প্রথমত: জান্নাতীদের বিছানাপত্র:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“সেখানে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় তারা হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে এবং দুই জান্নাতের ফল-ফলাদি থাকবে নিকটবর্তী।” [সূরা আর-রহমান: ৫৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“(তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে।” [সূরা আল্-ওয়াকিয়া: ৩৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“তারা সবুজ বালিশে ও সুন্দর কারুকার্য খচিত গালিচার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে।” [সূরা আর-রহমান: ৭৬]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“সেখানে থাকবে সুউচ্চ আসনসমূহ। আর প্রস্তুত পানপাত্রসমূহ। আর সারি সারি বালিশসমূহ। আর বিস্তৃত বিছানো কার্পেটরাজি।” [সূরা আল-গাশিয়াহ: ১৩-১৬]
النمارق অর্থ বালিশ। [1]
العبقريّ বিছানা, কারো মতে, বিছানো সব কিছুকে العبقريّ বলে। এটা অতিরিক্ত গুণ বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
الزرابيّ বিছানা। কার্পেট।
الرفرف বালিশ, কেউ বলেছেন, আংটা, কারো মতে, বিছানার এক পাশ। [2]
দ্বিতীয়ত: জাহান্নামীদের বিছানা ও লেপ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তার ব্যাপারে অহঙ্কার করেছে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ খোলা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না উট সূঁচের ছিদ্রতে প্রবেশ করে। আর এভাবেই আমি অপরাধীদেরকে প্রতিদান দেই। তাদের জন্য থাকবে জাহান্নামের বিছানা এবং তাদের উপরে থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন। আর এভাবেই আমি যালিমদেরকে প্রতিদান দেই।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ৪০-৪১]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“তাদের জন্য তাদের উপরের দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এদ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান। ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকেই ভয় কর।” [সূরা আয্-যুমার: ১৬]
[1] তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৫০৪, হাদিউল আরো য়াহ: পৃষ্ঠা ২২০।
[2] তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/২৮১, হাদিউল আরো য়াহ: পৃষ্ঠা ২২০।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ مُتَّكِِٔينَ عَلَىٰ فُرُشِۢ بَطَآئِنُهَا مِنۡ إِسۡتَبۡرَقٖۚ وَجَنَى ٱلۡجَنَّتَيۡنِ دَانٖ ٥٤ ﴾ [الرحمن: ٥٤]
“সেখানে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় তারা হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে এবং দুই জান্নাতের ফল-ফলাদি থাকবে নিকটবর্তী।” [সূরা আর-রহমান: ৫৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ وَفُرُشٖ مَّرۡفُوعَةٍ ٣٤ ﴾ [الواقعة: ٣٤]
“(তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে।” [সূরা আল্-ওয়াকিয়া: ৩৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ مُتَّكِِٔينَ عَلَىٰ رَفۡرَفٍ خُضۡرٖ وَعَبۡقَرِيٍّ حِسَانٖ ٧٦ ﴾ [الرحمن: ٧٦]
“তারা সবুজ বালিশে ও সুন্দর কারুকার্য খচিত গালিচার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে।” [সূরা আর-রহমান: ৭৬]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ فِيهَا سُرُرٞ مَّرۡفُوعَةٞ ١٣ وَأَكۡوَابٞ مَّوۡضُوعَةٞ ١٤ وَنَمَارِقُ مَصۡفُوفَةٞ ١٥ وَزَرَابِيُّ مَبۡثُوثَةٌ ١٦ ﴾ [الغاشية: ١٣، ١٦]
“সেখানে থাকবে সুউচ্চ আসনসমূহ। আর প্রস্তুত পানপাত্রসমূহ। আর সারি সারি বালিশসমূহ। আর বিস্তৃত বিছানো কার্পেটরাজি।” [সূরা আল-গাশিয়াহ: ১৩-১৬]
النمارق অর্থ বালিশ। [1]
العبقريّ বিছানা, কারো মতে, বিছানো সব কিছুকে العبقريّ বলে। এটা অতিরিক্ত গুণ বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
الزرابيّ বিছানা। কার্পেট।
الرفرف বালিশ, কেউ বলেছেন, আংটা, কারো মতে, বিছানার এক পাশ। [2]
দ্বিতীয়ত: জাহান্নামীদের বিছানা ও লেপ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بَِٔايَٰتِنَا وَٱسۡتَكۡبَرُواْ عَنۡهَا لَا تُفَتَّحُ لَهُمۡ أَبۡوَٰبُ ٱلسَّمَآءِ وَلَا يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ حَتَّىٰ يَلِجَ ٱلۡجَمَلُ فِي سَمِّ ٱلۡخِيَاطِۚ وَكَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلۡمُجۡرِمِينَ ٤٠ لَهُم مِّن جَهَنَّمَ مِهَادٞ وَمِن فَوۡقِهِمۡ غَوَاشٖۚ وَكَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلظَّٰلِمِينَ ٤١ ﴾ [الاعراف: ٤٠، ٤١]
“নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তার ব্যাপারে অহঙ্কার করেছে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ খোলা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না উট সূঁচের ছিদ্রতে প্রবেশ করে। আর এভাবেই আমি অপরাধীদেরকে প্রতিদান দেই। তাদের জন্য থাকবে জাহান্নামের বিছানা এবং তাদের উপরে থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন। আর এভাবেই আমি যালিমদেরকে প্রতিদান দেই।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ৪০-৪১]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ لَهُم مِّن فَوۡقِهِمۡ ظُلَلٞ مِّنَ ٱلنَّارِ وَمِن تَحۡتِهِمۡ ظُلَلٞۚ ذَٰلِكَ يُخَوِّفُ ٱللَّهُ بِهِۦ عِبَادَهُۥۚ يَٰعِبَادِ فَٱتَّقُونِ ١٦ ﴾ [الزمر: ١٦]
“তাদের জন্য তাদের উপরের দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এদ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান। ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকেই ভয় কর।” [সূরা আয্-যুমার: ১৬]
লেখক : সা‘ঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
[1] তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৫০৪, হাদিউল আরো য়াহ: পৃষ্ঠা ২২০।
[2] তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/২৮১, হাদিউল আরো য়াহ: পৃষ্ঠা ২২০।