‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর জনৈক ব্যক্তি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে প্রবাসে থাকে। প্রতি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা কাজের অনুমতি থাকলেও রাত জেগে সে ২টা কাজ করে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,544
Credits
2,602
প্রথমতঃ কোন একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা সংক্রান্ত উদ্দেশ্যেই স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশ যাত্রা করেছে। সে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের প্রয়োজনে পার্টটাইম কাজও করে। আর তা যদি সরকার ও আইন বিরোধী কার্যকলাপ না হয়, সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি এখানে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়, তবে জায়েয নয়।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّيْ​

‘যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’ (সহীহ মুসলিম, হা/১০১-১০২)।

ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘উলামায়ে কেরামের মতানুযায়ী প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি খুবই জঘন্য অপরাধ। তাঁরা বলেছেন, প্রতারণা হারাম’ (তিরমিযী, হা/১৩১৫)। আসলে ব্যবসা-বাণিজ্যেসহ সর্বক্ষেত্রেই প্রতারণা হারাম’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনে বায, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৯৭; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪)।

দ্বিতীয়তঃ আন্তর্জাতিক স্তরে আদান-প্রদানকৃত টাকার একটা অংশ সরকারী আয়কর বিভাগকে প্রদান করতে হয়। মূলত ঐ ট্যাক্স বা কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যেই হুন্ডি ব্যবস্থার উৎপত্তি হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উন্নয়নের এবং নানাবিধ কল্যাণসাধনের অভিপ্রায়ে হুন্ডি ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একজন আদর্শ মুসলিমের উচিত এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা।

শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘আয়কর বিভাগের ট্যাক্স বা কর সংক্রান্ত আইন-কানুন ও রাষ্ট্রীয় বিধান মেনে চলা প্রত্যেক অধিবাসীর উপর অপরিহার্য। আর এ ব্যাপারে আমরা সকলেই নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট গ্রহণ করার সময় দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারী বিধিনিষেধ শরী‘আতের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত সরকারী আইন মেনে চলা যরূরী। আর অঙ্গীকার ভঙ্গ করা জায়েয নয় (সূরা আল-মায়িদাহ : ১; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫২৮১০)।

উল্লেখ্য, যে সমস্ত দেশের সঙ্গে জাতীয় স্তরে অর্থ আদান-প্রদানের সুব্যবস্থা নেই এবং যাদের সরকার অতিরিক্ত ট্যাক্স বসিয়ে যুলুম করে, সেক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো জায়েয হতে পারে।
কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর’ (সূরা আত-তাগাবূন : ১৬)।
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কাউকেও তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮৬)।



সূত্র: আল-ইখলাছ।​
 
Last edited:

Share this page