নামায পড়িয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন, তখন তিনি বললেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ে এবং তার নামায শেষ করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকে (ইক্তিদা করে), সেই ব্যক্তির জন্য সারা রাত্রি কিয়াম করার সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।’’[1]
বলা বাহুল্য এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইমামের সাথেই নামায পড়ে শেষ করাটাই উত্তম। কারণ, তিনি তাঁদেরকে বিতর ছেড়ে দিয়ে শেষ রাতে কিয়াম করার নির্দেশ দেননি। আর তার কারণ হল, ইমামের সাথে এইটুকু কিয়ামেই তো সত্যপক্ষে সারা রাত্রি জাগরণ করে নামায পড়ার সওয়াব অর্জন হয়ে যাবে। বিশ্রাম করা সত্ত্বেও পরিশ্রম করার সওয়াব লিখা হবে। বাস্তবে এটি একটি বড় নেয়ামত![2]
মোট কথা, ইমাম রাতে কিছু অংশ নামায পড়লে জামাআতের জন্য কিছু অংশই নামায পড়া উত্তম এবং তিনি সারা রাত্রি নামায পড়লে সকলের জন্য সেটাই উত্তম। এ ছাড়া ইমাম না পড়লে একাকী কারো জন্য সারারাত্রি নামায পড়া উত্তম নয়।
[1] (আহমাদ, মুসনাদ, সহীহ আবূ দাঊদ ১২২৭, সহীহ তিরমিযী, আলবানী ৬৪৬, সহীহ নাসাঈ, আলবানী ১৫১৪, সহীহ ইবনে মাজাহ, আলবানী ১৩২৭নং)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৮৮)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী