প্রথমত: জান্নাতীদের খাদ্য:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তোমরা সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। স্বর্ণখচিত থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে মন যা চায় আর যাতে চোখ তৃপ্ত হয় তা-ই থাকবে এবং সেখানে তোমরা হবে স্থায়ী। আর এটিই জান্নাত, নিজদের আমলের ফলস্বরূপ তোমাদেরকে এর অধিকারী করা হয়েছে। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে।” [সূরা আয্-যুখরুফ: ৭০-৭৩]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“নিশ্চয় মুত্তাকীরা (থাকবে) জান্নাতে ও প্রাচুর্যে। তাদের রব তাদেরকে যা দিয়েছেন তা উপভোগ করবে, আর তাদের রব তাদেরকে বাঁচাবেন জ্বলন্ত আগুনের আযাব থেকে। তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর, তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে। সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলায়ে দেব ডাগরচোখা হূর-এর সাথে। আর যারা ঈমান আনে এবং তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানের সাথে তাদের অনুসরণ করে, আমরা তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলন ঘটাব এবং তাদের কর্মের কোন অংশই কমাব না। প্রত্যেক ব্যক্তি তার কামাইয়ের ব্যাপারে দায়ী থাকবে। আর আমি তাদেরকে অতিরিক্ত দেব ফলমূল ও গোশত যা তারা কামনা করবে। তারা পরস্পরের মধ্যে পানপাত্র বিনিময় করবে; সেখানে থাকবে না কোন বেহুদা কথাবার্তা এবং কোন পাপকাজ।” [সূরা আত্-তূর: ১৭-২৩]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে। আর পাখির গোশ্ নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।” [সূরা : আল্-ওয়াকিয়া: ২০-২১]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন গোপনীয়তাই গোপন থাকবে না। তখন যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ’। ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার হিসাবের সম্মুখীন হব’। সুতরাং সে সন্তোষজনক জীবনে থাকবে। সুউচ্চ জান্নাতে, তার ফলসমূহ নিকটবর্তী থাকবে।(বলা হবে,) ‘বিগত দিনসমূহে তোমরা যা অগ্রে প্রেরণ করেছ তার বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর।” [সূরা আল্-হাক্কাহ: ১৮-২৪]
দ্বিতীয়ত: জাহান্নামীদের খাদ্য:
১- যাক্কুম বৃক্ষ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা, তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে, অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে। তদুপরি পান করবে প্রচন্ড উত্তপ্ত পানি। অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়। প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী।” [সূরা : আল্-ওয়াকিয়া: ৫১-৫৬]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
“নিশ্চয় যাক্কূম বৃক্ষ, পাপীর খাদ্য; গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে। ফুটন্ত পানির মত।” [সূরা : আদ্-দুখান: ৪৩-৪৬]
যাক্কুম: দুর্গন্ধযুক্ত ভয়ানক বৃক্ষ, জাহান্নামীরা এটা খেতে খুবই অপছন্দ করবে, তারা অত্যন্ত অপছন্দ সত্বেও ক্ষুধার যন্ত্রনায় যাক্কুম বৃক্ষ গ্রহণ করবে। যেমন আরবদের কথা... কেউ মারাত্মক অপছন্দ সত্বেও খাবার খেলে বলে যাক্কুম খেয়েছে। [1]
পাপীদের খাদ্য: পাপী ও অন্যায়ীর খাদ্য। [2]
গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে: ফুটন্ত গরম পানি যেমন ফুটতে থাকে তেমনিভাবে তাদের পেটে গলিত তামার মত ফুটতে থাকবে। [3]
২- আল-গীসলীন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“অতএব আজ এখানে তার কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না। আর ক্ষত-নিংসৃত পূঁজ ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না, অপরাধীরাই শুধু তা খাবে।” [সূরা আল্-হাক্কাহ: ৩৫-৩৭]
আল-গীসলীন: হলো জাহান্নামে কাফিরদের শরীর থেকে ক্ষত-নিংসৃত পূঁজ। কেউ কেউ বলেন, জাহান্নামীদের বমি, এটা ক্ষত-নিংসৃত পূঁজের মত। কারো মতে, জাহান্নামীদের শরীর থেকে নির্গত রক্ত ও পানি। [4]
৩- কাঁটাযুক্ত খাদ্য:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“নিশ্চয় আমার নিকট রয়েছে শিকলসমূহ ও প্রজ্জ্বলিত আগুন। ও কাঁটাযুক্ত খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সূরা আল্-মুয্যাম্মিল: ১২-১৩]
কাঁটাযুক্ত খাদ্য গলায় আঁটকে যাবে, তা ভিতরেও যাবে না আবার বের ও হবে না। কেউ কেউ বলছেন, এটা যাক্কুম ও দরী‘। [5]
৪- আদ-দরী‘ বা কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
তাদের জন্য কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না। তা মোটা-তাজাও করবে না এবং ক্ষুধাও নিবারণ করবে না। [সূরা আল্-গাশিয়া: ৬-৭]
আদ-দরী‘ বা কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম: কেউ কেউ বলেছেন, এটা কাঁটাযুক্ত লতা, কুরাইশরা একে আশ-শাবরিক বলে, যখন এটা শুকায় তখন একে আদ-দরী‘ বলা হয়, এটা খুবই ভয়ানক খাবার। [6]
[1] তাফসীরে বাগভী: ৪/১৫৪।
[2] তাফসীরে বাগভী: ৪/১৪৬-১৫৪।
[3] তাফসীরে বাগভী: ৪/১৫৪, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/১৪৬।
[4] গরীবুল কুরআন, লেখক আল-আসফেহানী: পৃষ্ঠা ৩৬১, তাফসীরে বাগভী: ৪/৩৯০, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৪১৭।
[5] তাফসীরে বাগভী: ৪/৪১০, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৪৩৮।
[6] গরীবুল কুরআন, লেখক আল-আসফেহানী: পৃষ্ঠা ৩৬১, তাফসীরে বাগভী: ৪/৪৭৮।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ أَنتُمۡ وَأَزۡوَٰجُكُمۡ تُحۡبَرُونَ ٧٠ يُطَافُ عَلَيۡهِم بِصِحَافٖ مِّن ذَهَبٖ وَأَكۡوَابٖۖ وَفِيهَا مَا تَشۡتَهِيهِ ٱلۡأَنفُسُ وَتَلَذُّ ٱلۡأَعۡيُنُۖ وَأَنتُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ٧١ وَتِلۡكَ ٱلۡجَنَّةُ ٱلَّتِيٓ أُورِثۡتُمُوهَا بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٧٢ لَكُمۡ فِيهَا فَٰكِهَةٞ كَثِيرَةٞ مِّنۡهَا تَأۡكُلُونَ ٧٣ ﴾ [الزخرف: ٧٠، ٧٣]
“তোমরা সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। স্বর্ণখচিত থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে মন যা চায় আর যাতে চোখ তৃপ্ত হয় তা-ই থাকবে এবং সেখানে তোমরা হবে স্থায়ী। আর এটিই জান্নাত, নিজদের আমলের ফলস্বরূপ তোমাদেরকে এর অধিকারী করা হয়েছে। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে।” [সূরা আয্-যুখরুফ: ৭০-৭৩]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَنَعِيمٖ ١٧ فَٰكِهِينَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمۡ رَبُّهُمۡ وَوَقَىٰهُمۡ رَبُّهُمۡ عَذَابَ ٱلۡجَحِيمِ ١٨ كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ هَنِيَٓٔۢا بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ١٩ مُتَّكِِٔينَ عَلَىٰ سُرُرٖ مَّصۡفُوفَةٖۖ وَزَوَّجۡنَٰهُم بِحُورٍ عِينٖ ٢٠ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱتَّبَعَتۡهُمۡ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَٰنٍ أَلۡحَقۡنَا بِهِمۡ ذُرِّيَّتَهُمۡ وَمَآ أَلَتۡنَٰهُم مِّنۡ عَمَلِهِم مِّن شَيۡءٖۚ كُلُّ ٱمۡرِيِٕۢ بِمَا كَسَبَ رَهِينٞ ٢١ وَأَمۡدَدۡنَٰهُم بِفَٰكِهَةٖ وَلَحۡمٖ مِّمَّا يَشۡتَهُونَ ٢٢ يَتَنَٰزَعُونَ فِيهَا كَأۡسٗا لَّا لَغۡوٞ فِيهَا وَلَا تَأۡثِيمٞ ٢٣ ﴾ [الطور: ١٧، ٢٣]
“নিশ্চয় মুত্তাকীরা (থাকবে) জান্নাতে ও প্রাচুর্যে। তাদের রব তাদেরকে যা দিয়েছেন তা উপভোগ করবে, আর তাদের রব তাদেরকে বাঁচাবেন জ্বলন্ত আগুনের আযাব থেকে। তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর, তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে। সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলায়ে দেব ডাগরচোখা হূর-এর সাথে। আর যারা ঈমান আনে এবং তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানের সাথে তাদের অনুসরণ করে, আমরা তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলন ঘটাব এবং তাদের কর্মের কোন অংশই কমাব না। প্রত্যেক ব্যক্তি তার কামাইয়ের ব্যাপারে দায়ী থাকবে। আর আমি তাদেরকে অতিরিক্ত দেব ফলমূল ও গোশত যা তারা কামনা করবে। তারা পরস্পরের মধ্যে পানপাত্র বিনিময় করবে; সেখানে থাকবে না কোন বেহুদা কথাবার্তা এবং কোন পাপকাজ।” [সূরা আত্-তূর: ১৭-২৩]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ وَفَٰكِهَةٖ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ ٢٠ وَلَحۡمِ طَيۡرٖ مِّمَّا يَشۡتَهُونَ ٢١ ﴾ [الواقعة: ٢٠، ٢١]
“আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে। আর পাখির গোশ্ নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।” [সূরা : আল্-ওয়াকিয়া: ২০-২১]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ يَوۡمَئِذٖ تُعۡرَضُونَ لَا تَخۡفَىٰ مِنكُمۡ خَافِيَةٞ ١٨ فَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَيَقُولُ هَآؤُمُ ٱقۡرَءُواْ كِتَٰبِيَهۡ ١٩ إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَٰقٍ حِسَابِيَهۡ ٢٠ فَهُوَ فِي عِيشَةٖ رَّاضِيَةٖ ٢١ فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٖ ٢٢ قُطُوفُهَا دَانِيَةٞ ٢٣ كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ هَنِيَٓٔۢا بِمَآ أَسۡلَفۡتُمۡ فِي ٱلۡأَيَّامِ ٱلۡخَالِيَةِ ٢٤ ﴾ [الحاقة: ١٨، ٢٤]
“সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন গোপনীয়তাই গোপন থাকবে না। তখন যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ’। ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার হিসাবের সম্মুখীন হব’। সুতরাং সে সন্তোষজনক জীবনে থাকবে। সুউচ্চ জান্নাতে, তার ফলসমূহ নিকটবর্তী থাকবে।(বলা হবে,) ‘বিগত দিনসমূহে তোমরা যা অগ্রে প্রেরণ করেছ তার বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর।” [সূরা আল্-হাক্কাহ: ১৮-২৪]
দ্বিতীয়ত: জাহান্নামীদের খাদ্য:
১- যাক্কুম বৃক্ষ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ ثُمَّ إِنَّكُمۡ أَيُّهَا ٱلضَّآلُّونَ ٱلۡمُكَذِّبُونَ ٥١ لَأٓكِلُونَ مِن شَجَرٖ مِّن زَقُّومٖ ٥٢ فَمَالُِٔونَ مِنۡهَا ٱلۡبُطُونَ ٥٣ فَشَٰرِبُونَ عَلَيۡهِ مِنَ ٱلۡحَمِيمِ ٥٤ فَشَٰرِبُونَ شُرۡبَ ٱلۡهِيمِ ٥٥ هَٰذَا نُزُلُهُمۡ يَوۡمَ ٱلدِّينِ ٥٦ ﴾ [الواقعة: ٥١، ٥٦]
“তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা, তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে, অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে। তদুপরি পান করবে প্রচন্ড উত্তপ্ত পানি। অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়। প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী।” [সূরা : আল্-ওয়াকিয়া: ৫১-৫৬]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,
﴿ إِنَّ شَجَرَتَ ٱلزَّقُّومِ ٤٣ طَعَامُ ٱلۡأَثِيمِ ٤٤ كَٱلۡمُهۡلِ يَغۡلِي فِي ٱلۡبُطُونِ ٤٥ كَغَلۡيِ ٱلۡحَمِيمِ ٤٦ ﴾ [الدخان: ٤٣، ٤٦]
“নিশ্চয় যাক্কূম বৃক্ষ, পাপীর খাদ্য; গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে। ফুটন্ত পানির মত।” [সূরা : আদ্-দুখান: ৪৩-৪৬]
যাক্কুম: দুর্গন্ধযুক্ত ভয়ানক বৃক্ষ, জাহান্নামীরা এটা খেতে খুবই অপছন্দ করবে, তারা অত্যন্ত অপছন্দ সত্বেও ক্ষুধার যন্ত্রনায় যাক্কুম বৃক্ষ গ্রহণ করবে। যেমন আরবদের কথা... কেউ মারাত্মক অপছন্দ সত্বেও খাবার খেলে বলে যাক্কুম খেয়েছে। [1]
পাপীদের খাদ্য: পাপী ও অন্যায়ীর খাদ্য। [2]
গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে: ফুটন্ত গরম পানি যেমন ফুটতে থাকে তেমনিভাবে তাদের পেটে গলিত তামার মত ফুটতে থাকবে। [3]
২- আল-গীসলীন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ فَلَيۡسَ لَهُ ٱلۡيَوۡمَ هَٰهُنَا حَمِيمٞ ٣٥ وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنۡ غِسۡلِينٖ ٣٦ لَّا يَأۡكُلُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡخَٰطُِٔونَ ٣٧ ﴾ [الحاقة: ٣٥، ٣٧]
“অতএব আজ এখানে তার কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না। আর ক্ষত-নিংসৃত পূঁজ ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না, অপরাধীরাই শুধু তা খাবে।” [সূরা আল্-হাক্কাহ: ৩৫-৩৭]
আল-গীসলীন: হলো জাহান্নামে কাফিরদের শরীর থেকে ক্ষত-নিংসৃত পূঁজ। কেউ কেউ বলেন, জাহান্নামীদের বমি, এটা ক্ষত-নিংসৃত পূঁজের মত। কারো মতে, জাহান্নামীদের শরীর থেকে নির্গত রক্ত ও পানি। [4]
৩- কাঁটাযুক্ত খাদ্য:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ إِنَّ لَدَيۡنَآ أَنكَالٗا وَجَحِيمٗا ١٢ وَطَعَامٗا ذَا غُصَّةٖ وَعَذَابًا أَلِيمٗا ١٣ ﴾ [المزمل: ١٢، ١٣]
“নিশ্চয় আমার নিকট রয়েছে শিকলসমূহ ও প্রজ্জ্বলিত আগুন। ও কাঁটাযুক্ত খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সূরা আল্-মুয্যাম্মিল: ১২-১৩]
কাঁটাযুক্ত খাদ্য গলায় আঁটকে যাবে, তা ভিতরেও যাবে না আবার বের ও হবে না। কেউ কেউ বলছেন, এটা যাক্কুম ও দরী‘। [5]
৪- আদ-দরী‘ বা কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ لَّيۡسَ لَهُمۡ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٖ ٦ لَّا يُسۡمِنُ وَلَا يُغۡنِي مِن جُوعٖ ٧ ﴾ [الغاشية: ٦، ٧]
তাদের জন্য কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না। তা মোটা-তাজাও করবে না এবং ক্ষুধাও নিবারণ করবে না। [সূরা আল্-গাশিয়া: ৬-৭]
আদ-দরী‘ বা কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম: কেউ কেউ বলেছেন, এটা কাঁটাযুক্ত লতা, কুরাইশরা একে আশ-শাবরিক বলে, যখন এটা শুকায় তখন একে আদ-দরী‘ বলা হয়, এটা খুবই ভয়ানক খাবার। [6]
লেখক : সা‘ঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
[1] তাফসীরে বাগভী: ৪/১৫৪।
[2] তাফসীরে বাগভী: ৪/১৪৬-১৫৪।
[3] তাফসীরে বাগভী: ৪/১৫৪, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/১৪৬।
[4] গরীবুল কুরআন, লেখক আল-আসফেহানী: পৃষ্ঠা ৩৬১, তাফসীরে বাগভী: ৪/৩৯০, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৪১৭।
[5] তাফসীরে বাগভী: ৪/৪১০, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৪৩৮।
[6] গরীবুল কুরআন, লেখক আল-আসফেহানী: পৃষ্ঠা ৩৬১, তাফসীরে বাগভী: ৪/৪৭৮।